সাজঘর
ত্বকে নারিকেল তেল
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
শীতে ত্বকের রুক্ষতা খুব সাধারণ বিষয়। তবে এ রুক্ষতা থেকে ধীরে ধীরে র্যাশের পর ব্রণের মতো সমস্যাগুলো বাড়তে থাকে। এছাড়া শীতে ত্বক হারায় কোমলতা। ত্বকের সুরক্ষায় অনেক প্রসাধনী ব্যবহার করা হলেও, আগের মতো উজ্জ্বলতা ফিরে পাওয়া যায় খুব কম ক্ষেত্রেই।
অন্যদিকে ঘরোয়া, হাতের কাছে থাকা অল্প কিছু জিনিস; আপনাকে এ শীতের পুরোটা সময়জুড়ে রাখতে পারে উজ্জ্বল ত্বকের সঙ্গে। আর এ ক্ষেত্রে নারিকেল তেল খুব ভালো কাজ করে ত্বকের যত্নে। নারিকেল তেলের এ ব্যবহার সম্পর্কে জানিয়েছেন আকাঙ্খাস গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডের কর্ণধার ও অ্যারোমা থেরাপিস্ট জুলিয়া আজাদ। নারিকেল তেল দুই ধরনের হয়ে থাকে। এর মাঝে যে তেলটি প্রাকৃতিক কিংবা ন্যাচারাল এক্সট্রা ভার্জিন হয়ে থাকে সেটাই মূলত সবচেয়ে ভালো হয়ে থাকে ত্বকের ক্ষেত্রে। এছাড়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে নারিকেল তেলে প্রচুর পরিমাণে।
ময়েশ্চার লক করতে নারিকেল তেল তাই সবচেয়ে ভালো। ব্যবহারের ক্ষেত্রেও নেই তেমন কোনো ঝামেলা। শুধু খেয়াল রাখতে হবে, যাতে ত্বক একটু ভেজা থাকতে থাকতে তেল ব্যবহার করা হয়। ভেজা ত্বকে নারিকেল তেল লোমের গোড়ায় গোড়ায় পৌঁছে ভেতর থেকে ত্বককে তার পুষ্টিগুণ প্রদান করে। এ নারিকেল তেল আপনি চাইলে মুখের ত্বকেও অ্যাপ্লাই করতে পারেন। তবে ত্বক বুঝে ব্যবহার করাই ভালো। তাই শরীরের অল্প কোনো জায়গায় আগে অ্যাপ্লাই করে তারপর মুখে অ্যাপ্লাই করা ভালো। এছাড়া নারিকেল তেল ক্লিঞ্জার হিসাবেও দারুণভাবে কাজ করে। বাইরে থেকে এসে মুখে সরাসরি নারিকেল তেল দিয়ে অল্প অল্প করে সময় নিয়ে ম্যাসাজ করলে, লোমকূপের ভেতর থেকে ময়লা বের হয়ে আসে।
এরপর একটি ওয়েট টিস্যু দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে। এ একই প্রসেস দুবার করে করতে হবে, ডাবল ক্লিঞ্জিং প্রসেস হিসাবে। এরপর মুখ ভালো করে ফেসওয়াশ দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। অন্যদিকে ব্ল্যাক হেডসের ক্ষেত্রে নারিকেল তেলের মধ্যে অল্প চিনি আর কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নাকের ওপর বা যে জায়গাগুলোয় ব্ল্যাক হেডস আছে সেখানে অ্যাপ্লাই করলে, বেশ দ্রুত এ সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে। মূলত যাদের স্কিন খুব বেশি ড্রাই, তাদের ক্ষেত্রে নারিকেল তেল সবচেয়ে ভালো।
এছাড়া যাদের বলিরেখার কিংবা ব্রণের সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রেও নারিকেল তেল উপকারী একটি প্রসাধনী। তবে অল্প পরিমাণে ব্যবহার করতে হবে, এর সঙ্গে ভিটামিন ই-ক্যাপসুল মিশিয়ে নিতে হবে। আর যাদের পা ফাটার সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে, এক কাপ নারিকেল তেল, দুটো মোমবাতি গরম পানির ভাপে গলিয়ে তাতে নারিকেল তেল দিয়ে, কয়েকটা ই-ক্যাপসুল মিশিয়ে ভালোভাবে ফেটিয়ে নিলে একটা ক্রিম তৈরি হয়ে যাবে। এ ক্রিম পায়ে রাতে ঘুমানোর সময় অ্যাপ্লাই করলেই এক সপ্তাহের মধ্যেই আপনি পাবেন মোলায়েম, নরম, পা ফাটা থেকে মুক্ত পা।