বাজারে জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধিতে মধ্য ও নিুবিত্তদের নাভিশ্বাস। হুটহাট প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে যায়। কিন্তু আয় তো বাড়ে না। বেতন আগে যা পেতেন, এখনো তা পান। এ অবস্থায় ভোগ কমিয়ে দেওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। আগে পরিবার নিয়ে মাসে দুবার বাইরে খেতেন। এখন কয়েক মাস পর একবার বাইরে খেতে যান। তবে যারা একটু চালাক চতুর তারা কোথায় কিভাবে একটু কম দামে কেনা যাবে। সে উপায় খুঁজে বেড়ান। বাজারে এমন কিছু উপায়ের কথা বলা হলো, যাতে আপনার অর্থ সাশ্রয় হবে।

এক. সংসারে কী কী জিনিস লাগে বা লাগে না। কোন জিনিস না হলেই নয়। কোন কোন জিনিসের অপচয় হচ্ছে। সেগুলো জানতে হবেন। ধরেন হুইল পাউডার। বুয়া অতিরিক্ত দিয়ে অপচয় করেই যাচ্ছে। তাকে থামান। বাথরুমের সাবান। পানিতে গলে যায়। রোধ করুন সাবান গলা। পেস্ট লাগানোর সময় কিছুটা বাইরে বেড়িয়ে পড়ে থাকে। এটা রোধ করুন।

দুই. আপনাকে বাজারের বড় দোকান থেকে মুদি মনোহরী কিনতেই হবে এমন কোনো কথা নেই। বাজারের আশপাশে কিছু দোকান থাকে। যারা একটু কম দামে বিক্রি করে। তাদের থেকে কিনুন। ভ্যানে সাবান, পোলাওয়ের চাল, ডিটারজেন্ট পাউডার বিক্রি করে একদল মানুষ। তাদের থেকে কিনলে মহা ভারত অশুদ্ধ হবে না। কিন্তু অর্থ সাশ্রয় ঠিকই হবে।

তিন. বাসার কাছে স্কুল, কলেজ থাকলে তার সামনে ভ্যানে, পথের ধারে বসে একদল মানুষ মাছ বিক্রি করে। আবার ভ্যানে বাসার কাছেই মুরগিও পাবেন। তাদের বেছে নিন। অবশ্যই তাদের কাছে কম দামে পাবেন। সতার্কতা হলো একটু দেখে নিতে হবে। যেন পচা না হয়। বিশেষ করে বিকালবেলা যদি মাছ কিনেন। চার. শাক-সবজির দাম সব সময় সকালের দিকে চড়া থাকে। বিকালে অফিস থেকে ফেরার পথে ভ্যান থেকে সবজি কিনে ফিরবেন। এখানেও অর্থ সাশ্রয় হবে। পাঁচ. এটার সঙ্গে ওটা ফ্রি। অথচ যেটার সঙ্গে ফ্রি দিচ্ছে সেটা অখ্যাত ভুঁইফোড় কোম্পানির। এমন ফ্রিওয়ালা পণ্য পরিহার করুন। নইলে পরে পস্তাতে হতে পারে।

ছয়. বাসার জন্য ফল-মূল তো কিনতেই হয়। ভ্যান থেকে কিনবেন। একটু কমে পাবেন। তবে বাজার সম্পর্কে একদমই ধারণা না থাকলে বিপদ আছে। উড়াধুরা দাম চেয়ে বসতে পারে বিক্রেতা। আপনি অর্ধেক দাম বললেও দেখা যাবে দাম আসলে তারও অর্ধেক। সাত. যা কিছুই কিনবেন না কেন আগে যেসব জায়গায় দাম কমে পাওয়া যায় সেসব জায়গা দেখে নিন। তারপর সিলেক্ট ক্রুন কার থেকে নেবেন। একটু হাঁটলে সেটা আপনার শরীরের জন্য ভালোই হবে। অফিস বন্দের দিন বাজার চড়া থাকে। অন্যদিনে বাজার করুন। প্রয়োজনে দুই বা তিনবারে করুন।

আট. একদমই হুজুগে মাতবেন না। দাম বাড়বে বলে হুজুগ তুলে অন্যে স্টক করলে আপনাকেও তা করতে হবে কেন। মাথা খাটালেই বুঝবেন। ব্যাটা সুবিধাবাদী, গুজব ছড়াচ্ছে। নয়. দৈনিক সংবাদপত্রে চোখ বুলাবেন। তাহলে বাজার বিষয়, কোনটা কি অবস্থা সামনে হতে পারে সে ধারণা লাভ করতে পারবেন।

দশ. কখনো বাজারে ঠকে গেলে সেটা যদি বুঝতে পারেন। তবে সে পথে আর পা বাড়াবেন না। এক মাসের বাজারের সঙ্গে অন্য মাসের বাজারের দামের চিত্র পাশাপাশি রেখে দেখুন। স্ত্রীর মতামত নিন সাশ্রয় করার জন্য। সব সময় এক দোকান থেকে কিনলেও অন্য দোকানে খোঁজ-খবর নেবেন। কারণ সে পণ্যমূল্য বেশি নিচ্ছে কিনা সেটা জানার দরকার আছে।