
প্রিন্ট: ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৩৫ পিএম

কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
আরও পড়ুন
আদালতে হাজির হতে গিয়ে জনরোষের মুখে পড়েছেন নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকার। এ সময় তাকে কিলঘুসি মারার চেষ্টা করা হয়। রোববার দুপুরে নীলফামারী আদালতে পৃথক দুটি মামলায় হাজিরা দিতে আসেন আফতাব উদ্দিন। তাকে দেখে আদালত প্রাঙ্গণ ভুয়া-ভুয়া স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে।
দুপুর সাড়ে ১২টায় নীলফামারী কারাগার থেকে জেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-২ এর বিচারক দেলোয়ার হোসেনের আদালতে হাজির করা হয় আফতাব উদ্দিন সরকারকে। এ সময় আদালত চত্বরে বিক্ষুব্ধ কিছু লোক ভুয়া, ভোট চোর ও খুনি স্লোগান দিয়ে তাকে কিল-ঘুসি মারার চেষ্টা করেন। তবে নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরা আফতাব উদ্দিন সরকারকে নিরাপদে আদালতে হাজির করান। পরে আদালত থেকে বের করার সময় পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ দ্রুত তাকে সেখান থেকে সরিয়ে নেন। এ সময় প্রিজন ভ্যান লক্ষ্য করে ধুলাবালি নিক্ষেপ করে বিক্ষুদ্ধ জনতা।
রংপুরের একটি মামলায় ভোটচোর সরকারের সাবেক এমপি আফতাব উদ্দিন সরকার গ্রেফতার হন। নীলফামারীর দুটি মামলায় পুলিশ তাকে শ্যোন অ্যারেস্টের আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদনের ভিত্তিতে আদালতে হাজির করে তাকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে। এরপরে নীলফামারী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-২ এর বিচারক দেলোয়ার হোসেন তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
২০১৮ সালে ২৩ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী খালেদা জিয়ার ভগ্নিপতি অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের নির্বাচনি প্রচারণার গাড়িবহরে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর আফতাব উদ্দিন সরকারসহ আওয়ামী লীগের ৪৩ জনকে নামীয় ও অজ্ঞাতনামা আসামি করে আদালতে মামলা করেন জোড়াবাড়ী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রবিউল ইসলাম। এছাড়াও ২০১৫ সালের ১৪ মার্চ তৎকালীন উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক মাসুদ বিন আমিন সুমনকে ডোমার শহরের কৃষি ব্যাংক সংলগ্ন একটি চায়ের দোকান থেকে আফতাব উদ্দিন সরকারের নির্দেশে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর তাকে থানায় ব্যাপক নির্যাতনসহ ওসির মাধ্যমে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর আফতাব উদ্দিন সরকার ও ডোমার থানার তৎকালীন ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের নাম উল্লেখ করে ও ৩০ থেকে ৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন যুবদল নেতা সুমন।