
প্রিন্ট: ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০:১৬ এএম

শেরপুর উত্তর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
আরও পড়ুন
শেরপুর সদর উপজেলার গাজীরখামারের গজারিয়া গ্রাম। ওই গ্রামের এক মানসিক রোগীকে শিকলে বেঁধে নির্যাতনের ভিডিও শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরালের পর তোলপাড় শুরু হয়েছে। ওই নারীর নাম চিরকনী বেগম। স্বামী প্রয়াত ফজর আলী। চিরকনী নিজের ভাই নুর ইসলামের হাতেই নিগ্রহের শিকার হয়েছেন। এর নেপথ্যে চিরকনীর অর্থ ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেওয়ার কুমতলব রয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে প্রশাসন। জানা গেছে, ৬ মাস আগে মানসিক ভারসাম্য হারান চিরকনী। পরিবার বলছে, চিরকনী যখন তখন বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। বিবস্ত্র হয়ে পড়েন এবং মানুষকে আক্রমণ করেন। এই বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতেই তাকে শিকলে বেঁধে রাখা হয়।
এদিকে এলাকাবাসী জানায়, চিরকনী মানসিক ভারসাম্য হারানোর আগে পৈতৃক সূত্রে পাওয়া বেশকিছু নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার পাশের বাড়ির মামা প্রভাবশালী আবদুল জলিলের স্ত্রীর কাছে গচ্ছিত রাখেন। শুক্রবার নুর ইসলাম চিরকনীকে নিয়ে সেই অর্থ ও স্বর্ণালংকার ফেরত আনতে যান। এ সময় আব্দুল জলিলের স্ত্রী অর্থ ও স্বর্ণালংকার গচ্ছিত রাখার কথা অস্বীকার করেন। তখন চিরকনী মাটিতে গড়াগড়ি খান। আবদুল জলিলের মেয়ে এই দৃশ্য ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। জলিলের পরিবারের দাবি, তাদের সঙ্গে নুর ইসলাম পরিবারের জমি নিয়ে মামলা আছে। এর জেরে মানসিক রোগীর মাধ্যমে তাদেরকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে। তবে এলাকাবাসী জানায়, চিরকনীর টাকা ও স্বর্ণালংকার ফেরত না দেওয়ার জন্যই জলিলের পরিবার ভিন্ন কথা বলছে।