
প্রিন্ট: ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০:১৬ এএম

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
আরও পড়ুন
ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় ফিরছেন কর্মজীবী মানুষ। ফলে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের দৌলতদিয়া লঞ্চ ও ফেরিঘাটে উপচে পড়া ভিড় সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে এ ভিড় সৃষ্টি হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় আরও বাড়তে থাকে। ফেরিঘাটে প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য ছোটগাড়ির চাপ বেশি। তাদের চাপে বাসগুলোকে ফেরির নাগাল পেতে দীর্ঘ সময় ঘাটে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। সরেজমিন আলাপকালে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থেকে আসা ঢাকাগামী যাত্রী শওকত আলী বলেন, পথে কোথাও কোনো ভোগান্তি হয়নি। লঞ্চঘাটে বেশ ভিড় দেখা যাচ্ছে। তবে সহজেই লঞ্চে নদী পাড়ি দিয়ে ঢাকায় যেতে পারব বলে আশা করছি।
মাগুরা থেকে আসা নবীনগরগামী যাত্রী রুমানা আক্তার বলেন, নবীনগরের একটি গার্মেন্টে চাকরি করি। লঞ্চঘাট দিয়ে পার হচ্ছি। এখানকার ব্যবস্থাপনা ও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখে ভালো লেগেছে। কোনো ভোগান্তি হয়নি।
দৌলতদিয়া ৭নং ফেরিঘাটে কথা হয় যশোর থেকে আসা কাইয়ুম চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি বলেন, আমি গাজীপুরে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। স্ত্রী-সন্তান ও লাগেজ নিয়ে প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে অনেকটা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট মালিক সমিতির দায়িত্বরত ম্যানেজার নুরুল আনোয়ার মিলন বলেন, কোনো লঞ্চেই বাড়তি যাত্রী কিংবা অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না।
দৌলতদিয়া ঘাটে কর্মরত বিআইডব্লিউটিএ’র ট্রাফিক তত্ত্বাবধায়ক শিমুল ইসলাম বলেন, এ নৌরুটে ২০টি লঞ্চ চলছে। শনিবার সকাল থেকে কর্মমুখী মানুষের চাপ দেখা যাচ্ছে। তবে পর্যাপ্ত লঞ্চ থাকায় যাত্রীরা স্বস্তিতেই নদী পার হতে পারছেন। বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৭টি ফেরি যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে নিয়োজিত রয়েছে। ভোগান্তি কমাতে আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাহিদুর রহমান বলেন, মানুষ সরাসরি ঘাটে এসে ফেরি ও লঞ্চে নদী পার হতে পারছে। ঘাটের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় ঈদের আগে থেকেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।