
প্রিন্ট: ২৮ মার্চ ২০২৫, ০৩:৩০ পিএম

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
আরও পড়ুন
ঠাকুরগাঁওয়ে অপহৃত কলেজছাত্র মিলন হোসেনের লাশ উদ্ধারের পর অভিযুক্তদের বাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলার মহেশপুরের বিট বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বুধবার রাতে সদর উপজেলার শিবগঞ্জ মহেশপুরের বিট বাজার এলাকার সেজান আলীর বাড়ির পেছনে একটি টয়লেটের নিচ থেকে মিলনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। একই রাতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।
নিহত মিলন দিনাজপুর পলিটেকনিক কলেজের ছাত্র ছিলেন ও ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার খনগাঁও চাপাপাড়া এলাকার পানজাব আলীর ছেলে। ২৩ ফেব্রুয়ারি ঠাকুরগাঁও পলিটেকনিকের পেছন থেকে নিখোঁজ হন মিলন। পানজাব জানিয়েছেন, ৯ মার্চ ছেলের মুক্তিপণ হিসাবে অপহরণকারীরা ২৫ লাখ টাকা নেন। কিন্তু ছেলের আর খোঁজ পাননি।
ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে নিহত মিলনের বন্ধু সেজান ও মুরাদসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোরে মিলনের এলাকার লোকজন বিট বাজারের ওই বাড়িতে ভাঙচুর ও মালামাল লুট করেন। এরপর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর সদর উপজেলার আরাজি পাইকপাড়া গ্রামের মুরাদের বাড়ি ভাঙচুর করে উত্তেজিত এলাকাবাসী।
সকাল ১০টার দিকে ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়িতে কয়েকটি দেয়াল ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট নেই। গোয়ালঘরের ইট খুলে নিচ্ছিলেন কয়েকজন। ইট খুলে নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তাদের একজন বলেন, ‘এই বাড়ির কিছুই রাখিমোনি।’ এ সময় তিনি অন্যদের উদ্দেশে বলেন, ‘তোমরা সব মাটিত মিশায় দেও। খুনির নামনিশানা রাখিবোনি।’
সদর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এসএম মুসতাক বলেন, মানুষের ঢল এসে ওই বাড়িতে হামলা চালান। এরপর তারা আগুন দেন। তাদের সামলানো সম্ভব হয়নি।
এদিকে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে নিহত মিলনের স্বজন ও এলাকাবাসী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন। জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা এসে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর তারা সেখানে আধা ঘণ্টা অবস্থান করেন।