
প্রিন্ট: ২৮ মার্চ ২০২৫, ০৩:০৮ পিএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
আরও পড়ুন
দৈনিক যুগান্তর ও আঞ্চলিক দৈনিক পূর্বদেশের পটিয়া উপজেলা প্রতিনিধি আবেদ আমিরীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। বুধবার সন্ধ্যায় পটিয়া উপজেলা সদরের থানা মোড় থেকে তাকে আটক করে রাত সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর থানায় হস্তান্তর করে র্যাব। বৃহস্পতিবার জামিন না মঞ্জুর করে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আবেদকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিন্দার ঝড় বইছে। স্থানীয় সাংবাদিকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। আবেদের স্ত্রী অ্যাডভোকেট শাহীন আক্তারের দাবি, কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শরীফ, পটিয়া থানার সাবেক ওসি নেয়ামত উল্লাহ, পটিয়া উপজেলা যুবদল নেতা মহিউদ্দিন ও পৌর যুবদল নেতা মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ করায় তারা আবেদের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। এর জেরেই তাকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করে হয়রানি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা এবং স্বামীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন তিনি।
জানা গেছে, ২০২৩ সালে স্থানীয় এক বিরোধ ও ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনার যোগসূত্র দেখিয়ে গত বছরের ২০ আগস্ট হালিশহর থানায় মুন্সীপাড়া এলাকার বাসিন্দা সাজ্জাদ আহমেদ সাদ্দাম মামলা করেন। ওই মামলায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র আবদুস সবুল লিটনসহ ৩১ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় আবেদ আমিরীকে ২৯ নম্বর আসামি করা হয়। হালিশহর থানার ওসি মনিরুজ্জামান যুগান্তরকে জানান, হালিশহর থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় করা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি সাংবাদিক আবেদ আমিরী।
গ্রেফতারের নিন্দা : কর্ণফুলী প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোর্শেদুর রহমান নয়ন যুগান্তরকে বলেন, আবেদ আমেরীর প্রতিবেদনে ক্ষুব্ধ দুর্নীতিবাজ পুলিশ, চাঁদাবাজ রাজনৈতিক নেতারা সিন্ডিকেট করে অগ্রহণযোগ্য ও আজগুবি মামলায় তাকে গ্রেফতার ও হয়রানির পথ বেছে নিয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানায়, মামলার এজাহারে না থাকলেও পুলিশ আবেদকে যুবলীগ নেতা বলে উল্লেখ করেছে। অথচ তার রাজনৈতিক পরিচয় নেই। এছাড়া মামলার এজাহারে যে ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে তার সঙ্গেও আবেদের কোনো সম্পর্ক নেই। অথচ মামলার বাদী চেনেন না আসামিকে।