
প্রিন্ট: ২৮ মার্চ ২০২৫, ০৩:০৪ পিএম

চান্দিনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
আরও পড়ুন
চান্দিনায় এনজিও কর্মীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় আসামিরা চিহ্নিত হলেও তাদের এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় আসামিদের বাড়ি ও থানা ফটকের সামনে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা। এদিকে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হুদাকে বদলি করা হয়েছে। বুধবার জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের আদেশে তাকে বদলি করা হয়। বৃহস্পতিবার ওসি চান্দিনা থানার দায়িত্ব হস্তান্তর করেন এবং নতুন ওসি যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। জানা যায়, সোমবার রাতে পৌরসভার তুলাতলী এলাকায় কিস্তির টাকা তুলে দুই এনজিও কর্মী ফিরছিলেন। পথে কিছু বখাটে তাদের একা পেয়ে পুরুষ কর্মীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে ও নারী কর্মীকে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে যৌন নির্যাতন করে। এ ঘটনায় চান্দিনা থানার ওসির উদাসীনতা ও দায়িত্বে অবহেলা পায় জনগণ। ভুক্তভোগী ও গ্রামবাসী ওসির ফোনে কল করে বিষয়টি অবহিত করলেও তিনি ঘটনাস্থলে যাননি। পরে ওসি সেখানে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে পাঠিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে স্থানীয় সংবাদকর্মী ও এলাকাবাসীর তোপের মুখে বিষয়টি আমলে নিতে বাধ্য হলেও যৌন হয়রানির ঘটনায় মামলা নেননি। স্থানীয়দের অভিযোগ, যৌন হয়রানিকারীদের বাঁচাতে এবং ঘটনাটি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে দোষীদের বিরুদ্ধে মারামারির মামলা নেয় পুলিশ। মামলার বাদী জানান, সেদিন রাতে থানার কম্পিউটারে এজাহার লিপিবদ্ধ করে তাকে স্বাক্ষর করতে বলা হয়। তাতে কি লেখা ছিল তা তার জানা নেই। ঘটনাটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় বিষয়টি নজরে আনেন জেলা পুলিশ সুপার। বুধবার পুলিশ সুপার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ওসিকে হোমনা থানায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বদলি করার আদেশ দেওয়া হয়। হোমনা থানার ওসি জাবেদ উল ইসলামকে চান্দিনা থানার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এদিকে এনজিও কর্মীকে যৌন নির্যাতনের প্রতিবাদে চান্দিনা থানা ফটকে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে থানার প্রধান ফটকে এক ঘণ্টা বিক্ষোভ করে তারা। এ সময় বিক্ষোভকারীরা নির্যাতনকারীদের অনতিবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এর আগে, বুধবার রাতে তুলাতলী গ্রামে স্থানীয় জনতা বখাটেদের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করে। এতে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার দুই শতাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন। এদিকে ঘটনার ৭২ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয়রা। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও চান্দিনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিথুন কুমার মন্ডল জানান, বখাটেদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।