
প্রিন্ট: ২৮ মার্চ ২০২৫, ০৩:০৮ পিএম

এসএন পলাশ, বরিশাল
প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
বরিশাল নগরীর চাঁদমারি খেয়াঘাট এলাকায় আস্ত তরমুজ কেটে পিস হিসাবে বিক্রি করছেন আব্দুল কাদের। স্বল্প পুঁজির চায়ের দোকানদার কাদের নিম্নআয়ের মানুষের কথা চিন্তা করেই পিস হিসাবে বিক্রি করছেন তরমুজ। সাইজ অনুযায়ী একটি আস্ত তরমুজ কিনতে গুনতে হয় ২০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত। সেখানে ২০ টাকায় ছোট সাইজের তরমুজ বিক্রি করছেন আব্দুল কাদের। চুয়ান্ন বছর বয়সি আব্দুল কাদের বলেন, তরমুজের দাম বেশি হওয়ায় অনেকেই আস্ত তরমুজ কিনে খেতে পারছে না। তাদের কথা চিন্তা করেই আমি আস্ত তরমুজ কেটে পিস হিসাবে বিক্রি করছি। ভালো বিক্রিও হচ্ছে। ২০ টাকা থেকে শুরু করে যে যেমন চায় তার কাছে ওই টাকার তরমুজ বিক্রি করছেন কাদের। এ কারণে চাঁদমারি এলাকায় সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি। এলাকার বাসিন্দা মোস্তাফিজুল আলম সজিব বলেন, বাজার থেকে আস্ত একটা তরমুজ কিনতে নিম্নআয়ের মানুষের হিমশিম খেতে হয়। কাদের তরমুজের আড়ত থেকে পাইকারি দামে তরমুজ কিনে অল্প মুনাফায় পিস হিসাবে বিক্রি করছেন। এতে করে সহজেই অল্প টাকায় তরমুজ খেতে পারছেন নিম্নআয়ের মানুষেরা। কীর্তনখোলা নদীর তীরে ঘুরতে আসা মুরাদ ও রুহুল তালুকদার বলেন, এখানে ঘুরতে এসে পিস হিসাবে তরমুজ দেখে দুজনে ৪০ টাকায় খেলাম। বিষয়টি কম দামে পাওয়ার পাশাপাশি অনেকটা মজাদারও। কারণ তরমুজ আমাদের অঞ্চলে আস্ত হিসাবেই বিক্রি হচ্ছে। সেখানে কাদেরের পিস হিসাবে তরমুজ বিক্রি ভালো উদ্যোগ। তার দেখাদেখি আরও মানুষ এটার প্রচলন শুরু করবে বলে তাদের ধারণা। সরেজমিন দেখা যায়, চাঁদমারি খেয়াঘাট রবির চায়ের দোকানের পাশে টিনের ছাপরা দিয়ে আব্দুল কাদের পিস হিসাবে তরমুজ বিক্রি করছেন। এছাড়া তিনি সবসময় স্বল্প দামে খিচুড়ি বিক্রি করেন, কখনো চালের পিঠা ও রং চা বিক্রি করেন তিনি। অনেকে তার দোকানের নাম দিয়েছে মানবিক দোকান। যে কোনো ব্যবসায়ী যেখানে লাভের আসায় দোকানদারি করেন সেখানে আব্দুল কাদের নামমাত্র মূল্যে মানুষকে খাইয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলেন। আব্দুল কাদের বলেন, স্বল্প আয়ের মানুষদের কম দামে সুস্বাদু খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করি। এবার তরমুজের বেলায় তাই করার চেষ্টা করেছি। অনেকেই একটি আস্ত তরমুজ কিনতে পারে না, তাই তাদের কথা চিন্তা করেই পিস হিসাবে তরমুজ বিক্রির করার সিদ্ধান্ত নিই। অল্প দামে পিস হিসাবে তরমুজ কিনে খুসি সাধারণ মানুষ।