মণিপুরে সংঘর্ষে নিহত এক বনধের ডাক কুকিদের

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
মণিপুরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে এক কুকি বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। শনিবার সারা দিনে রাজ্যজুড়ে পৃথক পৃথক হামলার ঘটনায় নারী ও নিরাপত্তাকর্মীসহ ৪০ জন আহত হয়েছেন। এর পরেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অনির্দিষ্টকালের জন্য বনধের ডাক দিয়েছে কুকিদের নবগঠিত সংগঠন কুকি-জো কাউন্সিল (কেজেডসি)। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
শনিবার সকাল থেকে মণিপুরে রাস্তাঘাট ‘সচল’ করার লক্ষ্যে অভিযানে নামে পুলিশ ও সেনার যৌথ দল। তবে সারা দিনে পরিস্থিতির বিশেষ উন্নতি হয়নি। সকালে ইম্ফল থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে কাংপোকপি জেলায় যান চলাচল বন্ধ করতে পথ অবরোধ করেছিলেন কুকি জনগোষ্ঠীর কিছু মহিলা। তাদের ছত্রভঙ্গ করে নিরাপত্তা বাহিনী লাঠিচার্জ করে। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাস। তাতে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী আহত হন।
বিক্ষোভকারীরা পালটা বাস লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে শুরু করেন। কয়েকটি গাড়িতে তারা আগুনও লাগিয়ে দেন। তখন নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক তরুণের মৃত্যু হয়। এদিকে, মণিপুর পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ওই ঘটনায় নিরাপত্তাবাহিনীর অন্তত ২৭ জন কর্মীও আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এ অবস্থায় কুকি অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বনধের ডাক দিয়েছে নবগঠিত কুকি-জো কাউন্সিল (কেজেডসি)। এক বিবৃতিতে কেজেডসি জানিয়েছে, ওই অঞ্চলে শান্তি না ফেরা পর্যন্ত এবং কুকিদের রাজনৈতিক দাবি-দাওয়া পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সরকারের ‘অবাধ চলাচল’ উদ্যোগের তারা তীব্র বিরোধিতা করবেন।
প্রসঙ্গত, মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহের পদত্যাগের পর সেখানে শুরু হয়েছে রাষ্ট্রপতি শাসন। মণিপুরের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন রাজ্যপাল অজয় কুমার ভল্লা। ২ মার্চ ভল্লার সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বৈঠকের পরেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, ৮ মার্চ থেকে মণিপুরের সব রাস্তা যেন সচল থাকে। রাজ্যের রাস্তাঘাটে সাধারণ মানুষ যেন বিনা বাধায় চলাচল করতে পারেন। কেউ রাস্তা আটকানোর চেষ্টা করলে কড়া পদক্ষেপেরও নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ সত্ত্বেও শনিবার রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় বিশৃঙ্খলা অব্যাহত ছিল।