মেঘনায় নৌ পুলিশকে ধাওয়া বালু খেকোদের

কুমিল্লা উত্তর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় শনিবার গভীর রাতে অভিযান চালাতে গিয়ে বালুখেকোদের হামলার মুখে পড়েন চালিভাঙ্গা নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আজমগীর হোসাইন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে শেষ পর্যন্ত তাকে নদী ছেড়ে ঘাটে ফিরে আসতে হয়।
নৌপুলিশ সূত্র জানায়, রাত আড়াইটা থেকে অভিযান পরিচালনা করতে নদীতে অবস্থান নেন চালিভাঙ্গা নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আজমগীর হোসাইন ও তার টিম। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন, একটি চক্র নিষিদ্ধ স্থান (রামপ্রসাদের চর) থেকে বালু উত্তোলন করছে। ভোর সাড়ে ৪টায় চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের রামপ্রসাদের চর থেকে নলচর এলাকা পেরিয়ে একটি বালুবাহী বাল্কহেড মেঘনা ব্রিজের দিকে আসতে থাকে। নৌপুলিশ সেটি আটকানোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়।
এরপরই বালুখেকোরা সংঘবদ্ধ হয়ে আক্রমণ চালায়। পুলিশ সদস্যদের অবস্থান টের পেয়ে চক্রের মূল হোতা রবি ও খলিল তাদের সহযোগীদের খবর দেন। দ্রুত নলচর থেকে দুটি স্পিডবোট, ট্রলার এবং রায়পুর থেকে তিনটি ট্রলার নিয়ে বালুখেকোরা পুলিশের দিকে চারদিক থেকে ধেয়ে আসে।
মেঘনা উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি ও নলচর গ্রামের বাসিন্দা মাহবুবা ইসলাম মিলি বলেন, মেঘনায় বালুখেকোদের দৌরাত্ম্য দিন দিন ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। প্রশাসন একাধিকবার অভিযান চালালেও প্রভাবশালী মহলের আশ্রয়ে এ চক্র বারবার পার পেয়ে যাচ্ছে। নির্বিচারে বালু উত্তোলনের ফলে ইতোমধ্যে রামপ্রসাদের চর এলাকার প্রায় ১০০ একর জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এতে তীরবর্তী এলাকা ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে, নদীর স্বাভাবিক গতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

