এস আলম পরিবারের ৫১০৯ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধ

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
আলোচিত ব্যবসায়ী মো. সাইফুল আলম (এস আলম) ও তার পরিবারের সদস্যদের ৪২টি কোম্পানির ৫১০৯ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। দুদকের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, দুদক তার পরিবারের এসব শেয়ার জব্দের আবেদন করে। পরে আদালত শুনানি শেষে আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।
আবেদনে বলা হয়, সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুর, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, সাইপ্রাস ও অন্যান্য দেশে ১ বিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানকালে তার ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মগুলোর ৪৩৭ কোটি ৮৫ লাখ ২ হাজার ২৭৪টি শেয়ারের মালিকানার তথ্য পাওয়া যায়। তারা এসব শেয়ারের মূল্য ৫১০৯ কোটি ৬৭ লাখ ৯৬ হাজার ২৬০ টাকা হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন, যা করতে পারলে অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতায় মামলা, আদালতে চার্জশিট ও বিচার শেষে সাজার অংশ হিসাবে অপরাধলব্ধ আয় হতে অর্জিত সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্তকরণসহ সব উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে। তাই শেয়ারগুলো ও এগুলো থেকে উদ্ভূত সব মুনাফা ও আয় অবরুদ্ধ করা একান্ত প্রয়োজন।
সাবেক ডিআইজি আব্দুল বাতেনের সম্পদ জব্দ ও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ : পুলিশের সাবেক ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) মো. আব্দুল বাতেনের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন একই আদালত। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন। দুদকের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, তার স্থাবর সম্পদের মধ্যে সুনামগঞ্জ এলাকায় ১০০ শতাংশের অধিক জমি জব্দ ও অস্থাবর সম্পদের মধ্যে ৪টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ৪ কোটি ৩৯ লাখ ৩৭ হাজার ৭৯৭ টাকা ও এনআরবিসি ব্যাংকের ১টি অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধ করা হয়েছে। আবেদনে বলা হয়েছে, আব্দুল বাতেন ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎপূর্বক নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেছেন।
মুজিবুল হক চুন্নু ও তার স্ত্রীর দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা : জাতীয় পার্টির মহাসচিব কিশোরগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ-সদস্য মো. মুজিবুল হক চুন্নু এবং তার স্ত্রী রোকসানা কাদেরের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। দুদকের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, দুদকের আবেদনের উপর শুনানি নিয়ে আদালত আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন। আবেদনে বলা হয়, মুজিবুল হক ও তার এপিএস আমিরুল ইসলাম বাবলুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎপূর্বক বিদেশে পাচারসহ নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে।
ডিপিডিসির হুজ্জতের ফ্ল্যাটসহ স্থাবর সম্পদ জব্দের আদেশ : ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. হুজ্জত উল্লাহর ফ্ল্যাটসহ স্থাবর সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব সম্পদের মূল্য দেখানো হয়েছে ৮৫ লাখ ৯৫ হাজার ১১৭ টাকা। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন। আবেদনে বলা হয়, হুজ্জত দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে এক কোটি ৯০ লাখ ১২ হাজার ৭০৫ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য প্রদান করেন। তিনি এক কোটি ৯৩ লাখ ৯২ হাজার ৭০৫ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করে ভোগ-দখলে রেখেছেন।