যুগান্তর সাংবাদিক পিন্টুর দাফন সম্পন্ন
রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
দৈনিক যুগান্তরের জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক, শিশু ও কথাসাহিত্যিক আশরাফুল আলম পিন্টুর জানাজা রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে নগরীর শালবাগান এলাকার শাহী মসজিদে জানাজা শেষে নওদাপাড়ায় পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার গভীর রাতে পিন্টুর মরদেহ ঢাকা থেকে তার বাড়ি রাজশাহীর শালবাগানে আনা হয়।
পিন্টুর জানাজা পড়ান তার ভাইয়ের ছেলে আল আমিন। এসময় তার ছেলে সীমান্ত আনজুম, ভাই আমানুল ইসলাম, যুগান্তরের রাজশাহী ব্যুরো প্রধান আনু মোস্তফা, ব্যুরোর স্টাফ রিপোর্টার তানজিমুল হক, ফটো সাংবাদিক আজম খান, ছড়াকার এমএ কাইউম, হাসনাত আমজাদ, মাসুম আউয়াল, কবি শফিকুল আলম শফিক, আসাদুজ্জামান, সিরাজদৌল্লা বাহার, শামীম হোসেন, অধ্যক্ষ আলমগীর মালেক, কথাসাহিত্যিক আনারুল ইসলাম আনাসহ নিকটাত্মীয় এবং এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
জানাজার আগে যুগান্তরের রাজশাহী ব্যুরো প্রধান আনু মোস্তফা এবং স্টাফ রিপোর্টার তানজিমুল হক প্রয়াত আশরাফুল আলম পিন্টুর স্ত্রী সরলা বেগম এবং তার মেয়ে আনতারা আনজুমসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন। এসময় যুগান্তরের পক্ষ থেকে প্রয়াত পিন্টুর পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয় এবং তার বিদেহি আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।
মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশরাফুল আলম পিন্টু শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ভোরে স্ট্রোক করলে তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
লেখালেখির স্বীকৃতিস্বরূপ পিন্টু পেয়েছেন একাধিক পুরস্কার। তার অনবদ্য সৃষ্টি রূপকথা নয় চুপকথা গ্রন্থের জন্য ২০০৮ সালে অর্জন করেছেন এম নুরুল কাদের পুরস্কার। পর পর দুবার পেয়েছেন ইউনিসেফের মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড। প্রথমবার পেয়েছেন ছোট মেঘ আর পাখি গল্পের জন্য ২০০৯ সালে এবং দ্বিতীয়বার পেয়েছেন গাছটা একদিন মানুষ হয়ে গিয়েছিল গল্পের জন্য ২০১০ সালে। এছাড়া পরি আমার বোন গল্পগ্রন্থের জন্য ২০০৯ সালে পেয়েছেন এম নুরুল ইমান খান সম্মাননা।