বেতাগীতে ভিডিও ভাইরাল
স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুস গ্রহণের ভিডিও ভাইরাল
বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
বরগুনার বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফাহমিদা লস্করের বিরুদ্ধে ঘুস বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি ওই ঘুস বাণিজ্যের একটি ভিডিও (৬ মিনিট ৪৪ সেকেন্ড) যুগান্তরের হাতে এসেছে। ভিডিওতে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নির্দেশে ঘুসের টাকা গণনা করতে দেখা যায় ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত (ফার্মাসিষ্ট) কৃষ্ণ কুমার পালকে। তিনি (কৃষ্ণ) ঘুস লেনদেনের বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করলেও এমন কোনো বিষয় ঘটেনি বলে দাবি স্বাস্থ্য কর্মকর্তার। এদিকে তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জেলা ও বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।
ভিডিও থেকে জানা যায়, পথ্য ও স্টেশনারি সরবরাহকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মো. রেজাউল ইসলাম মামুন খান বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কক্ষে ঢোকেন। পরে তাদের দুজনের মধ্যে কথোপকথন হয়। একপর্যায়ে বেতাগী হাসপাতালে কর্মরত (ফার্মাসিস্ট) কৃষ্ণ কুমার পালকে তার অফিসে ডেকে মামুন খানের কাছ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকার বান্ডিলটি গুনে তার কাছে রাখতে নির্দেশ দেন। একপর্যায়ে কৃষ্ণ তার অফিস কক্ষে গিয়ে টাকাভর্তি খামটি খোলেন এবং টাকা গণনা করে রেখে দেন।
কৃষ্ণ কুমার পাল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ওইদিন আমি অফিসে কাজ করছিলাম। স্যার (ফাহমিদা লস্কর) আমাকে তার অফিস কক্ষে ডাকেন এবং মামুনের কাছ থেকে টাকাগুলো গুনে রাখতে বলেন এবং আমি গুনে রাখি। মামুন যাওয়ার পর, স্যার ওই টাকা আমার কাছ থেকে নিয়ে গেছেন। যেখানে ৫০০ টাকার নোটের একটি বান্ডিলে মোট ৫০ হাজার টাকা ছিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. ফাহমিদা লস্কর বলেন, ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে তারা মানসম্মত খাবার পরিবেশন করেন না। আমি এ নিয়ে তাদেরকে ডেকে মিটিং করে হুঁশিয়ারি দিয়েছি। আমি ঠিকাদারদের কাছ থেকে ছেছরামি করে টাকা নিব না। আমি পরিষ্কার, আমি ক্লিন। আর টাকা নিয়ে থাকলেও সেটি জরিমানা হতে পারে।
বরগুনা সিভিল সার্জন ডা. মো. মোহাম্মদ ফজলুল হক বলেন, হাসপাতালে খাদ্য সরবরাহকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ঘুস গ্রহণের কোনো সুযোগ নেই। এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বরিশাল স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল যুগান্তরকে বলেন, এ ধরনের অর্থ বাণিজ্যের কোনো সুযোগ নেই। যদি কোনো কর্মকর্তা করে থাকে তবে তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।