নাদিম হত্যার প্রত্যক্ষদর্শী
ইট দিয়ে আঘাত করে চেয়ারম্যানের ছেলে রিফাত
পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন চেয়ারম্যান বাবু
বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যার ঘটনা বর্ণনা করেছেন তার সহকর্মী ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক আল মুজাহিদ। ঘটনার দিন বুধবার রাত সোয়া ১০টার দিকে তিনি নাদিমের সঙ্গে উপজেলার পাটহাটি মোড় দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। দুজনকে আলাদা দুটি মোটরসাইকেলে যেতে সিসিটিভির ফুটেজেও দেখা গেছে।
আল মুজাহিদ দাবি করেন, ঘটনার সময় উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আলম বাবু পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। চেয়ারম্যানের ছেলে রিফাত সাংবাদিক নাদিমকে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। এ সময় সেখানে ২০ থেকে ২৫ জন উপস্থিত ছিলেন বলে জানান আল মুজাহিদ।
ঘটনার পর থেকেই নাদিমের পরিবার অভিযোগ করে আসছে, চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর বিরুদ্ধে খবর প্রকাশের পর থেকেই হুমকি পাচ্ছিলেন নাদিম। তিনিসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন চেয়ারম্যান। সেই মামলা খারিজ করে দেন আদালত।
ওই মামলার তিন নম্বর আসামি সাংবাদিক আল মুজাহিদ বলেন, রাত ১০টায় নাদিম মামা কলেজের সামনের দোকানে পান খেতেছিলেন। সেই সময় আমি আসতেছি, তিনি আমায় ডাক দেন এবং দুইজন একসঙ্গে বাসার দিকে রওনা হই। বকশীগঞ্জের পাটহাটি মোড়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে আমি একটু এগিয়ে বলি, মামা বৃষ্টি আসতেছে, আমি বাসায় চলে যাই। নাদিম মামা বলেন, যাও বাসায় যাও। এর মধ্যে মামা আমার পেছন থেকে মামা বলে ডাক দেয়। চলন্ত গাড়ির মধ্যে পেছন থেকে নাদিম মামার শার্টের কলার ধরে রাস্তার মধ্যে ফেলে দেয়। এরপর মনির, সাইদুর ও আরও কয়েকজন মামাকে কিলঘুষি মারতে মারতে মোড় থেকে অন্ধকারে নিয়ে যায়।
আল মুজাহিদ বলেন, চেয়ারম্যান বাবুর ছেলে রিফাত ছিল, রিফাত ইট দিয়ে নাদিম মামার মাথায় আঘাত করে। বাবু চেয়ারম্যান পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। তারপর আমর আলী মেম্বার ছিল, আরও অনেকেই ছিল। কমছে কম ২০-২৫ জন সন্ত্রাসী বাহিনী ছিল। তিনি আরও বলেন, পরে আমি সাংবাদিক লালনকে খবর দিই, লালন ঘটনাস্থলে আসার পর সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় নাদিমকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। নাদিমের সহকর্মী বকশীগঞ্জের সাংবাদিক এমদাদুল হক লালন বলেন, সংবাদ প্রকাশের জেরে নাদিমকে হত্যা করা হয়েছে।