
প্রিন্ট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১৯ পিএম

মঈন শেখ
প্রকাশ: ১১ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
আরও পড়ুন
শাহীন মাহমুদ। ব্যাংক কর্মকর্তা। এখন অডিট শাখায় আছেন। বউ-সন্তান রাজশাহী শহরে থাকলেও তিনি থাকেন ঢাকা। ঠিক ঢাকাও নয়। ঢাকা বিভাগের জেলাগুলো চষে বেড়ান অডিটের কাজে। বৃহস্পতিবারে রাজশাহী আসেন, শুক্র শনি থেকে আবার ফিরে যান। কোনো কোনো সপ্তাহ ফাঁকাও পড়ে। এ যেমন এবার এলেন এক সপ্তাহ ফাঁক দিয়ে। প্রায় পনের দিন পরে পরিবারের সঙ্গে দেখা।
শুক্রবার। ফুরফুরে আর নিষ্পাপ হেমন্তের সকাল। সকাল হেমন্তের হলেও শরতের গন্ধ তখনো শরীর থেকে যায়নি। রাতে ভরা চাঁদ ছিল। জানালা খুলে সারারাত চাঁদ-বন্যায় ভাসলেও সকালে তারা উঠলেন না। জানালার ওপারে ঝরা শিউলিগুলো অবহেলায় শুকাতে বসেছে। অথচ সূর্য ওঠার আগেই শাহীন মাহমুদের সেগুলো কুড়িয়ে আনার কথা ছিল। সিরামিকের সাদা প্লেটে শিউলি সাজিয়ে ড্রেসিং টেবিলের সামনে রাখার কথা ছিল। সকালে বউ ভেজা চুল নিয়ে যখন আয়নার সামনে দাঁড়াবেন, তখন খোলা চুল থেকে শিশির বিন্দুর মতো ঝুপঝুপ করে পানি ঝরার কথা ছিল সেই ফুলের ওপর। শাহীন বিছানা থেকে বাম হাতের কনুইয়ে মাথা রেখে অবাক বিস্ময়ে তা দেখার কথাও ছিল। হলো না। দুজনেই ঘুমে কাদা। তিন মেয়ে যে যার মতো খেলছে, পড়ছে কিংবা ছবি আঁকছে। তবে ভিন্ন ঘরে। তারা বয়সে ছোট হলেও মাথায় পাকনা। সারাদিন সারা বাড়ি মাথায় তুলে রাখলেও শুক্রবার সকালে বাবা-মায়ের ঘুম তারা ভাঙায় না।
যখন ঘুম ভাঙল, তখন দুজনেই লজ্জা পেলেন। আবার রাগও হলো নিজের ওপর। এত বেলা করে উঠা ঠিক হয়নি। তারা না হয় পেটের ক্ষুধাকে গলাটিপে রেখেছিলেন, এতক্ষণ কিন্তু মেয়েগুলো ক্ষুধা আটকাবে কীভাবে? কিছুটা রাগ হলো মেয়েদের ওপরও, তারা ডাকেনি দেখে। তবে তাদের কিছু বললেন না। শাহীন আরও কিছুক্ষণ শুয়ে থাকলেও বউ উঠে দৌড় দিলেন বাথরুম বলে। তার রান্নাঘরে ঢুকার তাড়া আছে।
সংসারের সব সামলিয়ে, মেয়েদের খাবার দিয়ে যখন নিজে খাবেন, তখন মনে হলো, সংসারে আরও একজন আছে। আর তখনই রাগ বাড়ল শাহীনের ওপর। ঘরে ঢুকে দেখেন মশাই দিব্যি ঘুমুচ্ছেন। খুশি ধপ করে বসে পড়লেন শাহীনের মুখ বরাবর। আর তখনই বোধহয় চুলের গোড়া থেকে এক ফোঁটা পানি খসে পড়ল শাহীনের ঘুমন্ত মুখে। ঘুম যে খুব গভীর তা নয়। চমকে উঠলেন না। আড়ষ্টভাবে তাকালেন শুধু। তবে খুশি কিছু বলে ওঠার আগেই বললেন-তোমার চুলটা একটু খুলে দেবে?
-কেন, তাহলে ঘুমাতে কি আরও সুবিধা হবে? খুশির কথা শুনে হাসলেন শাহীন।
-না, তা কেন? তবে সকালের খোলা চুল দিয়ে যখন মুক্তদানার মতো পানি ঝরে, তখন অদ্ভুত লাগে তোমাকে। সকালের শিউলির মতো। যতটা রাগ নিয়ে খুশি এসেছিলেন, তা আর রইল না। যদিও বাইরে প্রকাশ হলো না সেটা। লাল মুখ লালই রইল, শুধু লাল হওয়ার উপলক্ষ বদলাল মাত্র।
-শোন, এখন ঢঙের কথা ছাড়
-ছাড়লাম।
-আর হ্যাঁ, আজকে আমার ছুটি।
-মঞ্জুর। যেন এক কথার ওপর দুই কথাতে উত্তর দিতে জানেন না শাহীন। এবার সত্যি সত্যিই রাগ হলো খুশির।
-তুমি কি ইচ্ছা করেই আজ আমাকে রাগাতে চাও?
-মোটেও নয়।
-আচ্ছা তুমি কী বলত। ইদানীং আমার সব কথাতেই কেন জানি রাজি হয়ে যাও। দ্বিমত করতে ইচ্ছা করে না?
-তুমি তো আমার মতের কথাই বল।
-না বলি না, মোটেও বলি না।
-কেন, ঝগড়া না করলে ভালো লাগছে না?
-না লাগছে না। তুমি মাঝে-মধ্যে না রাগলে আমার ভালো লাগে না। এক ঘেয়েমি ঠেকে।
-আমি তো তোমার মতো হয়ে গেছি খুশি।
-আমার দরকার নেই অতটা স্ত্রীভক্ত স্বামীর। তুমি রাগবে, দরকার হলে মারবে। তুমি বাইর থেকে এলে আমি মোবাইলের কললিস্ট চেক করেছি, ঝগড়া হয়েছে। তোমার মুখের গন্ধ শুঁকে ঝগড়া করেছি, কখনো লাল চোখ দেখে ঝগড়া করেছি। এখন সব ছেড়েছ। এত ভালোমানুষী আমার ভালো লাগে না।
-তাহলে?
তাই তো, তাহলে শাহীন কী করবে? আবার আগের মতো হয়ে যাবে? এমন নানা প্রশ্ন মাথার মধ্যে ঘুরপাক খেতে লাগল খুশির মাথায়। ধক করে উঠল বুক। তবে বলতে পারলেন না- ঠিক আছে, যা ছিলে তাই হয়ে যাও।
-জানি প্যাঁচ মেরে তোমার কথা বলা স্বভাব। তোমার প্যাঁচে আজ আটকা পড়ব না। অত কথা বাদ, আমার ছুটি লাগবে, ব্যাস।
-সে তো অনেক আগেই মঞ্জুর করেছি। শাহীন জানে, খুশি মাঝে-মধ্যেই এমনটি করেন। বাইরের খাবারের ইচ্ছা করলে খুশির শরীর খারাপ হয়, মাথা ধরে কিংবা শাহীনের পাশে বেশিক্ষণ শুয়ে থাকতে ইচ্ছা করে। তবে শাহীন আজ তাকে হাত ধরে টানছে না। এতেও খুশির মনে অভিমান।
-কী উঠবে না? খুশি মৃদু রাগ দেখালেন।
-এখনই?
-আমি কি বলেছি এখনই?
-আচ্ছা। এবার আর নিজেকে আটকাতে পারলেন না খুশি। সত্যিই রেগে গেলেন। এমন নির্মোহ উত্তরে খামচে ধরতে ইচ্ছা করল শাহীনকে। প্রস্তুতও করলেন নিজেকে। দুই হাত তুলে শাহীনের বুকে মারতে গেলেন বটে, মারা হলো না। উলটো বাসি বিছানায় পড়ে থাকা বাসি বুকেই এ শুভ্র আর সতেজ বুকটা আছড়ে পড়ল।
আজ জুমার নামাজ নিজ মহল্লার মসজিদে পড়লেন না শাহীন। পড়লেন নিউমার্কেট মসজিদে। সেখান থেকে সুলতান ডাইন’স কাছেই। বেশ নাম শুনেছেন তার। আজ সেখান থেকেই খাবারটা নেবেন।
অলকার মোড়ে আসতেই সুমন আওয়ালের সঙ্গে দেখা। শিশু সাহিত্যে বেশ নাম কুড়িয়েছেন। সুমনের কয়েকটি বই শাহীন তার মেয়ের জন্য কিনেছেনও। তাছাড়া আগে থেকেই একটা সখ্য আছে দুজনের মধ্যে। সুমন আওয়ালও বোধহয় এদিকেই জুমা আদায় করেছেন। চেম্বার ভবনের সামনে ঝিম মেরে বসে আছেন সুমন। চায়ের দোকানের টুলে। যদিও দোকানটা এখন বন্ধ। খুলবে দুপুর গড়ালে। শাহীন সেদিকেই এগিয়ে গেলেন।
-এই যে সুমন ভাই কেমন আছেন?
-এই আছি আরকি। আপনি কেমন?
-আছি। বাহ্ সুন্দর পাঞ্জাবি। নিশ্চয় আপনার ফ্যাক্টরির। সুমনের পাঞ্জাবিতে হাত দিলেন শাহীন।
-আমার ফ্যাক্টরি মানে?
-না মানে যেখানে চাকরি করেন, সেই ফ্যাক্টরির কথা বলছি। শাহীনের কথাতে সুমন বোধহয় একটু বিরক্ত হলেন।
-দেখুন ভাই, আমি ওখানে কাজ করি। আর ওটা পাঞ্জাবির ফ্যাক্টরিও নয়, সোয়েটারের।
-সরি ভাই। তবে আপনার পাঞ্জাবিটা কিন্তু নজর কাড়া।
-এটা আমার বড় ভাইয়ের। ভাই খুব শৌখিন মানুষ ছিলেন। দামি দামি পোশাক পরতেন। এতদিন সব যত্ন করে তুলে রেখেছিলাম স্মৃতি হিসাবে। ক’দিন হলো পরছি। কথাগুলো শুনে শাহীন মাহমুদ চুপষে গেলেন। সহসা কোনো কথা এলো না মুখে। শাহীন জানেন, দু’বছর হলো সুমনের বড় ভাই মারা গেছেন। তবে সহজ হওয়ার জন্য হলেও কিছু একটা বলা দরকার। সেজন্যই বোধহয় বললেন।
-সুমন ভাই, ফ্যাক্টরি কবে খুলবে?
-আর বোধহয় খুলবে না ভাই। চার মাস তো হতে চলল।
-বেতন? শাহীনের মুখে বেতনের কথা শুনে আকাশের দিকে তাকালেন সুমন। আর আকাশের দিকে তাকিয়েই মুচকি হেসে বললেন-বেতন! ওরা রক্তচোষা, বুঝলেন? চার মাসের তো পাই’ই, তার আগের মাসেরটাও। আর সোয়েটারের কথা বললেন না, ওটা শুধু দেখা যায়, ছোঁয়া যায় না।
-কী বলেন ভাই, কোম্পানির পক্ষ থেকে কখনো গিফ্টও করেনি?
-ওটা তো দাতব্য প্রতিষ্ঠান নয় ভাই। সারা মুখে একটা ক্রুরতা ফুটে উঠল সুমনের।
-মাফ করবেন ভাই, ভেবেছিলাম অত বড়লোকের কারখানা। তার ওপর এলাকার এমপি।
-ওরাই সবচেয়ে বড় কাঙাল। আপনি বোধহয় জানেন না শাহীন ভাই, পৃথিবীর নামি দামি সোয়েটারের মধ্যে আমাদের ফ্যাক্টরিরটাও পড়ে। ইউরোপে এ সোয়েটারের খুব কদর। আমরা শুধু সুতা দেখি, সুতার রং দেখি। বড়জোর মেশিনে সুতা আটকে গেলে সেটা খুলে দিতে পারি। পূর্ণাঙ্গ সোয়েটার জড়িয়ে ধরতে পারি না। কেন, কবিতাটা পড়েননি? আমরা সেই নুড়ির মতো।
‘ফল বহিয়াছ, পাওনিক রস, হায়রে ফলের ঝুড়ি,
লক্ষ বছর ঝর্নায় ডুবে রস পায় নাকো নুড়ি।’ কবিতাটি আবৃত্তি করে প্যান্টের পেছনদিকটা ঝাড়তে ঝাড়তে উঠে দাঁড়ালেন সুমন আওয়াল। যদিও প্যান্টে কোনো ধুলা বা খড়কুটো লাগেনি। শাহীন ভাই, আমার একটু তাড়া আছে। সুমন আর দাঁড়ালেন না। শাহীন কিছু একটা বলতে পারেন, সেটাও ভাবলেন না সুমন। হাঁটা দিলেন।
সুমন চলে গেলে শাহীন কয়েক মিনিট বাকশূন্য হয়ে দাঁড়িয়ে থাকলেন। অনেক কিছুই মেলালেন; নিজের দিকে তাকিয়ে, সুমনের দিকে তাকিয়ে। গেল পাঁচ আগস্ট সুমনের সোয়েটার কারখানা বন্ধ হয়েছে। সুমনের ভাই দুই বছর হলো মারা গেছেন। সুমন বড় ভাইয়ের শখের পাঞ্জাবি পরে ঘুরছেন। শাহীন মাহমুদের নাকে তখন সুলতান’স ডাইনের খাবারের সুগন্ধ থাকার কথা। হঠাৎ সেই খাবারের কথা মনে এলেও টান অনুভব করলেন না। কিন্তু বউ আর মেয়েদের মুখ সামনে আসাতে ফিরেও যেতে পারলেন না। সুলতানের দিকেই যেতে হলো।
ঝলমলে হোটেল। হোটেল বললে অবশ্য সুলতান’স ডাইনকে অসম্মান করা হয়। রাজশাহীর মতো শহরে এমন খাবারের জায়গা ভাবাই যায় না। অন্তত পাঁচ বছর আগে তো নয়ই। এখন একটির সঙ্গে আরেকটি পাল্লা দিয়ে মাথা তুলছে শহরজুড়ে। সুলতানের এক বিল্ডিং পরেই কাবাব হাউজ। এ শহরে এখন দুইশত টাকা দিয়ে এক কাপ কফি খাবার মতো বারও আছে। সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠতেই পাতলা আর লম্বা এক ফিটফাট ছেলে ছুটে এলো শাহীনের কাছে। শাহীনকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই ছেলেটি বলল-স্যার খাবেন না পার্সেল?
-পার্সেল। ছোট জবাব দিলেন শাহীন।
-কী নেবেন? কাচ্চি বিরিয়ানি, চিকেন বিরিয়ানি, গরুর তেহারি, চিকেন তন্দুরি, পিজ্জা, চিকেন চাপ-নান, গ্রিল্ড চিকেন-নান; কী নেবেন বলেন?
-বলতে দিচ্ছ কই? তোমাদের কাচ্চি বিরিয়ানি কেমন?
-স্যার কী বলেন? আমাদের কাচ্চির সুনাম তো রাজশাহীজুড়ে। বলতে পারেন ওটার জন্যই টিকে আছি আমরা। দামে সস্তা, পরিমাণে বেশি। না স্যার, দামে সস্তা বলে জিনিস কিন্তু এ গ্রেটের। ছয় পিচ খাসির গোস্ত, দুই পিচ আলু, দুজনের সমান ভাত, সঙ্গে হাফ লিটার বোরহানি স্যার।
-বোরহানি কি ফ্রি? শাহীনের কথা শুনে জোর করে হাসল ছেলেটি। গাল দুটো শক্ত হওয়াতে হাসি সেভাবে ফুটল না।
ফ্রি নয়তো কী স্যার। মাত্র ১৪০ টাকা। তবে স্যার, আমাদের কাচ্চি কিন্তু সুগন্ধি সরু বাসমতী চালের। আর একটা সুবিধা স্যার, এক প্যাকেট নিয়ে আপনারা তিনজনে খেতে পারবেন। আপনারা তো অল্প অল্প খান।
-আমার খাওয়া কখনো দেখেছ? ছেলেটা এবার লজ্জা পেল। না হলে লজ্জা পাওয়ার ভঙ্গিমা অন্তত করল।
-স্যার, একবার নিয়ে যান, দেখবেন প্রতি শুক্রবার আসতে মন চাইবে। আমাদের কাচ্চির যেমন টেস্ট, তেমনই সুগন্ধ। খাবার বসে মনে হবে, এত দামি জিনিসটা মাত্র ৭৯৯ টাকায় পেলাম কী করে। ছেলেটির কথা শুনে না হেসে পারলেন না শাহীন। এবার ছেলেটির বাম হাত ধরে একটু সাইড করার চেষ্টা করলেন শাহীন। ছেলেটির কানের কাছে মুখ নিয়ে বললেন-তুমি বিয়ে করেছ? ছেলেটি লজ্জা পাওয়া হাসি এঁকে বলল-স্যার, একটু আগে আগেই করা হয়ে গেছে। দুই বছরের একটা মেয়েও আছে।
-একটা সত্যি কথা বলবে?
-বলব স্যার। বলেন কী বলবেন? শাহীনকে অনেকটা আপন মনে হলো ছেলেটির।
-তুমি কি কোনোদিন এই কাচ্চি খেয়েছ? ছেলেটি এবার কোনো কথা বলল না। কয়েক সেকেন্ড মাথা নিচু করে থাকল।
কী হলো, খেয়েছ? এবারও ছেলেটি কিছু বলল না। তবে ডানে-বামে মাথা ঝাঁকিয়ে না সূচক উত্তর দিল। শাহীনের সব স্বাদগ্রন্থি যেন জিহ্বার গোড়ায় গিয়ে ঠেকল। পৃথিবী নামক কাচ্চিটা বড় তিতা আর নিরস হয়ে উঠল। শাহীন ছেলেটির হাত ছেড়ে দিয়ে বলল-যাও, চার প্যাকেট কাচ্চি নিয়ে এস।
শাহীন ভেবেছিল অন্তত পনের মিনিট সময় লাগবে। তবে অত সময় লাগল না। মিনিট পাঁচেক পরেই ছেলেটি চার প্যাকেট কাচ্চি এনে শাহীনের সামনে হাজির। দাম মিটিয়ে ছেলেটির হাত ধরে আবারও বাইরে নিয়ে এলেন শাহীন। কাচ্চির দুটি প্যাকেট ছেলেটির হাতে দিয়ে বললেন-আজ বাড়িতে গিয়ে তোমার মেয়ে, বউ আর বাবা-মাকে নিয়ে একসঙ্গে খাবে। পরের শনিবারে এসে স্বাদটা কিন্তু জেনে যাব। প্যাকেট ছেলেটির হাতে দিয়ে এক মুহূর্ত দাঁড়ালেন না শাহীন। ছেলেটিকে না বলার বা আপত্তি করার কোনো সুযোগও দিলেন না। শাহীন তার চোখের দিকে তাকালেন না পর্যন্ত। ছেলেটির চোখ বেয়ে কতটুকু পানি পড়ল সেটাও দেখা হলো না শাহীনের। কীভাবে ছুটে বের হলেন তিনিই জানেন। বাইক এনেছিলেন বলেই হয়তো বাইকে উঠতে হলো। না হলে দৌড় দিতেন বাড়ি বলে।