মৃত্যুচেতনার শিল্পে আল মাহমুদের কবিতার কাজ

ড. ফজলুল হক তুহিন
প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
আল মাহমুদ (১১ জুলাই ১৯৩৬-১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯) বিশ্বসাহিত্যের অন্যতম শক্তিমান কবি। বাংলা সাহিত্যের একজন মৌলিক শক্তিমান ও প্রতিনিধিত্বশীল কবি। আল মাহমুদ মানেই বাংলাদেশের প্রতিধ্বনি ও প্রতিচ্ছবি। জীবনানন্দ দাশ ও জসীমউদ্দীনের পর ‘বাংলার কবি’ হিসেবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিনি। তাঁর কবিতা বাংলা সাহিত্যে একটি অনিবার্য অধ্যায়। কবি পরিচয়ের সঙ্গে একজন শক্তিশালী কথাসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, শিশুসাহিত্যিক, প্রভাবশালী সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবী হিসেবে আল মাহমুদ অসাধারণ ও অসামান্য ব্যক্তিত্ব। তবে সবচেয়ে বড় পরিচয় আল মাহমুদ আধুনিক বাংলা কবিতায় মৌলিক এবং ঐতিহ্যবাদী কবিপ্রতিভা। সেইসঙ্গে কবি হিসেবে বিশ্বসাহিত্যে বাংলাদেশের প্রতিনিধি। তাঁর কবিতার বৈচিত্রে জীবনের অনিবার্য সমাপ্তি মৃত্যু নানামাত্রিক ভাষ্যে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
পৃথিবীতে মানুষের জীবন এক প্রবহমান ধারা। তার জন্ম যেমন প্রাকৃতিক ঘটনা, জীবনের সমাপ্তিও অবসম্ভাবী পরিণতি। আধুনিক যুগে পুঁজিবাদী সভ্যতায় ও শ্রেণীবিভক্ত সমাজব্যবস্থায় মানুষের জীবনের নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তা নির্বিঘ্ন নয়। জীবিকাসহ জীবনের মৌলিক চাহিদা এখানে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। সমাজের বঞ্চনা-অন্যায়-নিপীড়ন জীবনের স্বাভাবিক সুস্থতা ও বিকাশকে রুদ্ধ করে দেয়। ফলে মানুষের মাঝে হতাশা, ক্ষোভ, বিতৃষ্ণা, অবসাদের মতো নেতিবাচক ব্যাধি জন্মে। সে জীবন থেকে পালাতে চায়, সমাপ্তি চায়; মৃত্যুকে স্বেচ্ছায় আলিঙ্গন করতে চায়। এ কারণে বার্ধক্য আসার পূর্বেও অনেকের মধ্যেই মৃত্যুভাবনা স্থান করে নেয়। আর জীবনের পড়ন্ত বেলায় এসে মৃত্যুকে অস্বীকার করার শক্তি কারো মধ্যে থাকে না। ফলে জীবনে মৃত্যুভাবনা তার নিত্য সহচর হয়ে ওঠে। জীবনের অমোঘ সত্য উপলব্ধির মাধ্যমে সে নতুন এক চেতনালোকের বাসিন্দা হয়ে যায়। আধুনিক কবিতায় মানুষের মৃত্যুভাবনা একটা বিশিষ্ট স্থান জুড়ে আছে। আল মাহমুদের জীবন ও কবিতার রূপান্তরের সাথে সাথে মৃত্যুভাবনায়ও নানা পরিবর্তন ও স্বাতন্ত্র্য লক্ষণীয়।
আল মাহমুদের কবিতায় মৃত্যু আপন ভাব ও প্রকরণে সমুজ্জ্বল। প্রথম পর্যায়ের কবিতায় মৃত্যুচেতনা বিস্তৃতভাবে প্রকাশ পায়নি। দ্বিতীয় পর্যায় থেকে কবি মৃত্যুকে উপলব্ধি করেন জীবনের নতুন এক দরোজা হিসেবে। কবির বয়স বৃদ্ধির কারণে স্বভাবতই শেষ পর্যায়ের কবিতায় মৃত্যুর প্রভাব তুলনামূলকভাবে বেশি। এ পর্যায়ে কবি মৃত্যুকে কামনা করেছেন জীবনাবসানের জন্যে। প্রাথমিক পর্যায়ে জীবন-জীবিকার অনেক সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে আল মাহমুদ অগ্রসর হলেও মৃত্যুর অনুভূতি তাঁর মাঝে কাজ করেনি। প্রথম দুটি কাব্য ‘লোক লোকান্তর’ ও ‘কালের কলস’-এ তাঁর মৃত্যুচেতনার স্পন্দন নেই। ‘সোনালি কাবনি’ কাব্যের মাত্র তিনটি কবিতায় এই চেতনার রঙ ছড়িয়েছে। কবি ‘‘অন্তরভেদী অবলোকন’’ কবিতায় প্রত্যক্ষভাবে মৃত্যুকে অনুভব করেছেন এবং অত্যন্ত কাছ থেকে মৃত্যুর হিংস্র চেহারা দেখেছেন। অন্যদিকে “সোনালি কাবিন-৪” কবিতায় স্পষ্টভাবে মৃত্যুর সত্যকে নির্মোহ দৃষ্টিতে অবলোকন করেন। এ পর্যায়ে কবির মৃত্যু পরবর্তী জীবনে বিশ্বাস নেই; মৃত্যুর পরে সমাধির ঘাসছাড়া আর কিছু নেই- এ মতেই তাঁর আস্থা।
মরণের পরে শুধু ফিরে আসে কবরের ঘাস।/যতক্ষণ ধরো এই তাম্রবর্ণ অঙ্গের গড়ন তারপর কিছু নেই, তারপর হাসে ইতিহাস।/ [সোনালি কাবিন-৪]
মৃত্যুর মাধ্যমে মানুষের জীবনের সমাপ্তি ঘটে, সে হয়ে যায় ইতিহাসের অংশ। ইতিহাস গ্রাস করে নেয় সব। ইতিহাসের হাসিতে ভরে ওঠে জগৎ। মানুষ আর ফিরে আসে না কখনো; ফলে ইতিহাসের আধিপত্যই শুধু বিরাজ করে। কবি এই সত্য প্রকাশে তাই নিরাসক্ত। আল মাহমুদের লৌকিক জীবন ও প্রকৃতির প্রতি রয়েছে তীব্র আসক্তি। জীবনের সমস্ত আয়তনে ও প্রকৃতির সমুদয় শরীরে তাঁর লিপ্ততা ও লগ্নতা আন্তরিক ও সংবেদনশীল। সে কারণে এই চিরচেনা স্বদেশের দৃশ্যপট থেকে প্রস্থানের ভাবনা যখন কবির মধ্যে এসেছে, তখন স্বভাবতই তাঁর বুক কেঁপে উঠেছে। ‘সোনালি কাবিনে’র “আমি আর আসবো না” কবিতায় জীবনের আয়োজন ও প্রকৃতির বিস্তার থেকে তাঁর বিদায় নেবার ঘোষণা উচ্চারিত হয়েছে বোবা কান্নার স্বরে। পরিচিত সবকিছু ফেলে কবি চিরতরে চলে যাবেন, আর ফিরে আসবেন না- এই চিন্তায় কবি বেদনাহত। তাই “আমি আসবো না” শব্দপুঞ্জ বারবার মন্ত্রের মতো কবি উচ্চারণ করেন অশ্রুভরা কণ্ঠে।
কেন এতো বুক দোলে? আমি আর আসবো না বলে?
যদিও কাঁপছে হাত তবু ঠিক অভ্যেসের বশে
লিখছি অসংখ্য নাম চেনাজানা/সমস্ত কিছুর।
প্রতিটি নামের শেষে, আসবো না।/পাখি, আমি আসবো না।
নদী, আমি আসবো না।/নারী, আর আসবো না, বোন। [আমি আর আসবো না]
না আসা বা না ফেরার কথা বারবার বললেও কবির ভেতরে ঠিকই রক্তক্ষরণ ঘটে। কবি আর প্রত্যাবর্তন করবেন না বলেই রাজপথে মিছিলের প্রথম পতাকা হাতে তুলে নেবার সাহস প্রদর্শন করে, মানুষকে সংগঠিত ও উদ্দীপিত করে তোলেন কথার মাধ্যমে। তবুও কবির মাঝে বিগত দিনের স্মৃতি আলোড়ন সৃষ্টি করে। জীবনের সুখ-দুঃখ-প্রেম-কাম-কবিতাকে কবি বিদায় জানায় শেষ বারের মতো এবং তাদেরকে মনে হয় না ফেরার পথের মাইলপোস্ট। কবি অনিবার্য মৃত্যুর মুখোমুখি হবেন, এমন এক সত্যের সঙ্গে বোঝাপড়া করতেই যাপিত জীবন ও জগৎ থেকে কবি শেষ বিদায় নিয়ে নেন; আবেগাকুল ভাষায় ও ভঙ্গিতে।
‘মায়াবী পর্দা দুলে ওঠো’র পর থেকে আল মাহমুদের কবিতায় মৃত্যুচেতনার সুস্পষ্ট অভিব্যক্তি ও বিস্তৃতি লক্ষণীয়। কবির বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুর অনুভূতিও জোরালো হয়েছে। এ পর্বে কবি মৃত্যুর পরে নতুন এক জগতে প্রবেশের প্রত্যয়ে উপনীতি হয়েছেন। এই দৃশ্যমান পটভূমিতে জাগতিক জীবন অতিবাহিত করে কবি পারলৌকিক জীবনে পৌঁছবেন- এই বিশ্বাস তাঁর মধ্যে ধ্রুব সত্যের মতো ক্রিয়াশীল। কখনো কবি এই চেতনায় জারিত হয়ে অধ্যাত্ম ভাবনায়ও আপ্লুত হয়েছেন। সবৃষ্টির ধারাবর্ষণ প্রকৃতিতে সৃষ্টিশীলতার নিয়ামকরূপে কাজ করে। অন্যদিকে মানুষের মাঝেও নানা ভাবনার অবতারণা হয়। কখনো মৃত্যুচিন্তা স্মৃতির ভেতরদেশে আলোড়ন তোলে। ‘অদৃষ্টবাদীদের রান্নাবান্না’ কাব্যের “শ্রাবণ” কবিতায় এমন এক মনোভাব ব্যক্ত হয়েছে।
শ্রাবণধারায় কবির মাঝে মৃত্যুচেতনা ছায়া ফেলেছে।
এক ধারা বর্ষণের সন্ধ্যেবেলায় ভাবনা একটি
ভেজা পাতার মতো দুলতে লাগলো।
কেন জানি মনে হলো, এসো মৃত্যুর কথা ভাবি।
মাঠের ওপাশে কবরগুলো বৃষ্টির ধোয়ায়
আবছা শান্ত হয়ে আছে। মনে হয়
নিঃশ্বাস ফিরিয়ে দিলেও এদের কেউ পৃথিবীতে
বাস করতে চায় না।
[শ্রাবণ]
বৃষ্টিময় এক প্রাকৃতিক পরিবেশে কবি আচ্ছান্ন হয়ে পড়েন মৃত্যুভাবনায়। আর দৃষ্টির সীমানায় মানুষের কবর থাকার কারণে তার প্রভাব পড়েছে কবির চিন্তায়। ফলে পূর্ব-পুরুষ, পরিচিত, অপরিচিতসহ অসংখ্য মানুষের মৃত্যুর স্মৃতি পাখির ওড়াওড়ির মতো কবির চেতনায় ডানা মেলেছে। এইসব মৃত্যুর মাঝে প্রিয়জনের মৃত্যুর দুঃসহ স্মৃতি কবিকে বিরহকাতর করে তোলে। জীবন ও প্রকৃতির মধ্যে তীব্র এক সাযুজ্যের সন্ধান পেয়েছেন কবি। সম্পূর্ণ কবিতাটিতে মৃত্যুগন্ধময় এক পরিবেশর বর্ণনা আছে যেখানে কবির মৃত্যুভাবনার অন্ধকার বিস্তৃত।
জীবনের পড়ন্ত বেলায় অনেক মানুষের মধ্যে মৃত্যুভাবনার সাথে সাথে মৃত্যুকে স্বেচ্ছায় বরণ করে নেয়ার মানসিকতা তৈরি হয়ে যায়। পৃথিবীর জীবন ছেড়ে অন্য এক জগতে প্রবেশের জন্যে শুভ কামনা ব্যক্ত করেন। আল মাহমুদের আটান্ন বছর বয়সে প্রকাশিত ‘আমি, দূরগামী’র “স্মৃতির মেঘলাভোরে” কবিতায় এই ধরনের মনোভঙ্গি প্রকাশিত। কোনো এক শুভ শুক্রবারে মৃত্যুর দূত যদি কবির কাছে এসে পারলৌকিক জীবনে যাওয়ার জন্যে বলে তাহলে কবি ভালো-মন্দের কথা না ভেবে ভাববেন এ মহানন্দময় দিন- ঈদ।
কোনো এক ভোরবেলা, রাত্রিশেষে শুভ শুক্রবারে
মৃত্যুর ফেরেস্তা এসে যদি দেয় যাওয়ার তাকিদ;
অপ্রস্তুত এলোমেলো এ গৃহের আলো অন্ধকারে
ভালোমন্দ যা ঘটুক মেনে নেবো এ আমার ঈদ।
ফেলে যাচ্ছি খড়কুটো, পরিধেয়, আহার, মৈথুন-
নিরুপায় কিছু নাম, কিছু স্মৃতি কিংবা কিছু নয়;
অশ্রুভারাক্রান্ত চোখে জমে আছে শোকের লেগুন
কার হাত ভাঙে চুড়ি? কে ফোঁপায়? পৃথিবী নিশ্চয়।
স্মৃতির মেঘলাভোরে শেষ ডাক ডাকছে ডাহুক
অৃদশ্য আত্মার তরী কোন্ ঘাটে ভিড়ল কোথায়?
কেন দোলে হৃদপ্লি, আমার কি ভয়ের অসুখ?
নাকি সেই শিহরণ পুলকিত মাস্তুল দোলায়!
আমার যাওয়ার কালে খোলা থাক জানালা দুয়ার
যদি হয় ভোরবেলা স্বপ্নাচ্ছন্ন শুভ শুক্রবার।
[স্মৃতির মেঘলাভোরে]
কবি যাপিত জীবনের অবলম্বন, চাহিদা, আপন জন, অসংখ্য স্মৃতি, প্রিয় নারীর অশ্রুভেজা চোখের চাহনি ইত্যাদি কবিকে আলোড়িত করে। কবি মৃত্যুর জন্যে মানসিক দিক থেকে প্রস্তুত; তারপরও অন্তর কেঁপে ওঠে ভয়ে। তবু কবির শুভ কামনা হলো মৃত্যুর সময়টা যেন হয় শুক্রবার স্বপ্নাচ্ছন্ন এবং জানালা দুয়ার যেন খোলা থাকে। অর্থাৎ সুন্দর ও পবিত্র এক মুহূর্তকে কবি নির্বাচন করেন মৃত্যুর জন্যে। পারলৌকিক জীবনের প্রতি বিশ্বাস এবং স্রষ্টার দয়া পাওয়ার ব্যাপারে আস্থা থাকার কারণে কবি মৃত্যু কামনায় নিশ্চিন্ত।
আল মাহমুদের কবিতায় মৃত্যুচেতনা শেষ পর্বে এসে আরো এক মাত্রা যোগ হয়েছে। এ পর্যায়ে কবির চৈতন্যে মৃত্যু অত্যন্ত নিকটবর্তী; মৃত্যুর সৌন্দর্য অনুভব এবং মৃত্যুর মাধ্যমে নবজন্মের ভাবনা ক্রিয়াশীল। পার্থিব জীবন ও পারলৌকিক জীবনের মধ্যে সেতুবন্ধ নির্মাণ করে দেয় মৃত্যু- এই বিশ্বাসে কবি মৃত্যুর ব্যাপারে দ্বিধাহীন ও ভয়মুক্ত। সীমাহীন সমস্যা ও বিপদ সংকুল এই জগৎ-সংসার পেরিয়ে কবি তাই পড়ন্ত বয়সে অন্তিম বিশ্রাম আকাঙ্ক্ষী; মৃত্যুর নদী পেরিয়ে পরপারের সুন্দর জীবন প্রত্যাশী। কবির প্রার্থনা তাদের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্যে। কবি নিজের চলার ইতিহাস স্মরণ করে সমাপ্তির প্রাক্কালে নতুন চেতনায় ও জীবনের দার্শনিক সত্যে উপনীত হয়েছেন।
আমি থাকবো না, এর চেয়ে আনন্দের/সংবাদ আর কি হতে পারে। পৃথিবীটা তো
না থাকারই জায়গা। যারা ছিলেন/তারা তো মাত্র একটি শতাব্দীর মধ্যে ইতিহাসে
মিলিয়ে গেছেন। ইতিহাস? আমার হাসি পায়। [অদম্য চলার ইতিহাস]
এখানে তিনটি বিষয় তাৎপর্যপূর্ণ। প্রথমত, পার্থিব জগতে অমরতায় অবিশ্বাস; দ্বিতীয়ত, এ জগতে ‘মৃত্যুই সুন্দর’; তৃতীয়ত, দুনিয়াতে না থাকার আনন্দ অনুভব যা তাঁর কাব্যে ও আধুনিক বাংলা কাব্যে নতুনত্বের চিহ্নবাহী। কবি জীবনের পড়ন্ত বেলায় মৃত্যুকে নতুনভাবে উপলব্ধিতে নিয়ে আসেন। মৃত্যুকেই জীবনের সমাপ্তি, মৃত্যু অবসম্ভাবী, মৃত্যু পারলৌকিক জীবনে যাবার পথ বা দুয়ার, মৃত্যু চিরসত্য ও সুন্দর; মৃত্যু সম্পর্কে এমন সব দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় তাঁর এ পর্বের কবিতায় স্বাক্ষরিত। ‘সমাপ্তি’ শব্দটি এ ক্ষেত্রে বারবার ব্যবহৃত হয়েছে, যা বিশেষ তাৎপর্যের ব্যাপার। তিনি মৃত্যু সম্পর্কে বস্তুবাদী থেকে অধ্যাত্মবাদী দৃষ্টিভঙ্গিতে রূপান্তরিত হয়েছেন। কবি আপন পথনির্মাণ করেন এবং এক্ষেত্রে নতুন মাত্রায় চিন্তা-চেতনার আবতারণা করেন। বাংলা কবিতার ঐতিহ্যিক পথে কবি হেঁটেও প্রকাশশৈলীতে নিজস্বতাচিহ্নিত ভাবনায় উজ্জ্বল হয়ে উঠেছেন।