সৌদি আরবের আমন্ত্রণে ২০১৮ সালে লেখক পবিত্র হজ পালন করতে গিয়েছিলেন। হজের সংবাদ পরিবেশনের জন্য গোটা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানিয়ে থাকে সৌদি মিডিয়া মন্ত্রণালয়। ওই সুযোগে পবিত্র হজ পালনেরও সুযোগ দেওয়া হয়। বাংলাদেশ থেকে এই বইয়ের লেখককে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। হজ পালন করতে পারলেও সেটি ছিল তার ‘ওয়ার্কিং ভিজিট’। সংবাদ সংগ্রহ এবং ধর্ম পালন। কিন্তু আরবে রাজকীয় অতিথি হিসাবে আরেক ক্যাটাগরিতে দেশটি সফর, হজ কিংবা ওমরাহ পালনের সুযোগ আছে। ২০২৪ সালে সে সুযোগও লেখক পেয়েছিলেন। রাজকীয় অতিথি হিসাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে পবিত্র ওমরাহ পালনে আমন্ত্রণ জানানো হলো তাকে। লেখক তাতে অংশ নিয়ে পবিত্র ওমরাহ পালন করেন। একই বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের শেষ দিকে নভেম্বরে মিডিয়া মন্ত্রণালয় গ্লোবাল হারমোনি নামের একটি অনুষ্ঠানের সংবাদ সংগ্রহের জন্য লেখকসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে আমন্ত্রণ জানায়। বিভিন্ন দেশ তাদের সংস্কৃতিকে তুলে ধরেছে গ্লোবাল হারমোনির মাধ্যমে। অনুষ্ঠানটি সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দ ছিল চার দিন। এ সময় বাংলাদেশের শিল্পীরা নিজের দেশের সংস্কৃতি, কৃষ্টি, আচার-অনুষ্ঠান, ঐতিহ্য তুলে ধরেছেন। বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের মানুষ তা উপভোগ করেছেন।
‘মহানবির দেশে প্রিয় নবি হজরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর জন্মভূমি সৌদি আরবে তিন দফায় লেখকের সফরের বৃত্তান্ত। ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনের পাশাপাশি পুণ্যভূমিতে নবিজির স্মৃতিবিজড়িত বহু জায়গা দেখার সুযোগ হয় লেখকের। পবিত্র স্থানগুলো ইসলামের ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ। নিজের ধর্মের ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিজের চোখে দেখা শুধু ভ্রমণ নয়; বরং নিজের মনে অনন্য এক ভালোবাসার অনুভূতির সৃষ্টি করে। লেখককেও সে অনুভূতি নাড়া দিয়েছিল। তিনিও আবেগে-উচ্ছ্বাসে ভেসেছিল। ‘মহানবির দেশে’ অবশ্য শুধু সেই অনুভূতির প্রকাশই নয়; বরং ইতিহাস, সমাজ, ভূগোল, রাজনীতি, কূটনীতির প্রয়োজনীয় সন্নিবেশনও এ রচনায় অন্তর্ভুক্তির চেষ্টা আছে। মক্কা ও মদিনার মতো পবিত্র ভূমির পাশাপাশি সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ কীভাবে একটি ধনী দেশের রাজধানী কসমোপলিটন হিসাবে গড়ে উঠেছে; সেটাও এই বই পড়ে জানার সুযোগ হয়েছে।
লেখক এখনো একজন সক্রিয় সাংবাদিক। তাই যথেষ্ট সময় নিয়ে বই লেখার অবসর তার হাতে নেই। তবুও কাজের ফাঁকে কিছুটা সময় বের করে লিখেছেন। এই বিষয়ে লেখক ভূমিকায় বলেন, পাণ্ডুলিপির জন্য বারবার তাগাদা দিয়ে প্রকাশক দেওয়ান মাসুদা সুলতানা বইটি লিখতে অনেকটা বাধ্য করেছেন। এ কাজে তার কোনো ধৈর্যচ্যুতি ছিল না। মাসুদা আপাকে এ জন্য ধন্যবাদ। বইয়ের বানান সংশোধনের দায়িত্ব পালনের জন্য আমার সহকর্মী এইচ এম জাকারিয়াকেও জানাচ্ছি। অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
‘মহানবির দেশে’ আমার দ্বিতীয় বই। এর আগে ‘লণ্ঠন হাতে কণ্টক পথে’ নামের আমার একটি বই বের হয়েছিল। সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতাবিষয়ক বই। এবারের বইটি ভ্রমণকাহিনি। বইটি সম্পর্কে আপনাদের সুচিন্তিত মতামত জানালে কৃতজ্ঞ থাকব।