আর কি আসবে দিন-প্রতীক্ষার পেরিয়ে চৌকাঠ
আমাদের গৃহস্থালি (সুখের বেবাক ঘরদোর)
থাকবে কি নিরাপদ সূর্যস্নাত অপরূপ ভোর
স্বপ্নের সবুজ ক্ষেত অফুরন্ত ফসলের মাঠ!
আমাদের মানচিত্র শকুনির হিংস্র থাবায়
বিপন্ন প্রকৃতি আর যত খাল বিল নদী
কখনো বিদ্রুপ ধ্বনি কাতরানি শুনি আর যদি
তখন আমিও হব হন্তারক চোখ রেখে কাবায়।
তার চেয়ে এসো করি জীবনের বাজি রেখে শ্বাস
ভালবেসে মিটে যাক যতটুকু পাওনা দিনার
সবুজের মাতামাতি অবারিত প্রাণের উদ্ভাস
মিটে যাক ভাগাভাগি কড়ি দিয়ে ফসল কেনার।
জাতিসংঘ! তোমাদের প্রয়োজন নেইতো এবার
সংঘহীন মানবতা ঘুচে যাক যত অবিশ্বাস!
২.
শুধুই বন্ধুতা নয়-নয় সখ্য, জন্মগত অধিকার
মনে হয় চিরকাল (থাকা না থাকার সমূদয়)
হয়তো তোমার মাঝে ছিল না অবাধ সমন্বয়
বেঁচে থাকা মুখোমুখি (অপ্রেমের প্রাচীর দ্বিধার)।
সময় কাটছে বেশ পরস্পর দূর পরিক্রমা-
মৃত্তিকা আকাশজুড়ে স্বপ্নজাল বোনা অহোরাত
তোমার বিবর্ণ চোখে প্রত্যুষের সোনালি প্রভাত
খুঁজেছি আবার ফিরে স্বীকারোক্তি এবং ক্ষমা।
না, পাইনি কোনো দিনযাপনের অমিয় আশ্বাস
মাথার ওপর খাড়া কর্তব্য সময়ের মন্থরতা
আমাদের মাঝে বাড়ে অতৃপ্তির নিবীর্য বিশ্বাস
বিদ্ধ করে সুসময় অপূর্ণ প্রেমের কাতরতা!
তবুও বলছি সখ্য-বন্ধুতার প্রাত্যহিক প্রশ্বাস
জেনে নিক পৃথিবীর আজো বেঁচে প্রেম অমরতা!