হেলাল হাফিজের কবিতা: বিষয় ও প্রবণতা

মোহাম্মদ আলী
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২০, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

হেলাল হাফিজ আজীবন দুঃখের চাষাবাদ করে গেলেন শিল্পের প্রয়োজনে। মাত্র একটি কাব্যগ্রন্থ (যে জলে আগুন জ্বলে (১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দ) লিখে তুঙ্গস্পর্শী কদর বোধহয় বাংলাসাহিত্যে কেন, বিশ্বসাহিত্যেও বিরল।
হেলাল হাফিজ জীবনে কবি, যাপনে কবি। তার সৃষ্ট পঙ্ক্তিমালার মর্ম ও সংবেদন, অন্তর্নিহিত লাবণ্যপ্রভা, নান্দনিক সৌরভ কবিতা প্রেমিকদের অবিশ্বাস্য দ্রুততায় আলোড়িত করেছে। দেশপ্রেম, নারীপ্রেম ও সমকাল ভাবনার সূত্র থেকে উৎসারিত তার কবিতার বিষয় বৈচিত্র্য অনন্য।
কবিতার পরিমিতিবোধ ও প্রায়োগিক দিকটি বেশ শক্তিশালী। বিগত তিন যুগের কাছাকাছি সময় ধরে বাংলাসাহিত্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রীত বই হেলালের ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ বললে অত্যুক্তি হবে না।
নন্দনতত্ত্বের ভিত্তির ওপর কবিতার মানদণ্ড বিবেচিত হলেও সামাজিক মানুষ হিসেবে কবি দায়বদ্ধ সমাজের প্রতি। তার কবিতায় দেশ, কাল, প্রেম, দ্রোহ, সমকাল ও স্বদেশ চেতনার সন্ধান পাওয়া যায়।
১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে দেশ বিভাগের পর এক দশক যেতে না যেতেই নতুন রাষ্ট্র পাকিস্তানে সামরিক শাসনের সূত্রপাত ঘটে। ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে মার্শাল ল জারি, মৌলিক গণতন্ত্রে লেবাসে দেশকে ক্রমাগত বিপর্যস্ত করে তোলে বিশেষ করে পূর্ব বাংলা তথা পূর্ব পাকিস্তানের ব্যক্তি ও সমাজের সব ধরনের স্বাধীনতা হরণ, শাসনের নামে শোষণ। বাক-স্বাধীনতা, মিছিল সমাবেশ এমনকি নাগরিকের মৌলিক অধিকারও হয় রহিত। হেলাল হাফিজের কবিতায় আমরা এ ক্রান্তিকালে অস্তিত্বের প্রগাঢ় আহ্বান শুনতে পাই। তিনি উচ্চারণ করলেন সময়ে সেরা দাবিটি :
এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়
এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়।
সময়ের সেরা উচ্চারণটি হেলাল হাফিজ করলেন বাঙালির সবচেয়ে সংকট ও উত্তেজনার সময়ে। আগুনে কেরোসিন ঢালার মতো ধপ করে জ্বলে উঠল তারুণ্য, প্রখর দীপ্ত শপথে শত্রু হননের প্রতীজ্ঞায়।
নিষিদ্ধ সম্পাদকীয় কবিতায় উঠে আসে মুক্তিযুদ্ধ, স্বদেশ চেতনার তুমুল আলোড়ন, যৌবনের প্রখর জয়গান। অস্তিত্বের প্রগাঢ় আহ্বানে প্রিয় নারীর সান্নিধ্য তুচ্ছ হয়ে ওঠে স্বদেশের সংকটে।
মোহরের প্রিয় প্রলোভনে কোনো দিন মাথা নত করে না স্বদেশ চেতনায় দীক্ষিত মানুষ। মিছিলে সমাগত করে সংসারীকে, প্রেমিককে-বৈরাগীকে, শান্তি সন্ধানীকে, তিনি সমবেত করেন জাগতিক লোভের ও লাভের টানাপোড়েনে লোভের দিকে পা না বাড়ানো মানুষকেও। যৌবন মানুষের উৎকৃষ্ট সময়, স্বদেশের এ কঠিন সময়ে আজ সবাই যৌবনপ্রাপ্ত। প্রেমিককে তিনি খুনি হিসেবে দেখতে চাইছেন, স্বদেশের তীব্র সংকটে। উথালপাতাল টালমাটাল সময়ে হেলালের সুগভীর স্বদেশপ্রেম :
যদি কেউ ভালোবেসে খুনি হতে চান/তাই হয়ে যান
উৎকৃষ্ট সময় কিন্তু আজ বয়ে যায়।
অন্ধকারের বুক চিরে উঠে আসা হেলাল হাফিজের কবিতার আলোর ঝলকে মুছে যাবে স্বৈরতন্ত্র, প্রতিষ্ঠা পাবে হেলাল হাফিজের মানবতন্ত্র। মারণাস্ত্রকে যিনি স্বদেশের প্রয়োজনে অলঙ্কার করে নয় মাসে বনজঙ্গলে নির্ঘুম রাত কাটালেন তিনিই আবার মানবিক মূল্যবোধের প্রয়োজনে দুই লাইনের কবিতায় অসভ্য সভ্যতার অস্ত্রে অনাস্থা প্রস্তাব করেন :
নিউট্রন বোমা বোঝ/মানুষ বোঝ না।
কবিতায় আছে অসভ্য সভ্যতার বাম দিক, মানুষের বিবেকের সদর দরজায় একটা ঝাঁকুনি। সচেতন করেন সভ্যতার মানুষকে কৌশলে, শৈল্পিক প্রকাশ ভঙ্গিতে। আজকের অসভ্য অস্ত্র সভ্যতার প্রতি তার অনাস্থা, মানবিক জাদুর কাঠি দিয়ে মানবিক ও মনুষ্যত্বের, প্রেমের ও শিল্পের, এক নতুন পৃথিবী তিনি প্রত্যাশা করেন।
সভ্যতা যখন ধীরে ধীরে অশ্লীল হতে লাগল কবিতার শরীরে তিনি পরিবর্তন আনলেন, সমকাল সচেতন কবি চারপাশের অস্থিরতা, মানুষের কপটতা, নষ্ট রাজনীতি, কৃত্রিম সংকট, মানুষের লোলুপতায় সবুজ বীজতলায় যখন পাথর বসল তখন বড্ড অস্থির। চোখের সামনে কৃত্রিম প্লাবনে সব উবে যাচ্ছে, বৃক্ষ হারাচ্ছে তার সবুজ পিরান, মৃত্তিকায় পুরাচ্ছে সুঘ্রাণ, চারপাশের হাহাকারে মানবতাবাদী কবির দৃঢ় প্রত্যয় :
আমি আর আহত হবো না,/কোনো কিছুতেই আমি শুধু আর আহত হবো না।/পাখি যদি না দেয় উড়াল, না পুড়ে আগুন,/
অদ্ভুত বন্ধ্যা হলে উর্বরা ফাগুন, আমি আহত হবো না।
মানুষের দুঃখ, বেদনা, উৎপীড়িত, লাঞ্ছিত জীবনকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে দুঃখবাদ। বাংলা কাব্যসাহিত্যে যতীন্দ্রনাথ সেন গুপ্তের কবিতায় বেদনা, রিক্ততা, হতাশা, ব্যর্থতার করুণ ক্রন্দন শোনা গেছে। দুঃখের বহ্নিজ্বালায় জ্বলেছে তার কবিসত্তা। তার দুঃখবাদ জড়বাদী দর্শন এবং মানবপ্রীতি থেকে উদ্ভূত। ষাটের দশকের কবি হেলাল হাফিজের দুঃখ-শোক আমরা সোজা রেখায় দুঃখবাদ বলতে পারি না, আবার হেলাল হাফিজকে আমরা হতাশাবাদীও বলতে পারি না। তিনি নিয়তি তাড়িত দুঃখের যেমন ফেরিওয়ালা আবার নান্দনিক দুঃখের চাষীও বলতে পারি। তার দুঃখ জন্ম থেকে জীবনের একমাত্র মৌলিক কাহিনী এবং এ কাব্যিক চাহিদার মৌলিক দাবির অন্যতম উপাদান এই দুঃখ।
তবে যে সব সময় এ বহ্নিশিখার পথ নিজেই মাড়িয়েছেন এমন কিন্তু না নিয়তিও তাকে পুড়িয়ে খাঁটি করেছেন শৈশব, কৈশোর এবং পরিণত বয়সে। তাই তার কবিতার পোস্টমর্টেম করলে বেরিয়ে আসে :
আমার শৈশব বলে কিছু নেই/আমার কৈশোর বলে কিছু নেই,
আছে শুধু বিষাদের গহীন বিস্তার,/দুঃখ তো আমার হাত-হাতের আঙুল- আঙুলের নখ/দুঃখের নিখুঁত চিত্র এ কবির আপাদমস্তক।
অ্যারিস্টটল বলেছেন, ‘কবিতা দর্শনের চেয়ে বেশি ইতিহাসের চেয়ে বড়।’ এডগার এলান বলেছেন, ‘কবিতা হল সৌন্দর্যের ছন্দময় সৃষ্টি।’ কার্লাইল বলেছেন, ‘কবিতা হল মিউজিক্যাল থট।’ এগুলো দার্শনিকদের সংজ্ঞা কিন্তু কবিরা তাদের কবিতায়ই এই অমীমাংসিত প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছেন বারবার। যেমন- আল মাহমুদ তার ‘কবিতা এমন’ কবিতায় খুঁজেছেন :
কবিতা চরের পাখি, কুড়ানো হাঁসের ডিম, গন্ধ ভরা ঘাস
ম্লান মুখ বুইটির দড়ি ছেঁড়া হারানো বাছুর
গোপন চিঠির প্যাডে নীল খামে সাজানো অক্ষর
কবিতা তো মক্তবের মেয়ে চুলখোলা আয়েশা আক্তার।
হেলাল হাফিজও এই চিরন্তনী অমীমাংসিত প্রশ্নের উত্তর খুঁজেন তার ‘উৎসর্গ’ কবিতায়:
কবিতা কি কেবল শব্দের মেলা, সঙ্গীতের লীলা?
কবিতা কি ছেলেখেলা, অবহেলা, রঙিন বেলুন?
কবিতা কি নোট বই, টু-ইন ওয়ান, অভিজাত মহিলা-সেলুন?
কবিতা কি অবিকল মানুষের মতো?
১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দের গণঅভ্যুত্থান থেকে মধ্য আশির দশকের স্বৈরশাসনের মাতাল হাওয়ায় লিখা ৫৬টি কবিতায় হেলাল অসাধারণ কারুময় শৈল্পিক সত্ত্বা ও নান্দনিকতা প্রেম, সমকাল ও স্বদেশকে এঁকেছেন, অল্প চরণের কবিতায় বৃহৎ বিষয় তুলে আনার মুনশিয়ানা ও দূরদর্শিতার পরিচয় দেন। তার অবিকল মানুষের মতো কথা বলা কবিতাগুলো তিনি দিয়ে গেলেন আমাদের, বেদনার নৌকায় যাত্রী হয়ে একদিন শরীরীভাবে হয়তো মহাকালে চলে যাবেন। দিয়ে যাবেন দিনযাপনের ফসল :
আমার কবিতা আমি দিয়ে যাবো/আপনাকে, তোমাকে ও তোকে।
শৈশব কৈশোর যৌবনে পেরিয়ে বার্ধক্যের শেষ লগ্নে এসেও তিনি কখনও বেদনাকে ছেড়ে থাকেননি। বেদনা যে তার পরম আপন। জীবনও তাকে হতাশ করেনি উজাড় করে দিয়েছে সেই নীল বেদনা। কখনও কখনও নিজের মতো করে বেদনাকে নিজেই সহোদরার মতো করে খুঁজে নিয়েছেন। তবে আফসোস তার :
‘এটা এমনই একটা আকালের দেশ, যেখানে নান্দনিক দুঃখ দেওয়ার মানুষের বড্ড অভাব ফলে কিছু বেদনা, কিছু দুঃখ আমি নিজেই আমার ভেতর তৈরি করে নিয়েছি এবং চেষ্টা করেছি এই বেদনাকে শিল্পে রূপান্তরিত করার।’
এ নান্দনিক দুঃখ দেয়ার মানুষের সন্ধানে ক্ষরণের লাল স্রোতে আজীবন উল্টো স্রোতে ভেসেছেন। দুঃখঘাতে সঙ্গোপনে নিজেকে নির্মাণ করতে জননীর জৈবসারে বর্ধিত বৃক্ষের নিচে দাঁড়িয়ে কাঁদতেন কবি। শৈশবে সাধ হতো নিজেই কবর হওয়ার। নিজেকে ছিঁড়ে খুঁড়ে নিজের ভেতরের বেদনাকে বাইরে দেখতে চেয়েছেন, শিল্পের সাধনায় দেখাতে চেয়েছেন :
কী দারুণ বেদনা আমাকে তড়িতাহতের মতো কাঁপালো তুমুল
বেদনার নাম করে বোন তার শুশ্রূষায়
যেন আমাকেই সংগোপনে যোগ্য করে গেলো।
এই সঙ্গোপনে যোগ্য হওয়ার পথে তিনি ঋণী তার নারীদের কাছে, যেমনটা ঋণী ফুলের কাছে মৌমাছিরা তাই তো তার দৃঢ় শপথ হিরণবালার প্রতি।
যে হিরণবালার সুকমল স্পর্শে তিনি বেঁচে উঠেছেন। তার হেলেন, সবিতা, শঙ্করী অথবা হিরণবালা কোনো অলীক নারী নয়। যাপিত জীবনে কবি তাদের স্পর্শে নিজের নিথর আঙুলে সুর বাজিয়েছেন। শৈল্পিক সৃষ্টি ও নান্দনিক বোধের দীর্ঘ যাত্রাপথে প্রিয়তম নারী তাকে সঞ্জীবনী ও বাজানোর ব্যঞ্জনা দিয়েছে। আজন্ম তিনি তাদের কাছে ঋণী :
নারী-খেলার অভিজ্ঞতার প্রথম এবং পবিত্র ঋণ
তোমাকে নিয়ে কবিতা লিখে সত্যি কি আর শোধ হয়েছে?
প্রেমের মোড়কে তার কবিতায় সমকাল ভাবনা চিরভাস্বর। ‘দুঃখের আরেক নাম’ কবিতায় পাপ, পঙ্কিলতা থেকে উদ্ধারের আহ্বান, নারীর নিবিড় স্পর্শে জেগে উঠতে চাওয়ার আকুতি হেলালের, তবে জেগে উঠলেন প্রায় অর্ধযুগ পরে, প্রত্যাবর্তন কবিতায়। কিন্তু পেছনে রয়ে গেল ‘কস্টলি’ অতীত। পোড়াতে বড্ড ইচ্ছুক পোড়খাওয়া কবি। জন্মাবধি পোড়ালেন নিজেকে তাই তো দুঃখের আরেক নাম হেলাল হাফিজ। ফিরে এলেও তিনি যথারীতি বেদনার অলঙ্কারে মূঢ়। ফিরে এলেও চোখের সামনে সেই অনেক কিছু, থাকে না সময়ে বদলে গেল, বদলাল হেলেন, শঙ্করী সবিতারা, বদলে গেল সড়ক, রাজনীতি, মিছিল, জনতা কিংবা রাজপথের স্লোগান। অকথিত কথার বকুল শঙ্করী হারাল, কৈশোরে যার সঙ্গে অ্যানাটমির ক্লাসের শেষে রেললাইনের পথ ধরে প্রেমের সরলপথ খুঁজত। সদ্য পিতৃহারা মৌলিক কবিতে অধিক হারালেও ফিরে আসতে হয় :
প্রত্যাবর্তনের পথে
ভেতরে ক্ষরণ থাকে লাল-নীল প্রতিনিয়তই,
থাকে প্রেসক্লাব-বার্ডরুম, রঙিন জামার দোকান শোক।
তিনি যখন এই কবিতার গাঁথুনি দিচ্ছিলেন তখন রাজনৈতিক চরম নৈরাজ্য চলছে। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে দীর্ঘদিনের মৌলিক বিশ্বাস দেখছেন ক্ষমতার আর লোভের কাছে নতজানু হচ্ছে মূল্যবোধ। তিনি বলছেন গভীর ক্ষত নিয়ে :
যুদ্ধোত্তর মানুষের মূল্যবোধ পাল্টায় তুমুল,
নেতা ভুল,
বাগানে নষ্ট ফুল,
হারানোর সব ভয় হারিয়ে হেলাল হাফিজ কাব্যতীর্থে যাত্রা করলেন। ভয় তো তাকে ভয় পায়। একজন মানুষের জীবন কতটুকু দুঃখময় হতে পারে, কতটুকু দুঃখ মানুষ নিতে পারে, দুঃখের সবটুকু দুঃখ নিয়েই হেলাল হাফিজ যাত্রা করলেন কবিতার শহরে; আর পেছনে পড়ে থাকল শোকের সব ক’টি দ্বীপ। তার আত্মদর্শনের এক আকুণ্ঠিত নম্র ঘোষণা এই যে, কোনো দুঃখই তাকে বিচলিত করে না, আসলে সব কিছু হারিয়ে কিংবা এসব শোক দ্বীপ পেরিয়ে তিনি যাত্রা করলেন কাব্যতীর্থে।
সব কিছু হারিয়েই সে মানুষ/হারাবার ভয় হারিয়েছে,
তার পর তীর্থ হয়েছে।
শোক শক্তিতে পরিণত হয় বাণীতে। বেদনার গরলপানে হন নীলকণ্ঠ। আন্তরিক বন্ধু কবিতায় জীবনের বহিঃপ্রকাশ করতে চেয়েছেন হেলাল হাফিজ। তিনি জানেন এবং সচেতন কবিতা পাঠকও জানেন কবিতা মানুষের সবচেয়ে আন্তরিক বহিঃপ্রকাশ। তা হয়তো এমনি কোনো কারণে প্রাচীন গ্রিক কবি হোমার, ইলিয়াড বা ওডিসি মুখে মুখে আওড়াতেন। হেলালও আওড়ালেন নিজের যাপিত জীবনের সারকথা :
পৃথিবীর তিন ভাগ সমান দু’চোখ যার
তাকে কেন এক মাস শ্রাবণ দেখালে!
হেলাল হাফিজের কবিতা সাহসের পক্ষে কল্যাণকর, সমকাল সংকট যেমন উঠে আসছে কবিতায় তেমনি সংকট তীব্রতার প্রাচীর ভেঙে বিজয় আলিঙ্গনের পথ বাতলে দেয়া আছে। আমরা বলতে পারি দ্রোহ, প্রেম, বিরহের পক্ষে তার কবিতা।