বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে প্রচণ্ড গরমে কষ্ট পাচ্ছে সাধারণ মানুষ। রাজধানী ঢাকায় তুলনামূলকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ বেশি থাকলেও এখানেও লোডশেডিং হচ্ছে। আর জেলা এবং গ্রামীণ এলাকাগুলোয় দিনের বড় একটা সময় বিদ্যুৎ থাকে না। ফলে ভোগান্তি বাড়ছে জনজীবনে। ঢাকায় বিদ্যুৎ বিতরণকারী দুই সংস্থা ডিপিডিসি ও ডেসকোর মতে, কারিগরি ত্রুটির কারণে কিছু এলাকায় বিভিন্ন সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটছে। গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) সূত্র জানায়, তারা চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ পাচ্ছে না। তাই বিতরণেও ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কোথাও কোথাও দৈনিক ছয় থেকে আট ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে।
সরকারি হিসাবে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৬ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট, যদিও বাস্তবে ১৫ হাজার মেগাওয়াটের বেশি উৎপাদন করা যায় না। সরকারি হিসাবে বর্তমানে দেশে চাহিদার তুলনায় দেড় হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুতের ঘাটতি রয়েছে। তবে বাস্তবে এই ঘাটতি আরও বেশি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। চাহিদার চেয়ে গ্যাসের সরবরাহ কম হওয়ায় গ্যাসভিত্তিক কেন্দ্রগুলো থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন কম হচ্ছে। তেলভিত্তিক কেন্দ্রগুলোও পুরোদমে চালানো যাচ্ছে না। এতে কিছুটা ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে কারিগরি জটিলতায় কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়া। কারিগরি ত্রুটির কারণে রামপাল, আশুগঞ্জ নর্থ এবং আশুগঞ্জ ইস্ট-এ তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্র সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। প্রশ্ন হলো, এভাবে আর কতদিন? বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থার উন্নতি করুন। সেই সঙ্গে বিদ্যুতের অপচয় ও দুর্নীতি দূর করে এ সমস্যার সমাধান করুন। এই প্রচণ্ড গরমে মানুষকে স্বস্তি দিন।
ফারজানা ইয়াছমিন মিমি
শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা