Logo
Logo
×

চিঠিপত্র

মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনার শেষ কোথায়?

Icon

প্রকাশ: ২৯ মার্চ ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

বেশ কিছুদিন ধরে বাংলাদেশের সীমান্তঘেষাঁ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ব্যাপক গোলাগুলি ও মর্টারশেল বিস্ফোরণের তাণ্ডব চলছে। এতে সীমান্তসংলগ্ন বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে বসবাসরত বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এটি এবারই যে প্রথম ঘটছে তা নয়, বছরখানেক আগেও এ ধরনের উত্তেজনার রেশ এসে পড়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে। সেই সময়েও একাধিক বাংলাদেশি নিহত হয়েছিলেন মিয়ানমারের যুদ্ধরত বাহিনীর ছোড়া মর্টারশেলের আঘাতে। তাদের মর্টারশেল, গুলি ও যুদ্ধবিমান বাংলাদেশের সীমান্তের ভেতরে এসে পড়ার বিষয়টি আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। দেশটির এমন আগ্রাসী আচরণের যৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্য কোনো ব্যাখ্যাও পাওয়া যায় না। ফলে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার বিষয়টি মারাত্মকভাবে উপেক্ষিতসহ একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের নিরাপত্তা শঙ্কা দেখা দিয়েছে। উল্লেখ্য, মিয়ানমারের সামরিক-বেসামরিক উত্তেজনার জের ধরে তাদের অধিবাসী রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বৃহৎ অংশ আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে। বিষয়টি ততক্ষণ পর্যন্তই মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসাবে বিবেচিত হতো, যতক্ষণ এর আঁচ এসে বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডে না পড়ত। মিয়ানমার লাগোয়া বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অস্থির পরিস্থিতি ও উসকানি মিয়ানমার জান্তার অপরিণামদর্শী কর্মকাণ্ডের বহিঃপ্রকাশ। বাংলাদেশ ঢাকায় অবস্থানরত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে এসবের কড়া প্রতিবাদ জানালেও তারা বিষয়টি খুব একটা ধর্তব্যের মধ্যে নেয় বলে মনে হয় না।

বাংলাদেশ এক্ষেত্রে এখনো চরম ধৈর্যের পরিচয় দিচ্ছে। তবে আন্তর্জাতিক সীমান্তের ক্ষেত্রে পরিচয়টা ধৈর্যের নয়, হতে হয় সক্ষমতার। বর্তমানে মিয়ানমারে সামরিক জান্তা এবং সশস্ত্র বিদ্রোহী গ্রুপগুলোর মধ্যে সংঘাত চলছে। এ উত্তেজনার রেশে মিয়ানমার সীমান্ত থেকে আবারও রোহিঙ্গাদের ঢল নতুন করে বাংলাদেশে আসার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে যদিও স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে আর কোনো শরণার্থীকে বাংলাদেশ আশ্রয় দেবে না, কিন্তু একবার যদি রোহিঙ্গা আসা শুরু হয়, তাহলে তাদের ঠেকানো যাবে না।

আমাদের সীমান্তকে আরও সুরক্ষিত করতে মিয়ানমারে ঠিক কী ঘটছে সে সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্যের ব্যাপারে ঘাটতি আছে বাংলাদেশের। তাই গোয়েন্দা তথ্যের নেটওয়ার্ক আরও শক্তিশালী করা প্রয়োজন এবং বাংলাদেশের উচিত মিয়ানমার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি রাষ্ট্রের সামর্থ্য বৃদ্ধি করা।

মুনযির আকলাম, বুড়িচং, কুমিল্লা

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম