দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম প্রধান চিকিৎসাকেন্দ্র হচ্ছে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। এখানে একটু উন্নত চিকিৎসাসেবা পেতে বরিশাল বিভাগের আওতাধীন সব জেলা, উপজেলা থেকে প্রতিদিনই কয়েক হাজার মানুষ আসেন। আমাদের মৌলিক অধিকারগুলোর মধ্যে চিকিৎসা অন্যতম একটি মৌলিক অধিকার; কিন্তু জনগণের এ মৌলিক অধিকার বর্তমানে কেবলই পাঠ্যপুস্তকের পাতায় সীমাবদ্ধ-যা আমাদের বাস্তবিক জীবনে ভোগ করা প্রায় দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীকে চূড়ান্ত হয়রানি, রোগীকে চিকিৎসা দিতে ডিউটি ডাক্তারের গড়িমসি, নার্সদের ফাঁকিবাজি ও খারাপ আচরণ, ওয়ার্ডবয়, ক্লিনার এবং হাসপাতালে ডিউটিরত আনসারদের চাঁদাবাজি যেন রোজকার ঘটনা। দূর-দূরান্ত থেকে আসা সাধারণ রোগীদের ভোগান্তির যেন শেষ নেই। শেবাচিম এখন অনিয়ম আর দুর্নীতির আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে। কিছুদিন আগে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডিউটিরত ডাক্তারের অবহেলাজনিত কারণে একজন রোগী মারা যান এবং তার নাতনি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এর প্রতিবাদ করতে গেলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়, তার কিছুদিন আগে নিউজ কাভার করতে গিয়ে বেশ কয়েকজন টেলিভিশন সাংবাদিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন।
সাংবাদিকরা যেখানে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে হেনস্তার সম্মুখীন হয় সেখানে সাধারণ মানুষ কতটা অসহায় একবার ভাবুন। পুরো হাসপাতাল সিন্ডিকেটে ভরা, যদি কোনো রোগীকে বলা হয় বাইরে থেকে একটি টেস্ট করাতে হবে, ঠিক তখনই শুরু হয় দালালচক্রের দৌরাত্ম্য। অল্প কিছু লাভের আশায় তারা সাধারণ রোগীদের নিয়ে যায় নামসর্বস্ব সব ডায়াগনস্টিক সেন্টারে, আর সেখানে অধিকাংশ রিপোর্ট হয় ভুল! কিন্তু দিনের পর দিন কর্তৃপক্ষের নাকের ডগায় বসে এসব হয়ে আসছে; কিন্তু কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। সাধারণ মানুষ এর প্রতিকার চায়।
মো. মেহেরাব হোসেন রিফাত
বরিশাল