
প্রিন্ট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০২:১৮ এএম

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

আরও পড়ুন
ভারতের বিতর্কিত ওয়াকফ (সংশোধনী) আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও সহিংসতায় এখনো থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে কলকাতাসহ গোটা পশ্চিমবঙ্গে। মুর্শিদাবাদের কিছু অংশ জুড়েও বিরাজ করছে আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মুর্শিদাবাদে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) মোতায়েন করা হয়েছে। রাজ্য পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বেশ কয়েকটি এলাকায় তারা টহল দিচ্ছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে শনিবার রাত থেকে এই টহল শুরু করা হয়। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
সার্বিক পরিস্থিতির ওপর রাজ্য প্রশাসন কড়া নজর রাখছে। এরই মধ্যে রোববার পর্যন্ত ১৫০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে এ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন বাতিলের দাবি কেন্দ্র করে মুসলমানপ্রধান মুর্শিদাবাদ জেলায় শুক্রবার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এরপর পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে শনিবার সকালে সামসেরগঞ্জের ধুলিয়ান পৌর অঞ্চলের অন্তর্গত জাফরাবাদ থেকে দুই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার হলে উত্তেজনা আবারও বেড়ে যায়। বিভিন্ন জায়গা থেকে সংঘাতের খবর পাওয়া যায়। পরিস্থিতি রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় পশ্চিমবঙ্গের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির নেতা শুভেন্দু অধিকারী কলকাতা হাইকোর্টে যান এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আরজি জানান। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট স্পর্শকাতর কয়েকটি এলাকায় কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী (সিএপিএফ) মোতায়েনের নির্দেশ দেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সব ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন স্বরাষ্ট্র সচিব গোবিন্দ মোহন।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার জানিয়েছেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। এছাড়াও বিএসএফের সহযোগিতা নিয়েছে রাজ্য। আগেই স্থানীয় ৩০০ ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী সদস্য মোতায়েন করা হয়েছিল। এছাড়া ট্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ধুলিয়ান এবং সুতি রেলস্টেশনে বাড়তি রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।
কলকাতার স্পর্শকাতর এলাকায় গণপরিবহণ চলাচল করলেও তা সংখ্যায় বেশ কম। রোববার সকাল থেকেই স্পর্শকাতর এলাকাগুলোর অধিকাংশ জায়গায় দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট সেবাও।
উল্লেখ্য, ২ এপ্রিল ভারতের পার্লামেন্টে বিতর্কিত ওয়াকফ সংশোধনী বিল পাশ করা হয়। প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মুর স্বাক্ষরের পর সেটি এরই মধ্যে আইনে পরিণত হয়েছে। এরপর থেকেই নতুন ওয়াকফ সংশোধনী আইন প্রত্যাহারের দাবিতে রাজ্যজুড়ে আন্দোলন শুরু হয়।