
প্রিন্ট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩৭ পিএম

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

আরও পড়ুন
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মামলায় আসামি গ্রেফতারের আগে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এতে মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি যে ঘটনায় যুক্ত ছিলেন সে বিষয়ে উপযুক্ত প্রমাণ হাজির করার কথাও বলেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার এসব নির্দেশনা দিয়ে অফিস আদেশ জারির পর শনিবার বিষয়টি সামনে আসে।
ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত ওই অফিস আদেশে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনসংক্রান্ত রুজু করা মামলায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে এজাহারভুক্ত আসামির সংখ্যা অধিক। এসব মামলার এজাহারভুক্ত কিংবা তদন্তে প্রাপ্ত আসামি গ্রেফতারের জন্য উপযুক্ত প্রমাণসহ (ভিকটিম, বাদী, প্রত্যক্ষদর্শী, সাক্ষী, ঘটনাসংশ্লিষ্ট ভিডিও, অডিও, স্থির চিত্র ও মোবাইলের কললিস্ট বা সিডিআর ইত্যাদি) অবশ্যই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে গ্রেফতার করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার ফারুক হোসেন বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনসংক্রান্ত অনেক মামলা কোর্টে দায়ের করা হয়েছে। ওই সব মামলা যাচাই-বাছাই করা সম্ভব হয়নি। এসব মামলায় এমন অনেক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে যারা সম্পৃক্ত নয়। এটা নিয়ে মাঠপর্যায়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে। কিছু লোকজন এটা নিয়ে অবৈধ সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে। তিনি আরও বলেন, এমন অনেক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে যারা ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। এমনকি আন্দোলনের সময় দেশের বাহিরে ছিলেন। এসব নিরপরাধ ব্যক্তি যাতে হয়রানির শিকার না হন। সেজন্য এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তথ্যপ্রমাণ সাপেক্ষে কাউকে গ্রেফতারে অনুমতি নিতে হবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, মাঠপর্যায়ে আমাদের ঊর্ধ্বতন পুলিশ সদস্য হচ্ছেন ডিসি, এডিসি, এসি এবং ওসিরা। তদন্তে কারও নাম আসার পর গ্রেফতারের আগে ঊধ্বর্তন পুলিশ সদস্যদের জানাতে বলা হয়েছে। তবে কারও সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেলে গ্রেফতার করেও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো যাবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সারা দেশে শুরু হয় ঢালাও মামলা। এসব একেকটি মামলায় কয়েক হাজার করেও আসামি করা হয়েছে, যাদের অনেকের ঘটনার সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলেও প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।