
প্রিন্ট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫৫ পিএম

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১১ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ছবি: সংগৃহীত
আরও পড়ুন
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার। তিনি বলেন, ‘আমরা আগে থেকেই সতর্ক ছিলাম। যেসব উৎস দিয়ে প্রশ্ন বের হয়ে যায়, ফাঁস হয়; সেসব উৎসে আমাদের কঠোর নজরদারি ছিল, আছে এবং থাকবে। প্রশ্নফাঁস ঠেকানোকে আমাদের টপ প্রায়োরিটি এরিয়া হিসাবে দেখেছি। এটা রোধে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।’ পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে উপদেষ্টা রাজধানীর মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় এবার সোয়া ১৯ লাখেরও বেশি পরীক্ষার্থী। আজ পরীক্ষা শুরু হলো, এক মাস চলবে। উপদেষ্টা বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনেকে প্রশ্নফাঁসের গুজব ছড়ায়। তাদের প্রতি অনুরোধ থাকবে-এমন কাজ করবেন না। শিক্ষার্থী-অভিভাবক সবাই এসময় চাপে থাকেন। সুতরাং গুজব ছড়িয়ে তাদের চাপটা আর বাড়াবেন না। এদিকে পরীক্ষা শেষে শিক্ষার্থীদের ‘হাসিমুখে’ রাজধানীর বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে বের হতে দেখা গেছে। প্রশ্নপত্র নিয়ে শিক্ষার্থীরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। তারা বলেছে, প্রশ্নপত্র খুব সহজ হয়েছে। এদিন মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন কুরআন মজিদ ও তাজবিদ এবং কারিগরি বোর্ডের বাংলা-২ পরীক্ষা হয়।
প্রথম দিনে অনুপস্থিত ২৭ হাজার, বহিষ্কার ২২ : এদিকে প্রথম দিনে সারা দেশে অনুপস্থিত ছিল ২৬ হাজার ৯২৮ জন পরীক্ষার্থী। অনুপস্থিতির হার ১ দশমিক ৫৬ শতাংশ। অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে বহিষ্কার হয়েছে ২২ জন। বৃহস্পতিবার পরীক্ষা শেষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের কন্ট্রোল রুম থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। প্রথম দিনে বৃহস্পতিবার বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা হয়। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন দাখিলে কোরআন মজিদ বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছে। আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি ভোকেশনাল ও দাখিল ভোকেশনালে বাংলা-২ বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সারা দেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তথ্য অনুযায়ী, ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১৩ লাখ ৩৪ হাজার ৬৩০ জন। এর মধ্যে ১৩ লাখ ১৯ হাজার ৮৯২ পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। অনুপস্থিত ছিল প্রায় ১৪ হাজার ৭৩৮ জন। এসব বোর্ডে বহিষ্কার হয়েছে ১০ জন পরীক্ষার্থী। সবচেয়ে বেশি ৩ হাজার ৪৯৬ জন অনুপস্থিত ঢাকা বোর্ডে। এছাড়া রাজশাহীতে ১৬২২, কুমিল্লায় ২৫৫৩, যশোরে ১৮০০, চট্টগ্রামে ১১৭৩, সিলেটে ১১৭৩, বরিশালে ১ হাজার ৩৩, দিনাজপুরে ১৩৪১, ময়মনসিংহে ৮৪২ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল।