
প্রিন্ট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২২ পিএম
১৬ এপ্রিল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির সাক্ষাৎ
সংসদ নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চাইব: সালাহউদ্দিন আহমেদ

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

সালাহউদ্দিন আহমেদ
আরও পড়ুন
সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ, সংস্কার ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার জন্য প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে বিএনপি। আগামী ১৬ এপ্রিল দুপুর ১২টা নাগাদ প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে। দলের পক্ষ থেকে সময় চাইলে প্রধান উপদেষ্টা ওইদিন (১৬ এপ্রিল) নির্ধারণ করে দেন বলে জানান স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। এছাড়া পরদিন ১৭ এপ্রিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক করার কথা রয়েছে।
বুধবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে সৃষ্ট ধোঁয়াশা কাটাতে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা জরুরি। আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে সুর্নিদিষ্টভাবে আগামী ডিসেম্বরের আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ চাইব। যাতে উনি ক্লিয়ারলি জাতির সামনে যথাযথ প্রক্রিয়ায় উপস্থাপন করেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করেছি তারা জুনের মধ্যে সব প্রস্তুতি সমাপ্ত করতে পারবে। প্রধান উপদেষ্টা এর আগে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানে সব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন। এখন যেহেতু বিভিন্ন বিষয়ে নানা পক্ষের বক্তব্যে একটা ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে, সেটা পরিষ্কার করার জন্য আমরা তার প্রতি আহ্বান জানাব।’
প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা খেয়াল করেছি বিভিন্ন মিডিয়ায় ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যথেষ্ট লেখালেখি হচ্ছে। বিএনপি কি ধর্মনিরপেক্ষতায় ফেরত গেল? এখানে মিস ইন্টারপ্রেট করা হচ্ছে। সংবিধান সংস্কার কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে দুটি স্প্রেডশিট আমাদের দেওয়া হয়েছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন থেকে। এটা আসলে একটা অপূর্ণাঙ্গ বিষয়। আমরা বলেছিলাম বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেব এবং জমা দিয়েছিও। সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন, যেটার ৪৫ থেকে ৭২ পৃষ্ঠা পর্যন্ত প্রায় ১০৫টা সুপারিশ আছে। সেটার প্রত্যেকটির অ্যাড্রেস করে বিস্তারিত প্রতিবেদনে জমা দিয়েছি। স্প্রেডশিট যেভাবে হ্যাঁ-না জবাব দিতে বলা হয়েছে, সেটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। সেটা আমরা সেদিনই (প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময়) উল্লেখ করেছি।’
তিনি বলেন, ঐকমত্য কমিশন সংবিধানের মূলনীতিতে বহুত্ববাদের কথা, সাম্য, মানবিক মর্যাদা ইত্যাদির কথা বলেছে। কিন্তু বহুত্ববাদসহ অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে আমরা একমত নই। রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি আর সংবিধানের মূলনীতি হিসাবে আমরা একমত নই। এরপর আমাদের মন্তব্য দিয়েছি। সেই মন্তব্যটা আর কেউ এখানে উল্লেখ করেনি। মন্তব্যটা হচ্ছে, আমরা সংবিধানের প্রস্তাবনার অংশে কী চাই-তা উল্লেখ করেছি। পঞ্চদশ সংশোধনী পূর্ব অবস্থা বহাল চাই।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ন্যাশনাল কনস্টিটিশনাল কাউন্সিল, ব্যবস্থা আমরা স্বীকার করি না। এগুলো যদি হয় তাহলে এক্সিকিউটিভ এবং লেজিসলেচালের কোনো গুরুত্ব থাকবে না। সেই ব্যবস্থা আমরা অ্যাপ্রুভ করিনি। এনসিসির মাধ্যমে জরুরি অবস্থার প্রবর্তনের জন্য যে কথাটা বলেছেন, একে তো আমরা এনসিসি মানি না। দ্বিতীয়ত, তারা প্রস্তাব করেছেন, জরুরি অবস্থা জারির সময়ে মানুষের মৌলিক অধিকার স্থগিত থাকবে না। জরুরি অবস্থার মানে কী? জরুরি অবস্থার মানে হলো-কিছু কিছু অধিকার স্থগিত থাকবে। সেজন্য আমরা বলেছি, এটা বাস্তবসম্মত নয়। সে বিষয়ে আমরা একমত হতে পারলাম না।’ গুলশান কার্যালয়ে এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিহউল্লাহ।