
প্রিন্ট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১৩ এএম

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ফাইল ছবি
আরও পড়ুন
আগামী ২৯ এপ্রিল হজ ফ্লাইট শুরু হবে। তবে ১০ হাজার ৪৮৭ হজযাত্রীর বাড়িভাড়া এখনো চূড়াস্ত হয়নি। তাদের হজযাত্রা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। উপদেষ্টা বলেন, সর্বশেষ গত সোমবার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা হজ এজেন্সিগুলোর সঙ্গে জুম প্ল্যাটফর্মে সভা করেছেন। ওই মিটিংয়ে এজেন্সিগুলোর দেওয়া তথ্য অনুসারে, ৮ এপ্রিল দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মক্কায় ১ হাজার ১২৬ জন এবং মদিনায় ১ হাজার ৬৭ জন হজযাত্রীর বাড়িভাড়ার অনুরোধ নির্ধারিত পদ্ধতিতে দেওয়া হয়নি।
উপদেষ্টা বলেন, বেসরকারিভাবে ৮১ হাজার ৯০০ জন হজযাত্রীর মধ্যে মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মক্কায় ৭৪ হাজার ৬২৬ জন ও মদিনায় ৭৮ হাজার ৬৮৭ জনের বাড়িভাড়া নিশ্চিত হয়েছে। পক্ষান্তরে মক্কায় ৭ হাজার ২৭৪ জন এবং মদিনায় ৩ হাজার ২১৩ জন মোট ১০ হাজার ৪৮৭ জন হজযাত্রীর বাড়িভাড়া এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তিনি আরও বলেন, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে হজ এজেন্সিগুলোকে অব্যাহতভাবে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বাড়িভাড়া দেওয়ার জন্য তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। বাড়িভাড়া চুক্তি সম্পাদন করেনি এরূপ এজেন্সিগুলোকে আমরা কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছি। সোমবার পর্যন্ত এ ধরনের এজেন্সির সংখ্যা ছিল ২১টি, তবে এখন সেটা ৯টিতে নেমে এসেছে। সৌদি সরকারের ঘোষিত রোডম্যাপ অনুসারে আগামী ১৮ এপ্রিলের মধ্যে সব হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। উল্লেখিত সময়ের মধ্যেই সব হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন করার জন্যও হজ এজেন্সিগুলোকে চিঠি দিয়েছি।
তিনি বলেন, আপনাদের মাধ্যমে স্পষ্ট করে বলতে চাই-কোনো এজেন্সির অবহেলা বা গাফিলতির কারণে একজন হজযাত্রীও যদি হজ করতে না পারেন সে দায় সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে নিতে হবে। এ দায় কোনোভাবেই ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় বহন করবে না। কোনো এজেন্সির অবহেলা ও দায়িত্বহীনতাকে ধর্ম মন্ত্রণালয় বরদাশত করবে না।
তিনি বলেন, ২৫ মার্চ রাত ৩টা পর্যন্ত আমাদের কর্মকর্তারা অব্যাহতভাবে চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। তারপরও কিছুসংখ্যক এজেন্সি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নুসুক মাসার প্ল্যাটফর্মে বাড়িভাড়ার রিকোয়েস্টই সাবমিট করেনি। সৌদি সরকার পুনরায় ৩ এপ্রিল পর্যন্ত ১০ দিন সময় বৃদ্ধি করে। আমার সচিব ঈদের ছুটির মধ্যে সব হজ এজেন্সি ও এয়ারলাইন্সকে নিয়ে সভা করেন এবং এ সভায় এজেন্সিগুলোকে যথাসময়ে নুসুক মাসার প্ল্য্যটফর্মের মাধ্যমে বাড়িভাড়া ও পরিবহণ চুক্তি সম্পন্ন করার জন্য তাগিদ দেন। গত ৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় রাত ৩টায় প্ল্যাটফর্মটি বন্ধ হয়ে যায়। এর একদিন পর ৫ এপ্রিল সৌদি সরকার পুনরায় প্ল্যাটফর্ম খুলে দিয়েছে। তবে এটি যে কোনো সময় বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে।
এজেন্সির গাফিলতির কারণে কেউ হজে যেতে না পারলে কী ধরনের পদক্ষেপ নেবেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, যেসব হজ এজেন্সির অব্যবস্থাপনার কারণে কোনো হাজি যদি হজে যেতে না পারেন আমরা তাদের লাইসেন্স বাতিল করে দেব।