
প্রিন্ট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৯ এএম

যুগান্তর প্রতিবেদন, নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশ: ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
-67f58c755689f.jpg)
ছবি: সংগৃহীত
আরও পড়ুন
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের পাঁচরুখিতে অবস্থিত জাপান স্পেশাল ইকোনমিক জোন পরিদর্শন করেছেন ৩৬ বিদেশি বিনিয়োগকারী। মঙ্গলবার সকালে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা এই বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করেন। এ সময় তারা অর্থনৈতিক অঞ্চলটিতে বিনিয়োগ করার কর্মপরিবেশ, পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা ও অবকাঠমোসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।
এদিকে পরিদর্শনে এসে সুইডিশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিলোরন বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থপনা পরিচালক আব্দুল কাইয়ুম এবং জাপান ইকোনমিক জোনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক টারোকাওয়াচির মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। সুইডিশ এই বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান জাপান ইকোনমিক জোনে ১০ হাজার স্কয়ার মিটার জায়গার ওপর তাদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান (কারখানা) নির্মাণ করবে। এর মাধ্যমে দেশে সুইডিশ বিনিয়োগের সূচনা হলো।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন চীনের ১০ জন, যুক্তরাষ্ট্রের আটজন, জাপানের তিনজন, সৌদি আরবের তিনজন, আরব আমিরাতের তিনজন এবং একজন প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীসহ ৩৬ জন।
শুরুতেই বিনিয়োগকারীদের সামনে বাংলাদেশ স্পেশাল ইকোনমিক জোন (বিএসইজেড) কর্তৃপক্ষ বিনিয়োগের বর্তমান অবস্থা ও সম্ভাবনা তুলে ধরেন। এরপর বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ পরিবেশ সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।
জাপানিজ ইকোনমিক জোনের প্রকল্প পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন জানান, চার দিনব্যাপী শুরু হওয়া বিনিয়োগ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে আড়াইহাজারে অবস্থিত বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করেছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। এখানে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কী কী সুবিধা এক ছাদের নিচে পাওয়া যাবে সে বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন তারা। তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীদের চাহিদা অনুযায়ী দেশের পলিসির ওপর নির্ভর করে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে। আমরা আশাবাদী এ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রত্যাশা অনুযায়ী বিনিয়োগ পাওয়া যাবে।
পরিবহণ ও জ্বালানি বিষয়েও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন বিদেশি উদ্যোক্তারা। বিনিয়োগ সম্ভাবনা ও জুলাই বিপ্লব-পরবর্তী অর্থনৈতিক সংস্কার তুলে ধরতে বাংলাদেশ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-বিডা আয়োজিত বিনিয়োগ সম্মেলনের অংশ হিসাবে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অর্থনৈতিক অঞ্চলটি পরিদর্শন করানো হচ্ছে।
বিকোর এমডি মো. ফায়রোজ বাংলাদেশে বিনিয়োগের নানা সুযোগ-সুবিধার কথা তুলে ধরে বলেন, আমরা আমাদের বিনিয়োগের চাহিদা অনুযায়ী সুযোগ-সুবিধা বিডা থেকে পাচ্ছি। আমরা আরও বিনিয়োগ করতে চাই। বিনিয়োগ করার মতো পরিবেশ তৈরি হয়েছে বাংলাদেশে।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, জাপান ইকোনোমিক জোনে বিনিয়োগ করবে এমন ৮টি কোম্পানি এখানে চুক্তি করেছে। পাইপলাইনে আছে আরো ২০টি। এখানকার ৬০০ একর জমি শিল্পকারখানা নির্মাণ করার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। আরও ৪০০ একর জমি শিল্পায়নের জন্য উপযুক্ত করার কাজ চলমান রয়েছে। কয়েক মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ ইতোমধ্যে এসেছে। আরও আসবে বলে আমরা আশা করছি। জাপান ইকোনমিক জোন পুরো চালু হলে এখানেই এক লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে বলে আশা করছি।
এদিকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্ভাবনা তুলে ধরে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে সোমবার থেকে শুরু হয়েছে ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট’। চার দিনব্যাপী এই সম্মেলনে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সামনে তুলে ধরা হবে গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী অর্থনৈতিক সংস্কারের পূর্বাপর।