
প্রিন্ট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১৩ এএম
অন্নপূর্ণা-১ শীর্ষে প্রথম বাংলাদেশি বাবর আলী

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

আরও পড়ুন
প্রথম বাংলাদেশি হিসাবে বিশ্বের দশম সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ অন্নপূর্ণা-১ শীর্ষে আরোহণ করলেন এভারেস্টজয়ী বাবর আলী। এ অভিযানের আয়োজক সংগঠন ভার্টিক্যাল ড্রিমার্সের সভাপতি ও অভিযান ব্যবস্থাপক ফারহান জামান এ খবর দিয়েছেন। তিনি জানান, সোমবার ভোরে অন্নপূর্ণা-১ এর চূড়ায় বাংলাদেশের পতাকা উড়ান চট্টগ্রামের বাবর আলী।
ড্রিমার্সের ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘লাখো শুভাকাঙ্ক্ষীর প্রার্থনার উত্তর দিয়েছেন স ষ্টা। প্রকৃতিমাতা বিমুখ হননি। বঙ্গ সন্তান বাবরকে ক্ষণিকের জন্য নিজের চূড়ায় দাঁড়াতে দিয়েছে অন্নপূর্ণা। বিশ্বের দশম শীর্ষ পর্বত এবং অন্যতম কঠিন পর্বত ২৬,৫৪৫ ফুট উচ্চতার অন্নপূর্ণা-১ এর শীর্ষে প্রথমবার উড়ল আমাদের লাল-সবুজের পতাকা।’
এ অভিযানের জন্য বাবর আলী বাংলাদেশ থেকে নেপালে যান ২৪ মার্চ। প্রস্তুতিমূলক কাজ শেষ করে ২৬ মার্চ কাঠমান্ডু থেকে আকাশপথে যান পোখারা। এরপর কিছু পথ গাড়িতে ও বাকি পথ হেঁটে ২৮ মার্চ পৌঁছে যান বেজক্যাম্পে। একদিন বিশ্রাম নিয়ে পরদিন চড়তে শুরু করেন উচ্চতার সঙ্গে মানিয়ে নিতে। ক্যাম্প-১ (৫২০০ মিটার) এ দুই রাত এবং ক্যাম্প-২ (৫৭০০ মিটার) এ এক রাত কাটিয়ে ২ এপ্রিল বাবর বেজক্যাম্পে নেমে আসেন।
ফারহান জামান বলেন, সাধারণত এই সময় শুরু হয় ভালো আবহাওয়ার জন্য অপেক্ষার পালা। কিন্তু বাবর নেমে এসেই জানতে পারেন আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে ভালো আবহাওয়া থাকবে পরদিন থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত। এই সম্ভাব্য ভালো আবহাওয়াকে কাজে লাগাতে মাত্র ২৪ ঘণ্টা বিশ্রাম নিয়ে বাবর আবার চড়তে শুরু করেন ৩ এপ্রিল। ওইদিন ক্যাম্প-১ এ থেমে পরদিন উঠে যান ক্যাম্প-২ এ। এর মাঝেই শুরু হয় বিপত্তি। বিকাল থেকেই হঠাৎ শুরু হয় তুষারঝড়। দীর্ঘ যোগাযোগহীনতার পর জানা যায় ৫ এপ্রিল বাবর পেরিয়ে গেছেন কঠিন অংশ, পৌঁছে গেছেন ক্যাম্প-৩ (৬৫০০ মিটার)। সোমবার অন্নপূর্ণা-১ এর শীর্ষে উঠে বাবর লাল-সবুজের পতাকা উড়ান।
নেপালের গন্ডকিতে অবস্থিত অন্নপূর্ণা পর্বত স্থানীয়দের কাছে ‘ফসলের দেবী’ হিসাবে পূজনীয়। এর চূড়া মূলত চারটি। যার মধ্যে শীর্ষ হলো পৃথিবীর দশম শীর্ষ পর্বত ৮ হাজার ০৯১ মিটার (২৬,৫৪৫ ফুট) উচ্চতার অন্নপূর্ণা-১। উচ্চতায় দশম হলেও অভিযানের জন্য কৌশলগতভাবে অন্যতম কঠিন হিসাবে বিবেচিত এই পর্বত। এ চূড়ায় সফল সামিটের বিপরীতে মৃত্যুর হার প্রায় ১৪%, যা ২০১২ সাল পর্যন্ত ছিল ৩২%!