
প্রিন্ট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪৯ পিএম

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

আরও পড়ুন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যাপক শুল্ক ঘোষণার পর বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। তবে শুল্ক আরোপের পর থেকে ৫০টির বেশি দেশ বাণিজ্য আলোচনা শুরু করার জন্য হোয়াইট হাউজের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের পরিচালক কেভিন হ্যাসেট।
আলোচনার জন্য লাগাতার ফোন আসছে হোয়াইট হাউজে। গত বুধবার আমদানির ওপর ‘রিসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ’ বা পারস্পরিক শুল্ক ঘোষণা করেন ট্রাম্প। এরপরই বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় ধরনের ধাক্কা লাগে। অনেক দেশ ট্রাম্পের এই ঘোষণার পর পালটা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে।
চীন ৩৪ শতাংশ পালটা শুল্ক আরোপ করেছে। এছাড়া বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যযুদ্ধ ও মন্দার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে এই যুদ্ধের দামামার মধ্যে আশার আলো দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন কেভিন হ্যাসেট। অর্ধশতাধিক দেশ ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনায় বসতে যোগাযোগ করেছে বলে তিনি জানান। খবর রয়টার্সের।
বিভিন্ন দেশের ওপর ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন করে শুল্ক আরোপের প্রভাবে ইতোমধ্যে প্রায় ৬ ট্রিলিয়ন ডলার হারিয়েছে মার্কিন পুঁজিবাজার। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, এর ফলে অর্থনীতিতে আশঙ্কার চেয়ে কম প্রভাব পড়েছে।
রোববার সকালের টক শোতে ট্রাম্পের শীর্ষ অর্থনৈতিক উপদেষ্টারা শুল্ককে বিশ্ববাণিজ্য ব্যবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি কৌশলগত পুনর্বিন্যাস হিসাবে চিত্রিত করার চেষ্টা করেছেন। শুল্ক ঘোষণার পরপর অর্থনীতিতে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল, তা কমে এসেছে বলেও ইঙ্গিত করার চেষ্টা করেন তারা। রোববার ওয়াল স্ট্রিট স্টক এক্সচেঞ্জে ব্যাপক দরপতন হয়।
মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেছেন, গত বুধবার শুল্ক ঘোষণার পর থেকে ৫০টির বেশি দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। এটি ট্রাম্পকে একটি প্রভাবশালী অবস্থানে অধিষ্ঠিত করেছে। যেসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করছে বা করার চেষ্টা করছে, তাদের নাম কিংবা কী আলোচনা হচ্ছে, তা প্রকাশ করেননি বেসেন্ট বা অন্য কোনো কর্মকর্তা। তবে একই সময়ে একাধিক সরকারের সঙ্গে আলোচনা ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে এবং অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা দীর্ঘায়িত করতে পারে।
মার্কিন কাস্টমস এজেন্টরা গত শনিবার থেকে অনেক দেশের আমদানি পণ্যের ওপর ট্রাম্পের একতরফা ১০ শতাংশ শুল্ক আদায় শুরু করেছে। আগামীকাল বুধবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে প্রতিটি দেশের ওপর ১১ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত এই পালটা শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তি হিসাবে মার্কিন পণ্যে শূন্য শুল্কের প্রস্তাব দিয়েছেন। এছাড়া তাইওয়ানের কোম্পানিগুলো যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ বাড়াবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
একজন ভারতীয় সরকারি কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ভারত ২৬ শতাংশ শুল্ক আরোপের বিরুদ্ধে পালটা ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা করছে না। সম্ভাব্য চুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলেও উল্লেখ করেছে ভারত। ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরিকল্পিত ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসাগুলোকে তিনি রক্ষা করবেন।