
প্রিন্ট: ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:২৮ পিএম

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
-67f15c13ac786-67f1a0bb3d0c7.jpg)
আরও পড়ুন
দেশি-বিদেশি অসংখ্য দর্শকের আস্থা ও ভালোবাসায় ১১ বছর পার করল দেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি টেলিভিশন যমুনা টিভি। শনিবার বিকালে যমুনা ফিউচার পার্ক চত্বরে টেলিভিশনের নিজস্ব কার্যালয়ে কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। এতে আনন্দঘন পরিবেশে সাংবাদিক, কলাকুশলী, কর্মকর্তা-কর্মচারী পরস্পর শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। প্রবল প্রতিরোধ, প্রতিকূলতা ও সংকটেও সত্যের পথে অবিচল থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন সবাই। তারা বলেন, যমুনা গ্রুপের স্বপ্নদ্রষ্টা নুরুল ইসলামের দেখানো পথে গণমানুষের দুঃখ-দুর্দশা ও অধিকারের কথা সবার আগে তুলে ধরে যমুনা টেলিভিশন। সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলে এ গণমাধ্যম। নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যেও নির্ভুল ও নিরপেক্ষ তথ্য পৌঁছে দেওয়া অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা।
এবার এক ভিন্ন আবহে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করল যমুনা টিভি পরিবার।
ঘরোয়া পরিবেশে কেক কাটা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন যমুনা টিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিম আহমেদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন-যুগান্তরের উপসম্পাদক এহসানুল হক, বিএম জাহাঙ্গীর, প্রধান বার্তা সম্পাদক আবদুর রহমান, যমুনা বিল্ডার্সের পরিচালক (সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং) ড. মোহাম্মদ আলমগীর আলম, যমুনা টেলিভিশনের চিফ নিউজ এডিটর তৌহিদুল ইসলাম, অ্যাসাইনমেন্ট অ্যান্ড প্ল্যানিং এডিটর রোকসানা আনজুমান নিকোল, প্রাণ আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (মার্কেটিং) চৌধুরী কামরুজ্জামান কামাল, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. বদিউজ্জামান লস্কর প্রমুখ।
যমুনা টিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিম আহমেদ বলেন, যমুনা গ্রুপের স্বপ্নদ্রষ্টা নুরুল ইসলাম গণমানুষের দুঃখ-দুর্দশার কথা তুলে ধরতে যমুনা টিভি চালু করেছিলেন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই যমুনা টিভি সে কাজ সুচারুভাবে পালন করে আসছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে যমুনা টেলিভিশন মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছে। সেজন্য সব সময় আমরা সত্যকে সত্য আর মিথ্যাকে মিথ্যা বলেছি। প্রবল প্রতিরোধ ও প্রতিকূলতার মধ্যে আমরা চেষ্টা করেছি সত্য প্রচার করার।
ফাহিম আহমেদ আরও বলেন, গত ১৫-১৬ বছরে আমরা দেখেছি কীভাবে গণমাধ্যমকে টার্গেট করা হয়েছে। তাদের এক নম্বর টার্গেট ছিল যমুনা টেলিভিশন এবং যুগান্তর পত্রিকা। ২০১৮ সালের নির্বাচনের রাতে আমাদের টেলিভিশন সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ওই নির্বাচনে ডিসি-এসপিরা আমাদের রিপোর্টারদের ভোটকেন্দ্রের আশপাশে যেতে দেননি। তারা আগের রাতে রিপোর্টারদের ইলেকশনের পাশ কার্ড কেড়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু আমরা থেমে থাকিনি। যেখানেই অন্যায় দেখেছি, সেখানেই সত্য প্রচার করেছি। সে কারণে যমুনা টেলিভিশনের ওপর মানুষ আস্থা রেখেছে।
যুগান্তরের উপসম্পাদক এহসানুল হক বলেন, যমুনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত নুরুল ইসলাম যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, জনপ্রিয়তার সেই সর্বোচ্চ জায়গায় আজ যমুনা টেলিভিশন। সর্বশেষ গণ-অভ্যুত্থানে যমুনা টেলিভিশনের যে সাহসী ভূমিকা, রাস্তায় ‘যমুনা’, ‘যমুনা’ স্লোগানে মিছিল-এটা গর্বের। সামনের দিনে এই জনপ্রিয়তা ধরে রাখবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।
যমুনা গ্রুপের স্বপ্নদ্রষ্টা নুরুল ইসলামের সঙ্গে নিজের স্মৃতিচারণ করেন যুগান্তরের উপসম্পাদক বিএম জাহাঙ্গীর। তিনি বলেন, আমাদের চেয়ারম্যানের স্বপ্ন ছিল যমুনা টেলিভিশন দেশের শীর্ষ টেলিভিশন হবে। সত্যিই আজ যমুনা নাম্বার ওয়ান টেলিভিশন। যমুনা টেলিভিশন মানুষের মনে স্থান করে নিয়েছে। আমাদের চেয়ারম্যান বেঁচে থাকলে আজ তিনি সব থেকে বেশি খুশি হতেন। যমুনা টিভির যে সাফল্য-তার সবই ছিল চেয়ারম্যানের স্বপ্ন। নিউজ সম্প্রচারে যমুনা টেলিভিশনের সাহসিকতা ও নিরপেক্ষতার প্রশংসা করে বিএম জাহাঙ্গীর বলেন, যমুনা টেলিভিশন সংবাদ প্রকাশে আপসহীন। কখনো কাউকে ছাড় দেওয়া হয় না। এই ধারা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তিনি।
যুগান্তরের প্রধান বার্তা সম্পাদক আবদুর রহমান বলেন, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে যমুনা টেলিভিশন সব পর্যায়ের মানুষের মন জয় করেছে। আজকে ছোট ছোট শিশুরাও যমুনা টেলিভিশনের কথা বলে। তারা যখন যমুনা টিভিকে নিয়ে স্লোগান দেয়-সত্যিই আমরা আনন্দিত হই।
যমুনা বিল্ডার্সের পরিচালক (সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং) ড. মোহাম্মদ আলমগীর আলম বলেন, মানুষ যে কোনো তথ্য জানতে প্রথমে যমুনা টেলিভিশনে চোখ রাখেন। আস্থা রাখেন। এই পরিবেশ কিন্তু একদিনে হয়নি। অনেক সংগ্রাম ও চেষ্টার ফলে এটা সম্ভব হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, যমুনা টেশিভিশনের এই পথচলা অব্যাহত থাকবে।