
প্রিন্ট: ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১৪ পিএম

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৯ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

আরও পড়ুন
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত ও শহিদ পরিবারের সহায়তায় জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন ৯৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়েছে। ৬ হাজার ৩৪১ ব্যক্তি-পরিবার এ সহায়তা পেয়েছে। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে একটি অধিদপ্তর গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বলেন, গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম শুরু হয়। শুরুর দিন থেকে আজ (শুক্রবার) পর্যন্ত ৭৪৫ শহিদ পরিবারকে ৩৭ দশমিক ২৫ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। আর আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৫ হাজার ৫৯৬ জনকে ৫৯ দশমিক ৪১ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
আইনি জটিলতার কারণে ১০০ শহিদ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া যাচ্ছে না বলে উল্লেখ করেন স্নিগ্ধ। তিনি বলেন, ‘আহত যোদ্ধাদের পাশে বাংলাদেশ’ নামে নতুন একটি কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সারা দেশে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা, পুনর্বাসনসহ যাবতীয় সহায়তার কাজ করা হবে। শহিদ পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের সহায়তার পাশাপাশি জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতি ধরে রাখতে ফাউন্ডেশন কাজ করছে বলে জানান স্নিগ্ধ। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে একটি অধিদপ্তর গঠন করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে। সেই অধিদপ্তরটির নাম ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর’। অধিদপ্তরটি ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে প্রত্যেক শহিদের পরিবারের কাছে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের শুভেচ্ছাসহ উপহার পাঠানো হয়েছে বলে জানান স্নিগ্ধ।
ফাউন্ডেশনের অর্থ সম্পাদক মোহা. আহসান হাবীব চৌধুরী জানান, তারা আহত ব্যক্তি ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের জন্য চাকরির ব্যবস্থার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলেছেন। শিক্ষাবৃত্তি দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এছাড়া আহতদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সমাজে কর্মক্ষম মানুষের কাতারে নিয়ে আসার চেষ্টা করছেন তারা।
আহসান হাবীব চৌধুরী বলেন, শহিদ পরিবারের সদস্য ও আহত ব্যক্তিদের অনেকে দীর্ঘসময় একটা মানসিক ট্রমার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। এটা থেকে উত্তরণের জন্য তারা মানসিক উন্নতি নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে কয়েকবার আলোচনা করেছেন। তাদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে ফাউন্ডেশনের। তিনি আরও বলেন, সরকার ফাউন্ডেশনে ১০০ কোটি টাকা দিয়েছিল। অন্যান্য সংস্থা থেকে প্রায় ১০ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছিল। এ অর্থের বেশির ভাগ ইতোমধ্যে খরচ হয়ে গেছে। তারা ঈদের পর ফাউন্ডেশনের জন্য বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে অনুদানের আবেদন জানাবেন।
ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সদস্য সাবরিনা আফরোজ সেবন্তী বলেন, প্রতিদিনই ভুয়া কাগজপত্র নিয়ে অনেকে ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে আসেন আহত সেজে। প্রতিদিনই এরকম ভুয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করতে গিয়ে প্রকৃত যারা আহত, তাদের নিয়ে কাজ করতে বিলম্ব হচ্ছে। এ ভুয়া ইস্যু এখন ফাউন্ডেশনের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। তারা যে টাকাটা দিচ্ছেন অনুদান হিসাবে, তা মানুষের আমানতের টাকা। তারা কোনোভাবেই চান না এই টাকা কোনো প্রতারকের হাতে যাক।