
প্রিন্ট: ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৩০ পিএম

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

আরও পড়ুন
ফিলিস্তিনে ইসরাইলের বর্বরতা ও ভারতে মুসলিমদের ওপর আক্রমণের প্রতিবাদে শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররম এলাকায় মিছিল-সমাবেশ করে হেফাজতে ইসলামসহ একাধিক ইসলামী দল ও সংগঠন। এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় পল্টন মোড়সহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
বায়তুল মোকাররমের উত্তর ফটকে হেফাজতে ইসলাম আয়োজিত সমাবেশে সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক বলেন, ভারত ও ইসরাইল যৌথভাবে মুসলিম নিধন করছে। মুসলমানদের রক্তে রঞ্জিত করছে পৃথিবীর মানচিত্র। এই যৌথ শক্তিকে রুখতে সারা বিশ্বের মুসলমান ও বিশ্বের মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনে নারী শিশুদের ওপর আগ্রাসন বন্ধ করতে না পারলে এ হামলা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে পারে। আমরা দ্রুত ইসরাইলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার দাবি জানাই। আরব লিগ ও ওআইসিসহ মুসলমানদের সব সংগঠনকে জাতিসংঘের নির্লিপ্ততার প্রতিবাদ জানাই।
বিজেপিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের খুনিকে তোমরা আশ্রয় দিয়েছ। তাকে আশ্রয় দেওয়ার মাধ্যমে দেশপ্রেমিক মানুষের সঙ্গে তোমরা গাদ্দারি করেছ। আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করা হলে জুলাই অভ্যুত্থানের মতো ছাত্র-জনতা পুনরায় তাদের রুখে দেবে। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের সভাপতি জুনায়েদ আল হাবিবের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, সংগঠনের নায়েবে আমির আহমেদ আলী কাসেমী, কেন্দ ীয় উপদেষ্টা আবদুর রকিব, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী প্রমুখ। এই কর্মসূচিকে কেন্দ করে বায়তুল মোকাররমসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। পল্টন মোড়ে সেনাবাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য অবস্থান নেন। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, শাহবাগ, রামপুরাসহ বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি ও গোয়েন্দা বাহিনীর (ডিবি) সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। বায়তুল মোকাররম এলাকায় কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি। তবে ধানমন্ডিতে মিছিলের চেষ্টার সময় হিজবুত তাহরির ৮ সদস্য আটক হয়েছে। এছাড়া রামপুরা এলাকায় জুমার নামাজ শেষে আমেরিকান অ্যাম্বাসি ঘেরাওয়ের উদ্দেশে মিছিল বের করার চেষ্টা করে কিছু লোক। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাদের সরিয়ে দেন। মিরপুরে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। সেখানে কোনো অপ্রিতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। বায়তুল মোকাররম এলাকায় দায়িত্বরত পুলিশের কর্মকর্তা লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) জসীম উদ্দিন জানান, অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে ছিল। শেষ পর্যন্ত সেরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। শান্তিপূর্ণভাবে সবাই তাদের কর্মসূচি শেষ করেছেন। পল্টন বা আশপাশের এলাকায় হিজবুত তাহরির বা নিষিদ্ধঘোষিত কোনো সংগঠনের মিছিল বা সমাবেশ করার তথ্য নেই।