
প্রিন্ট: ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:২৫ পিএম

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

আরও পড়ুন
বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর বন্ধ থাকায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট মাঝ পথ থেকে ঢাকায় ফিরে এসেছে। শুক্রবার দুপুরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কামরুল ইসলাম বলেন, ঢাকা-লন্ডন-ঢাকা রুটের উড়োজাহাজটি সকাল ৮টা ৪২ মিনিটে যাত্রা শুরু করে। সকাল ৯টা ৬ মিনিটে ফ্লাইটটি সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখান থেকে সকাল ১০টা ৪৬ মিনিটে রওয়ানা হয় লন্ডনের উদ্দেশ্যে। কিন্তু হিথ্রো বিমানবন্দরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় সেটি বেলা পৌনে ২টায় শাহজালাল বিমানবন্দরে ফেরত আসে। এর আগে বড় ধরনের বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে শুক্রবার সারা দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় হিথ্রো বিমানবন্দর। বিমানবন্দরসংলগ্ন একটি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের কারণে কর্তৃপক্ষকে সাময়িক এই ব্যবস্থা নিতে হয়েছে। হিথ্রো কর্তৃপক্ষ বলেছে, অগ্নিকাণ্ডের পর বিমানবন্দরে বড় ধরনের বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। এর ফলে ১৩শ ফ্লাইট বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানা গেছে।
শাহজালালের নির্বাহী পরিচালক কামরুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, ফিরে আসা ফ্লাইটটি ঢাকায় অবতরণের পর যাত্রীদের একটি হোটেলে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। লন্ডনের ওই ফ্লাইটে পাইলট ও কেবিনক্রুসহ ২৬৭ জন আরোহী রয়েছেন।
হিথ্রো বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে কত সময় লাগবে তা এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। তবে পরিস্থিতি সামাল দিতে তাদের কর্মীরা কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের লন্ডনের স্টেশন ম্যানেজারের বরাত দিয়ে কামরুল ইসলাম বলেন, সেখানকার ব্যবস্থাপক হিথ্রো বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন। সেখান থেকে ক্লিয়ারেন্স পেলেই ফিরে আসা ফ্লাইটটির যাত্রা শুরু হবে।
বিমানের জনসংযোগ শাখার মহাব্যবস্থাপক বোসরা ইসলাম বলেন, ‘লন্ডনে যে ফ্লাইট যাচ্ছিল, সেটা মাঝপথ থেকে ফেরত এসেছে। কারণ সেখানে ফ্লাইট ওঠা-নামা এখন বন্ধ। পরিস্থিতি ঠিক হলে আমরা আবার যাত্রা শুরু করব।’
যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বড় এই বিমানবন্দরে প্রতিদিন গড়ে ১৩০০ ফ্লাইট ওঠা-নামা করে। গত বছর রেকর্ড ৮ কোটি ৩৯ লাখ যাত্রী এই বিমানবন্দর ব্যবহার করেছেন।
বিবিসি বলেছে, পশ্চিম লন্ডনের হেইয়েসে অবস্থিত বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের কারণে শুধু হিথ্রোই নয়, কয়েক হাজার বাড়িও বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। অগ্নিকাণ্ডের পর কেন্দ্রের আশপাশ থেকে অন্তত ১৫০ জনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
আগুন নেভানোর জন্য দশটি গাড়ি এবং ৭০ জন কর্মীকে সেখানে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে লন্ডন ফায়ার ব্রিগেড (এলএফবি)। নিরাপত্তাজনিত কারণে ঘটনাস্থলের চার পাশে ২০০ মিটার এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছে এবং মারাত্মক ধোঁয়া হবে এমন শঙ্কায় স্থানীয় বাসিন্দারকে ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ওই এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান স্কটিশ অ্যান্ড সাউদার্ন ইলেকট্রিসিটি নেটওয়ার্কস ‘এক্স’ বার্তায় বলেছে, অগ্নিকাণ্ডের কারণে ১৬ হাজার ৩০০ বাড়ি বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। লন্ডন ফায়ার ব্রিগেড বলছে, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের দিকে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে আগুন লাগার পর তারা অন্তত ২০০ ফোন কলে পেয়েছে। রাত প্রায় সাড়ে ১১টার দিকে জরুরি বিভাগকে ঘটনাস্থলে ডাকা হয়। তবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানা যায়নি।