
প্রিন্ট: ১১ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪৬ এএম

যুগান্তর প্রতিবেদন ও কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

আরও পড়ুন
ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও চকবাজারে শুক্রবার ভোরে গণপিটুনিতে দুই ছিনতাইকারী নিহত হয়েছেন। তারা হলেন-আসিফ মুন্সী ও হাসান। এ ঘটনায় আহত অপর দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চকবাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোয়াইব হাসান জানান, কেরানীগঞ্জে ছিনতাইকালে তাদের ধাওয়া করেন স্থানীয়রা। ছিনতাইকারীরা দৌড়ে বুড়িগঙ্গায় ঝাঁপ দেন। পরে সাঁতরে চকবাজারের চম্পাতলী ঘাটে উঠেন আসিফ মুন্সীসহ তিনজন। এসময় ওপার থেকে স্থানীয়রা চিৎকার করতে থাকেন। ঘাটে ওঠলে তাদের গণধোলাই দেন স্থানীয়রা। তাদের উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক আসিফ মুন্সীকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত অপর দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
একই সময় কেরানীগঞ্জের নাদু বেপারী ঘাটে আরেক ছিনতাইকারী হাসানকে গণধোলাই দিয়ে পানিতে ফেলে দেওয়া হয়। পরে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
বরিশুর নৌ-পুলিশের এসআই মোক্তার হোসেন জানান, নিহত হাসান বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ থানার সুলতানি গ্রামের মানিক মাঝির ছেলে। তিনি কামরাঙ্গীরচরের মুসলিম নগরে কুরবান হাজির বাড়িতে থাকতেন।
আসিফ মুন্সীর বাবা জহির মুন্সী জানান, আসিফ ইসলামপুরে কাপড়ের দোকানে কাজ করত। গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জ হরিরামপুরের আন্দারমানিক গ্রামে। তিনি কামরাঙ্গীরচরের মুসলিমবাগে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। বৃহস্পতিবার রাতে বন্ধুর জন্মদিনে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। এলাকাবাসী জানান, কয়েকজন ছিনতাইকারী বেড়িবাঁধ এলাকায় ছিনতাই করার সময় স্থানীয়রা তাদের ধাওয়া দেন। নাদু বেপারী ঘাটে একজনকে ধরে ফেলে গণপিটুনি দিয়ে পানিতে ফেলে দেওয়া হয়। বাকিরা নদী পার হয়ে চম্পাতলী ঘাটে চলে যায়। কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহরাব আল হোসাইন বলেন, একটা লাশ নৌ-পুলিশ, আরেকটা লাশ চকবাজার থানা পুলিশ উদ্ধার করেছে। তবে আমার থানা এলাকায় কোনো ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেনি। কেউ কোনো অভিযোগও দেয়নি। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি।