প্রবাসীদের প্রক্সি সুযোগ দিতে চায় ইসি

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

প্রবাসীদের ভোটের সুযোগ দেওয়ার লক্ষ্যে প্রক্সিসহ তিন বিকল্প পদ্ধতি চিন্তা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেগুলো হচ্ছে পোস্টাল ব্যালট পদ্ধতি, অনলাইন পদ্ধতি এবং প্রক্সি ভোটিং। এর মধ্যে প্রক্সি পদ্ধতিতে গুরুত্ব দিচ্ছে কমিশন। রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি। মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এসব তথ্য জানান। তিনি বলেছেন, আগামী নির্বাচনে প্রবাসী ভোাটারদের প্রত্যাশা পূরণ করতে চাইলে প্রক্সি ভোটের দিকে যেতে হবে।
এ কমিশনার জানান, তাদের কাছে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রায় এক কোটি ৩২ লাখ বাংলাদেশি প্রবাসে থাকেন। তাদের মধ্যে ৭০-৮০ ভাগ ভোটার।
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, গত ১৬ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সুনির্দিষ্টভাবে বলেছেন, এবার সরকার প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোট নিশ্চিত করতে চায়। আশ্বাস নয়, বাস্তবায়ন করতে চাই। এই আলোকে নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট কমিটিকে এ বিষয়ে প্রস্তাব দেওয়ার জন্য বলেছে। কমিটি তিনটি পদ্ধতি সুপারিশ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি পোস্টাল ব্যালট। আরেকটি অনলাইন ভোটিং। তবে অনলাইন ভোটিং তেমন জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি। আরেকটি প্রস্তাব হলো প্রক্সি ভোট। অর্থাৎ প্রবাসী বাংলাদেশির হয়ে কেউ একজন তার এলাকায় ভোটটা দিয়ে দেবেন। এ কমিশনার বলেন, তারা এটাও সুপারিশ করেছে যদি আগামী নির্বাচনে সত্যিকার অর্থেই প্রত্যাশা পূরণ করতে চাই, তবে প্রক্সি ভোটিংয়ে যেতে হবে। বর্তমানে কয়েকটি দেশে বিভিন্ন পরিসরে প্রক্সি ভোটিং প্রচলিত আছে। তার মধ্যে ইংল্যান্ড ও অস্ট্র্রেলিয়া অন্যতম। আর ভারতে শুধু সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জন্য প্রচলিত আছে। এই পদ্ধতির সুবিধা হলো, এটা প্রচলিত আছে, পাওয়ার অ্যাটর্নির মাধ্যমে তো জমিজমাও বিক্রি করে থাকি, তাহলে ভোটও তো অধিকার, যদি সেটাকে আমরা এভাবে বাস্তবায়ন করতে পারি তবে একটা ফলাফল আসবে। বাংলাদেশেও প্রতিবন্ধীদের ভোট আরেকজন দিতে পারে, যদিও এটা প্রক্সি ভোটের সঙ্গে মেলানো যাবে না। তবে আমরা বলছি একটা স্কোপ আছে।
প্রক্সি ভোট খুব কম সময়ে রিয়েল টাইমে করা সম্ভব জানিয়ে আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, আগামী ৮ বা ৯ এপ্রিলের মধ্যে একটা কর্মশালা হবে। সেখানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও ইনস্টিটিউটকে আমরা আমন্ত্রণ জানাব।
প্রাথমিকভাবে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এবং এমআইএসটি-কে সম্পৃক্ত করার। এর বাইরেও সংস্কার কমিশনের বিশেষজ্ঞ, ইসির সাবেক অভিজ্ঞ কর্মকর্তা ও এনজিওকেও আমন্ত্রণ জানাব।
প্রক্সি ভোটে চ্যালেঞ্জের বিষয়ে তিনি বলেন, একটা চ্যালেঞ্জ হচ্ছে গ্লোবালি একসেপ্টেড কোনো সিস্টেম আমাদের হাতে নেই। এ রকম যদি থাকত তাহলে সেটাই করতাম। এখন নতুন একটি সিস্টেম ডিজাইন করতে হচ্ছে।