চাঁদা না দেওয়ায় কলাবাগানে হামলা-লুট

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৯ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

সংগৃহীত ছবি
রাজধানীর কলাবাগানে ‘কাবিকো কনস্ট্রাকশন লিমিটেড’ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদা না পেয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে হামলা ও লুটপাট চালানো হয়েছে। এতে নেতৃত্ব দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কলাবাগান থানার আহ্বায়ক সালাউদ্দিন সালমান। হামলাকারীদের মধ্যে শিক্ষার্থী ছাড়াও স্থানীয় হকাররা ছিলেন।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির স্টাফরা জানান, হামলার সময় দুষ্কৃতকারীরা বলতে থাকে ‘তোর মালিক শেখ কবিরকে অফিস চালাতে হলে আমাদের চাঁদা দিতে হবে।’ অফিসের চেয়ার, টেবিল ও অন্যান্য আসবাবপত্র ভাঙচুর করার মাধ্যমে ত্রাস সৃষ্টি করা হয়। অফিসে থাকা ৪টি ডেস্কটপ কম্পিউটার, ড্রয়ার ভেঙে নগদ ৩ লাখ টাকা লুট করে তারা। এ সময় আশপাশের লোকজন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে স্টাফদের উদ্ধার করে ও ১৪ জনকে আটক করে কলাবাগান থানায় হস্তান্তর করে। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় সাতজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। অপর সাতজন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের গাজীপুরের টঙ্গী কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
কলাবাগান থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার এসআই সাইফুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় করা মামলায় ১৪ জনকে আদালতে হাজির করা হয়। এদের মধ্যে সাতজন শিশু, অপর সাতজন প্রাপ্তবয়স্ক। সাত শিশুকে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। পরে তাদের বিষয়ে নারী ও শিশু আদালতে শুনানি হবে। অপর সাত আসামির জামিন আবেদন করা হয়েছিল। আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন।
কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুক্তারুজ্জামান বলেন, গ্রেফতার ১৪ জনের মধ্যে ১২ জন শিক্ষার্থী। তারা সবাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাকর্মী। অপর দুজন স্থানীয় হকার। তাদের কারাগার ও কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। কাবিকো কনস্ট্রাকশনে হামলা ও লুটের ঘটনায় তদন্ত চলমান রয়েছে।