Logo
Logo
×

শেষ পাতা

অর্থ পাচার মামলায় আপিল বিভাগের রায়

৭ বছরের দণ্ড থেকে খালাস পেলেন তারেক-মামুন

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৭ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

৭ বছরের দণ্ড থেকে খালাস পেলেন তারেক-মামুন

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক মামলায় সাত বছরের দণ্ড থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এ মামলায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে মামুনের করা আপিল মঞ্জুর করে বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এ রায় দেন। পাশাপাশি সাজার রায় বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। আইনজীবীরা বলছেন, এ মামলায় আপিল না করা ব্যক্তিও এই রায়ের সুবিধা পাবেন বলে রায়ে এসেছে। ফলে এ মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান খালাস পেলেন।

ওই মামলায় ২০১৬ সালের ২১ জুলাই হাইকোর্ট রায় দেন। বিচারিক আদালতের খালাসের রায় বাতিল করে তারেক রহমানকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে তাকে ২০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। আর বিচারিক আদালতের রায়ে গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে দেওয়া সাত বছরের কারাদণ্ড বহাল রাখেন হাইকোর্ট। তবে বিচারিক আদালতে মামুনকে দেওয়া ৪০ কোটি টাকার জরিমানা কমিয়ে ২০ কোটি টাকা করা হয়।

হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে বিলম্ব মার্জনা চেয়ে গত বছর লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি) করেন গিয়াসউদ্দিন আল মামুন। এই লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর আদেশ দেন আপিল বিভাগ। সেখানে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করা হয়, পাশাপাশি আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দিতে বলা হয়। এর ধারাবাহিকতায় গিয়াসউদ্দিন আল মামুন আপিল করেন।

মামুনের এই আপিলের ওপর ৪ মার্চ শুনানি শেষে আদালত রায় ঘোষণার জন্য ৬ মার্চ দিন রাখেন। আসামিপক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এসএম শাহজাহান ও শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন শুনানিতে ছিলেন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।

পরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, মামলায় অভিযোগের কোনো সত্যতা ও সারবত্তা নেই। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, যে আইনে ওই মামলা করা হয়, তখন ওই আইন কার্যকর ছিল না। হাইকোর্টের পুরো রায় বাতিল করা হয়েছে। যিনি আপিল করেননি, তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে। তারেক রহমান এ মামলায় খালাস পেলেন।

২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর তারেক ও মামুনকে আসামি করে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলাটি করে দুদক। মামলায় অভিযোগ করা হয়, টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ নির্মাণ কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার টাকা ঘুস নেন মামুন। ২০০৩ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে ওই টাকা বিভিন্ন পদ্ধতিতে সিঙ্গাপুরের সিটি ব্যাংকে মামুনের ব্যাংক হিসাবে পাচার করা হয়। ওই টাকার মধ্যে ৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা তুলে খরচ করেন তারেক রহমান।

২০১১ সালের ৬ জুলাই এই মামলার বিচার শুরু হয়। রায় হয় ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর। রায়ে তারেক রহমানকে খালাস এবং গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং ৪০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। ২০১৩ সালের ৫ ডিসেম্বর তারেক রহমানের খালাসের বিরুদ্ধে আবেদন করে দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি হাইকোর্ট দুদকের আপিল গ্রহণ করেন। দুদকের করা আপিলের সঙ্গে কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে মামুনের করা আপিলের ওপর একসঙ্গে শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ২১ জুলাই হাইকোর্ট রায় দেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের করা আপিল মঞ্জুর করে বৃহস্পতিবার রায় দিলেন আপিল বিভাগ।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম