
প্রিন্ট: ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৫৭ পিএম
আট ব্যক্তি পাচ্ছেন এবারের স্বাধীনতা পুরস্কার

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৭ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

আরও পড়ুন
জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে আটজন বিশিষ্ট ব্যক্তি ২০২৫ সালের স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সংশ্লিষ্ট সূত্র যুগান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। শিগগির এ ব্যাপারে প্রজ্ঞাপন জারি করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
সূত্র জানায়, মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক এমএজি ওসমানী (মরণোত্তর), কবি আল মাহমুদ (মরণোত্তর), ভাস্কর নভেরা আহমেদ (মরণোত্তর), বিজ্ঞানী অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর), পপসম্রাট আজম খান (মরণোত্তর), লেখক গবেষক ও রাজনীতিক বদরুদ্দীন উমর, ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ফজলে হাসান আবেদ (মরণোত্তর) এবং ছাত্রলীগ কর্মীদের নির্যাতনে নিহত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে এবার স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।
স্বাধীনতা পুরস্কার দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতিবছর এ পুরস্কার দিয়ে আসছে। পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে ৫ লাখ টাকা, আঠারো ক্যারেট মানের ৫০ গ্রাম সোনার পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়। গত ২ মার্চ স্বাধীনতা পুরস্কার দিতে জাতীয় পুরস্কারসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা হয়। সভা শেষে কমিটির সভাপতি ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, এবার আমরা একুশে পদক যেভাবে দিয়েছি, আমরা একবারই সম্ভবত এ পুরস্কারগুলো দিতে পারব। কিন্তু দেখেই যেন মনে হয় এ পুরস্কারগুলো অনন্যধর্মী, অন্য বছর এ ধরনের পুরস্কার দেওয়া হয় না। পরেও দেওয়া হবে কি না আমি জানি না। কমিটির সদস্য ও আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, এ পুরস্কারের (স্বাধীনতা পুরস্কার) মহিমা উপলব্ধি করে দল ও গোষ্ঠীগত চিন্তার ঊর্ধ্বে থেকে স্যারের (ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ) নেতৃত্বে আমরা এমন সব নাম সুপারিশ করেছি, আপনারা একুশে পদক দেখে খুশি হয়েছিলেন এবং স্বাধীনতা পুরস্কার দেখে আরও খুশি হবেন। মনে হবে পুরস্কার দিতে পেরে আমরা নিজেরা ধন্য হচ্ছি।
স্বাধীনতা পুরস্কার নেবেন না বদরুদ্দীন উমর : স্বাধীনতা পুরস্কার না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন লেখক, গবেষক ও রাজনীতিক বদরুদ্দীন উমর। বৃহস্পতিবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা জানান তিনি। বিবৃতিতে বলা হয়, ১৯৭৩ সাল থেকে আমাকে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা থেকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। আমি সেগুলোর কোনোটিই গ্রহণ করিনি। এখন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার আমাকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা করেছে। এ জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ। কিন্তু তাদের দেওয়া এই পুরস্কারও আমার পক্ষে গ্রহণ করা সম্ভব নয়।