Logo
Logo
×

শেষ পাতা

আত্মীয়ের বাসা থেকে দুই বস্তা নথি উদ্ধার

সাবেক আইজিপি শহিদুলের শতকোটি টাকার অবৈধ সম্পদ

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

সাবেক আইজিপি শহিদুলের শতকোটি টাকার অবৈধ সম্পদ

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহিদুল হকের আত্মীয়ের বাসায় অভিযান চালিয়ে দুই বস্তা দলিলসহ বিপুল সম্পদের নথিপত্র উদ্ধার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার মধ্যরাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই অভিযান চালায় দুদক। বুধবার দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

দুদক মহাপরিচালক বলেন, সাবেক আইজিপির আত্মীয়ের বাসা থেকে দুই বস্তা দলিল ও নথিপত্র উদ্ধার করেছে দুদক। তার বিরুদ্ধে অসাধু উপায়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের একটি অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। শহিদুল হক তার অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্যসংবলিত নথিপত্র তার একজন নিকট-আত্মীয়ের বাসায় লুকিয়ে রেখেছিলেন।

দুদক মহাপরিচালক আরও বলেন, নথিপত্রগুলো গোপন রাখার জন্য তার সেই আত্মীয় অপর এক আত্মীয়ের বাসায় পাঠান। এসব নথিপত্রে শহিদুল হকের বেআইনিভাবে অর্জিত কোটি কোটি টাকার সম্পদের তথ্য রয়েছে। তল্লাশিকালে দুটি বস্তায় মোট ৩৮ ধরনের ৪৮টি আলামত পাওয়া যায়। যার মধ্যে রয়েছে বিপুল মূল্যবান সম্পদের দলিল, বিভিন্ন গোপনীয় চুক্তিপত্র, ডিড অব অ্যাগ্রিমেন্ট, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি, সংঘ স্মারকের ছায়ালিপি, অফার লেটার ও ব্যাংক হিসাব বিবরণী।

জানা গেছে, আইজিপি থাকাকালে শহিদুল হক তার মা-বাবার নামে মজিদ জরিনা ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। এই ফাউন্ডেশনের নামে তিনি ঘুসের টাকা লেনদেন করেছেন। বদলি, পদোন্নতি বাণিজ্যের টাকাও তিনি এই ফাউন্ডেশনের হিসাবে চেকের মাধ্যমে জমা করতেন। এমনকি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে তিনি বিপুল চাঁদা নিতেন এই প্রতিষ্ঠানের নামে। প্রতিষ্ঠানটি মূলত তার অবৈধ পথে উপার্জিত আয়ের মেশিন হিসাবে ব্যবহার করা হতো।

অভিযানে যা পাওয়া গেল : তদন্তের দায়িত্বে থাকা এক কর্মকর্তা জানান, রাজধানীর মিরপুর-১২ এর সি ব্লকের ৪ নম্বর সড়কের একটি বাসায় অভিযান চালানো হয়। সেখানে শহিদুল হকের ছোট বোনের ননদ সম্পর্কীয় নীগার সুলাতানার বাসা থেকে এসব দলিল উদ্ধার করা হয়েছে।

দুদকের অনুসন্ধানসংশ্লিষ্ট সূত্রটি জানায়, শহিদুল হকের গড়া মজিদ জরিনা ফাউন্ডেশনের নামে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের তিনটি শাখায় ৫ কোটি ৫০ লাখ টাকার এফডিআর, ফারমার্স ব্যাংকের ৮টি হিসাবে ৪ কোটি ৭০ লাখ, মার্কেন্টাইল ব্যাংকে চারটি হিসাবে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকাসহ মোট ১২ কোটি ৭৫ লাখ টাকার এফডিআরের সন্ধান পাওয়া গেছে। এছাড়া বিভিন্ন ব্যাংকে এই ফাউন্ডেশনের নামে প্রায় অর্ধশতাধিক সঞ্চয়ী হিসাব ও এফডিআরের নথিপত্র পেয়েছে দুদক।

অন্যদিকে শহিদুল হকের গোপন করা ওই নথিপত্রে সম্পদের দলিল ও সাবরেজিস্ট্র্রি কাগজ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ঢাকার গুলশানে সাবরেজিস্ট্রি অফিসে সাতটি পৃথক দলিল, সদর সাবরেজিস্ট্রি অফিস ঢাকার পাঁচটি, উত্তরার দুটি, কেরানীগঞ্জে দুটি, মোহাম্মদপুরে দুটি, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ও ফতুল্লায় ১০টিসহ তার একটি ব্যক্তিগত ৭৯ পাতার ডায়েরি যাতে বিপুল পরিমাণ সম্পদের তথ্য নোট করে রেখেছেন। এছাড়া বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে তার বিনিয়োগ থাকার তথ্য পেয়েছে বলে জানায় সূত্রটি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম