৭১১ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ
নাসা গ্রুপের নজরুলের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

৭৮১ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও নাসা গ্রুপের কর্ণধার নজরুল ইসলাম মজুমদারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এছাড়া অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সংস্থাটি আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ-সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভূঁইয়া ও তার স্ত্রী-সন্তানের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা করেছে। রোববার কমিশনের নিয়মিত ব্রিফিংয় দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘুস ও দুর্নীতির মাধ্যমে নাসা গ্রুপের কর্ণধার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ৭৮১ কোটি ৩১ লাখ ২২ হাজার ৪৫৪ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জন করেছেন। এই সম্পদ নিজ দখলে রাখার অপরাধে দুর্নীতি কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় একটি মামলা হয়েছে।
জানা যায়, রোববার দুদকের সহকারী পরিচালক শাহজাহান মিরাজ সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ নজরুল ইসলাম মজুমদারের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। এজাহারে বলা হয়েছে, নজরুলের মোট ৮৩২ কোটি টাকার সম্পদ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৭৮১ কোটি টাকার সম্পদের বৈধ কোনো আয় পাওয়া যায়নি।
এছাড়া নজরুলের স্ত্রী নাসরিন ইসলাম, মেয়ে আনিকা ইসলাম ও ওয়ালিদ ইবনে ইসলামের সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসহ ৫২টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুদক জানায়, সুবিদ আলী ভূঁইয়া ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৬ কোটি ৫৮ লাখ ৯৭ হাজার ৮৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন। এছাড়া ২২টি ব্যাংক হিসাবে অবৈধ উপায়ে উপার্জিত ১৮১ কোটি ৪২ লাখ ২২ হাজার ২৫৫ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন করেছেন। এ অর্থ হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন তিনি।
এছাড়া সুবিদ আলী ভূঁইয়ার স্ত্রী মাহমুদা আক্তার স্বামীর সহায়তায় ১ কোটি ৮৩ লাখ ১৮ হাজার ১০৪ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জন করায় তার নামে পৃথক মামলা করা হয়। আর সুবিদ আলীর ছেলে মোহাম্মদ আলী ভূঁইয়ার নিজ নামে ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট ২৫টি ব্যাংক হিসাবে ১০৩ কোটি ৭৩ লাখ ৭৯ হাজার ৪৫৭ টাকা এবং ১০ হাজার ৩০২৮ মার্কিন ডলারের সন্দেহজনক লেনদেন পাওয়ার তার বিরুদ্ধে পৃথক মামলা করা হয়েছে।