Logo
Logo
×

শেষ পাতা

আবু সাঈদের ভিডিও ধারণ

সম্মাননা পেলেন যমুনা টিভির দুই সাংবাদিক

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

সম্মাননা পেলেন যমুনা টিভির দুই সাংবাদিক

ছবি: যুগান্তর

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম শহিদ আবু সাঈদের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ভিডিও ধারণ এবং সবার আগে সংবাদ প্রচার করায় যমুনা টেলিভিশনের সিনিয়র করেসপন্ডেট ও রংপুর ব্যুরো চিফ সরকার মাজহারুল মান্নান ও ক্যামেরাপারসন আলমগীর হোসেনকে বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে যমুনা টেলিভিশন। বৃহস্পতিবার টেলিভিশনের নিজ কার্যালয়ে তাদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান সালমা ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন যমুনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শামীম ইসলাম, গ্রুপ পরিচালক সোনিয়া সারিয়াত, মনিকা নাজনীন ইসলাম, সুমাইয়া রোজালিন ইসলাম, এসএম আব্দুল ওয়াদুদ, দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক আবদুল হাই শিকদার, যমুনা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিম আহমেদ প্রমুখ। এর আগে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এদিন পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে যমুনা টেলিভিশন। এতে উৎসবমুখর পরিবেশে অংশগ্রহণ করেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যমুনা টেলিভিশনের ভূমিকা তুলে ধরে যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান সালমা ইসলাম বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অনেক কষ্টের ভেতর দিয়ে সফল হয়েছে। এই আন্দোলনে যমুনা টেলিভিশনের সাংবাদিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সবার আগে সংবাদ সংগ্রহ ও প্রচার করেছে। যমুনা টেলিভিশনের প্রশংসা শুনে আমাদের গর্ব হয়। এখানেই শেষ নয়-এই সফলতা সবাইকে ধরে রাখতে হবে। যমুনা টেলিভিশনকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে। যমুনা গ্রুপ আপনাদের পাশে ছিল এবং আগামীতেও থাকবে।

যমুনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামকে স্মরণ করে সালমা ইসলাম বলেন, যমুনা টিভি একদিন এক নাম্বার হবে-এমন স্বপ্ন নিয়ে এটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম। তার স্বপ্ন ছিল বিশ্বের সবাই যমুনা টিভিকে এক নামে চিনবে। সত্যিই আজকে যমুনা টিভি নাম্বার ওয়ান হয়েছে এবং মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। যমুনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শামীম ইসলাম বলেন, অনেক দিন আমাদের সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠ অবরুদ্ধ ছিল। এখন গণমাধ্যম অনেকটাই স্বাধীন। এই স্বাধীনতা পাওয়ায় আমাদের দায়িত্ব আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের ঐক্য, সততা ও দায়িত্ববোধ ধরে রেখে আরও এগিয়ে যেতে হবে।

দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক আবদুল হাই শিকদার বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যমুনা টেলিভিশন অনেক বড় ভূমিকা পালন করেছে। এর থেকে অনেক ছোট কাজ করেও অনেকে একুশে ও স্বাধীনতা পদক পেয়েছেন। আমার দাবি-জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ভূমিকা রাখায় যমুনাকে স্বাধীনতা পদক দেওয়া হোক। কারণ যমুনাকে স্বাধীনতা পদক দিলে-বিপ্লবের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশিত হবে এবং যমুনার মতো আরও অনেক প্রতিষ্ঠান উৎসাহিত হবে।

যমুনা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিম আহমেদ বলেন, জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে যমুনা টেলিভিশনের সবাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংবাদ প্রচার করেছে। সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে অনেকে আহত হয়েছেন। কিন্তু সত্য প্রকাশে কেউ পিছপা হননি। যখন ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল তখন সবাই আস্থা রেখেছে যমুনা টেলিভিশনে। আমরা এই সফলতা ধরে রেখে এগিয়ে যেতে চাই। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন যমুনা টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম ও প্ল্যানিং এডিটর রোকসানা আনজুমান নিকোল।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম