অমর একুশে বইমেলা ২০২৫
মেলায় শুধু পাঠক আর পাঠক

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ছবি: সংগৃহীত
বইমেলা এবার শুরু থেকেই পাচ্ছে তার কাঙ্ক্ষিত পাঠকদের। বইয়ের বিক্রিও মন্দ নয়। শুক্রবারের রেশ ধরে শনিবারও মেলায় ছিল প্রাণের স্পন্দন। চারিদিকে শুধু পাঠক আর পাঠক। বইমেলায় বিভিন্ন প্রবেশদ্বারে ছিল প্রচণ্ড ভিড়। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান আর বাংলা একাডেমির বিভিন্ন স্টল এবং প্যাভিলিয়নে বই কেনার দৃশ্য দেখে যে কারও মন ভালো হয়ে যায়। বইপ্রেমীরা বইয়ের টানে এসে ব্যাগ ভরে বই কিনেছেন এমন দৃশ্যও ছিল মন জুড়ানো।
বইমেলায় পাঠকের আনাগোনা বেড়ে গেলে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও থাকে। তার মধ্যে অন্যতম, প্রচুর মানুষ একসঙ্গে বইমেলায় প্রবেশ করেন বলে মেলায় নিরপত্তা তল্লাশি সে অর্থে হয় না বললেই চলে। পাশাপাশি মেলায় ধুলোবালির আক্রমণ বেড়ে যায়।
ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশের প্রকাশক আদিত্য অন্তর যুগান্তরকে বলেন, মেলা ভালো হচ্ছে। তবে বইয়ের বিক্রি যতটা হলে সেটাকে ভালো বলা যায় সেটি এখনো হয়নি। আমরা আশা করছি সামনের দিনগুলোতে আরও বেশি বিক্রি হবে।
মেলায় ইতোমধ্যে বিভিন্ন জেলা থেকেও মানুষ আসতে শুরু করেছেন। অনেক স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের দলবেঁধে আসতে দেখা গেছে শনিবার।
বাংলা একাডেমির জনসংযোগ উপ বিভাগ থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, শনিবার একুশে বইমেলার অষ্টম দিনে নতুন বই প্রকাশ হলো ১০২টি। এরমধ্যে গল্পের বই ১৬টি, উপন্যাস ১৯টি, প্রবন্ধ ৬টি, কবিতা ২৯টি, ছড়া ২টি, জীবনী ৩টি, বিজ্ঞান ১টি, ভ্রমণ ২টি, ইতিহাস ১টি, রাজনীতি ২টি, ধর্মীয় ৪টি, অনুবাদ ১টি, সাইন্স ফিকশন ১টি ও অন্যান্য ১৫টি। আর গত আট দিনে মোট নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে ৫৫৬টি।
শিশু-কিশোর সংগীত প্রতিযোগিতা : অমর একুশে উদযাপনের অংশ হিসাবে সকাল সাড়ে ৯টায় বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে শিশু-কিশোর প্রতিযোগিতার প্রাথমিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ক-শাখায় ৩৪ জন, খ-শাখায় ৬৬ জন এবং গ-শাখায় ৩৯ সর্বমোট ১০৯ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে।
মূল মঞ্চ : বিকালে বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘একজন মোহাম্মদ হারুন-উর-রশিদ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রফিক-উম-মুনীর চৌধুরী। আলোচনায় অংশ নেন আবদুস সেলিম এবং মোহাম্মদ হারুন রশিদ। সভাপতিত্ব করেন বালিকুজ্জামান ইলিয়াস।
সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি ফরিদ সাইদ কবি প্রদীপ মিত্র। আবৃত্তি করেন কামাল মিলা এবং ফারহানা পারভীন হক তৃণা। সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেয় নৃত্য সংগঠন উদ্ভাস নৃত্যকলা একাডেমি। একক সংগীত পরিবেশন করেন ফারাহ দিবা খান লাবণ্য, সুস্মিতা দেবনাথ সূচি, বিজন মন্ত্রী লি মার্থা রোমারিও এবং মো. রেজওয়ানুল হক।