সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার ৫ আসামিই খালাস
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
![সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার ৫ আসামিই খালাস](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2025/02/06/14-67a3fe313f512.jpg)
চট্টগ্রামে চাঞ্চল্যকর একটি সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। বুধবার চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক জয়নাল আবেদিন চার্জশিটভুক্ত ৫ আসামিকে খালাস ও মামলা ক্লোজ করার আদেশ দেন। মাত্র একজনের সাক্ষ্য গ্রহণের দিনই আদালতের এমন আদেশে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পিপি শামীম মোহাম্মদ হোসেন খান।
খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছেন, নুরুল আজিম প্রকাশ দুলু মিয়া, মোহাম্মদ খোরশেদ, রাশেদুল আলম রাজু, মোহাম্মদ মঈনুদ্দিন ও রুবেল।
মামলার এজাহার ও চার্জশিট থেকে জানা গেছে, জেসমিন আক্তার নামে এক গৃহবধূ পটিয়া উপজেলার কোলাগাঁও ইউনিয়নের নালান্দা গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। পথিমধ্যে তাকে ধরে আসামিরা একটি খালের পাড়ে বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে। ২০১৯ সালের ১৯ ডিসেম্বর রাতে এবং ২০ ডিসেম্বর ভোরে দুই দফায় চার ধর্ষক তাকে ধর্ষণ করে মুমূর্ষু অবস্থায় রেখে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন পরে তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় তিনি পটিয়া থানায় মামলা করলে পুলিশ এজাহারভুক্ত চারজন ও তদন্তেপ্রাপ্ত একজনসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আদালত এ মামলায় চার্জও গঠন করেন। গতকাল সাক্ষ্যগ্রহণের প্রথম দিনে বশিরুল আলম নামে একজন সাক্ষ্য প্রদান করেন। সাক্ষ্য গ্রহণের প্রথম দিনেই আদালত আসামিদের খালাস প্রদান করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পিপি শামীম মোহাম্মদ হোসেন খান যুগান্তরকে বলেন, ‘এটি একটি চাঞ্চল্যকর গ্যাং র্যাপ। চার্জশিটে ও চার্জ গঠনের পর্যবেক্ষণে তা উল্লেখও করা হয়েছে। ডিএনএ টেস্ট রিপোর্ট আসামিদের সঙ্গে মিলে গেছে। এক আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন। কিন্তু আদালত মেডিকেল রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে সাক্ষ্যগ্রহণের প্রথম দিনেই আসামিদের খালাস দিয়ে মামলাটি ক্লোজ করার আদেশ দিয়েছেন। এতে তিনি বিষ্মিত হয়েছেন। ভিকটিমও ন্যায়বিচার বঞ্চিত হয়েছেন। তিনি আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলে জানান।