Logo
Logo
×

শেষ পাতা

অমর একুশে বইমেলা ২০২৫

একাডেমির দায়সারা আচরণে ক্ষুব্ধ প্রকাশকরা

পাইরেটেড প্রকাশনার অভিযোগ

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

একাডেমির দায়সারা আচরণে ক্ষুব্ধ প্রকাশকরা

বইমেলায় এবার প্রথম দিন থেকেই পাঠক ক্রেতাদের জমজমাট উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সন্ধ্যায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢুকে বিপুল লোকসমাগম দেখে যে কারো মনে হতে পারে এ যেন ছুটি দিনের মেলা। অসংখ্য মানুষের আগমনে প্রকাশকদের মুখের হাসি ফুটলেও, সেটা পরে ক্ষোভে রূপান্তরিত হচ্ছে।

নানা অব্যবস্থাপনা নিয়ে সবাই এখন বাংলা একাডেমির দায়সারা আচরণের দিকে আঙুল তুলছেন। পুরো বইমেলার এলাকাজুড়ে এখনো ময়লা-আবর্জনার ছড়াছড়ি। প্রকাশকরা বলছেন একাডেমির এমন ঢিলেঢালা ভাব আগে তারা দেখেননি। মেলা পুরোপুরি গুছিয়ে উঠতে এখনো বেশ কয়েকদিন সময় লাগতে পারে।

খাবারের স্টলগুলোতে এখনো নির্র্মাণ কাজ চলছে। পুরোপুরি শেষ হয়নি ইট বিছানোর কাজ। সবাই তাই প্রশ্ন তুলছেন এত এত প্রস্তুতির পরও কেন বারবার বইমেলা গুছিয়ে উঠতেই সপ্তাহ লেগে যায়? বছরের পর বছরের ধরে এই বৃত্ত কি ভাঙবে না?

শোভা প্রকাশের প্রকাশক মো. মিজানুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, মেলায় এখনো অগোছালো ভাব। বাংলা একাডেমির যেন কোনো দায়ই নেই। মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব মেলা পরিদর্শন করেন বলে মনে হয় না। তিনি যদি সেটা করতেন, তাহলে তো এমন দশা হওয়ার কথা না। তিনি আরও বলেন, ‘এবার অন্তত শতাধিক পাইরেটেড বইয়ের প্রকাশককে মেলায় জায়গা দেওয়া হয়েছে। এসব দেখার কি কেউ নেই?’

অবসর প্রকাশনীর ব্যবস্থাপক মাসুদ রানা বলেন, বইমেলায় এবার প্রথম থেকেই লোকসমাগম হলেও বেশ ঢিলেঢালা ভাব। মেলার নিরাপত্তার বিষয়ে আরও জোরদার ভূমিকার প্রয়োজন। দুপুর আড়াইটার সময়ও মেলা মাঠে প্রবেশ করে দেখি অনেক মানুষ। মেলার সময়সূচি অনুযায়ী সেটি হওয়ার কথা নয়।

তিনি আরও বলেন, বেলা আড়াইটা পর্যন্ত মেলায় বই প্রবেশের জন্য সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও দোয়েল চত্বরে ২টার সময় বইভর্তি ভ্যান রিকশা আটকে দিচ্ছে পুলিশ। অনেকক্ষেত্রে অনুরোধ করে বই প্রবেশ করাতে হচ্ছে। এ সমস্যারও সমাধান প্রয়োজন।

বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে শফিক রহমানের ভাষান্তরে সমারসেট মমের ‘বৃষ্টি’। ঐতিহ্য থেকে প্রকাশিত এ বইয়ের দাম রাখা হয়েছে ২০০ টাকা। একই প্রকাশনী থেকে এবার জুলাই বিপ্লবকে ঘিরে বেশ কয়েকটি বই প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে জনমুক্তি টিম সম্পাদিত ‘জুলাই’, দেবাশিষ চক্রবর্তীর ‘রক্তাক্ত জুলাই’, ফারজানা মাহবুবা’র ‘#জুলাইবিপ্লব’, মঈন শেখ রচিত ‘জুলাইয়ের অশেষ পাখিরা’ ইতোমধ্যে মেলায় এসেছে।

সোমবার বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘হায়দার আকবর খান রনো : আজীবন বিপ্লব-প্রয়াসী’ শীর্ষক আলোচনা। অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সোহরাব হাসান। আলোচনায় অংশ নেন আবদুল্লাহ আল ক্বাফী রতন, জলি তালুকদার এবং অনন্যা লাবণী পুতুল। সভাপতিত্ব করেন দীপা দত্ত।

লেখক বলছি মঞ্চে এদিন নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন-কবি চঞ্চল আশরাফ এবং শিশুসাহিত্যিক আতিক হেলাল। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন কবি মোহন রায়হান ও রেজাউদ্দিন স্টালিন। আবৃত্তি পরিবেশন করেন মাহমুদা সিদ্দিকা সুমি এবং হ্যাপি হাবিবা। ড. ইঞ্জিনিয়ার খালেকুজ্জামানের পরিচালনায় ছিল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘বাঁশরী’-র পরিবেশনা। এতে সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী একেএম শহীদ কবির, রেজাউল করিম, মিরাজুল জান্নাত সোনিয়া, রত্না দাস, দেবাশীষ শর্মা ও মাহমুদুল হাসান।

আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে ‘কুমুদিনী হাজং’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন পাভেল পার্থ। আলোচনায় অংশ নেবেন মতিলাল হাজং এবং পরাগ রিছিল। এতে সভাপতিত্ব করবেন আবু সাঈদ খান।

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম