Logo
Logo
×

শেষ পাতা

ভ্যান ছিনিয়ে নিতেই হত্যা

মুক্তাগাছায় সরিষা খেতে পুঁতে রাখা ছাত্রের লাশ উদ্ধার

Icon

মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

মুক্তাগাছায় সরিষা খেতে পুঁতে রাখা ছাত্রের লাশ উদ্ধার

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় নিখোঁজের ৮ দিন পর মো. রিফাত (১২) নামের এক স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার চেচুয়ার পানিগড়িয়া এলাকায় একটি সরিষা ক্ষেতের পাশে মাটিতে পুঁতে রাখা রিফাতের বস্তাভর্তি লাশ উদ্ধার করে মুক্তাগাছা থানা পুলিশ।

রিফাত উপজেলার বড়গ্রাম ইউপির মির্জাকান্দা এলাকার কাতলসা শহিদ স্মৃতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্র ছিল। একই এলাকার মফিজুল ইসলামের ছেলে সে।

স্থানীয় এলাকাবাসী, নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, স্কুলপড়ুয়া কিশোর রিফাত পরিবারের অভাব ঘোচাতে লেখাপড়ার পাশাপাশি মাঝেমধ্যে প্রতিবেশীর ভ্যান ভাড়া নিয়ে নিজেই চালিয়ে বিভিন্ন মালামাল আনা-নেওয়া করত। গত ২৭ জানুয়ারি বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে রিফাতের পাশের গ্রামের মনির নামের একজন মোবাইলে ফোন করে পিকনিকের সাউন্ড বক্স আনতে হবে বলে তাকে ভ্যানসহ যেতে বলে। পরে সন্ধ্যা নেমে রাত গড়িয়ে এলেও সে আর বাড়ি ফেরেনি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর পরিবারের লোকজন রিফাতের সন্ধান না পেয়ে মুক্তাগাছা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। নিখোঁজের ৮ দিন পর তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহতের প্রতিবেশী মিরাজ নামের একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার দেওয়া স্বীকারোক্তিতে চেচুয়ার পানিগড়িয়া এলাকার একটি সরিষা ক্ষেতের পাশেই মাটিতে পুঁতে রাখা রিফাতের বস্তাভর্তি লাশ উদ্ধার করা হয়। এলাকাবাসী ও পুলিশের ধারণা ভ্যান গাড়িটি ছিনতাই করতেই রিফাতকে গলা কেটে হত্যা করে ছিনতাইকারীরা।

নিহতের ভাই আরিফ হোসেন বলেন, যে মনির রিফাতকে ফোন করে ভ্যানসহ ডেকে নিয়েছিল তাকে গ্রেফতার করলে সব রহস্য বেরিয়ে আসবে। আমি আমার ভাইয়ের হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।

স্থানীয় বাসিন্দা আকরাম হোসেন বলেন, খুবই গরিবের সন্তান রিফাতের মৃত্যু মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। প্রতিবেশী হয়ে, একটি ভ্যানের জন্য মানুষ কীভাবে প্রতিবেশীকে হত্যা করতে পারে জীবনে এই প্রথম দেখলাম। হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার হওয়া দরকার।

রিফাতের পাগলপ্রায় মা আনোয়ারা খাতুন ছেলে হত্যার বিচার চাই বলতেই জ্ঞান হারিয়ে কথা বন্ধ করে দেন।

মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামাল হোসেন যুগান্তরকে বলেন, ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মিরাজকে তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যমতে, ধারণা করা হচ্ছে, ভ্যানগাড়ি ছিনতাই করতেই রিফাতকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পেছনে আর কেউ জড়িত রয়েছে কি না এবং অন্য কোনো রহস্য আছে কি না-তা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম