Logo
Logo
×

শেষ পাতা

কামরাঙ্গীরচরের ত্রাস হাজি মনির বাহিনীর সংবাদ প্রকাশ

এলাকাবাসীর আশা স্বস্তি ফিরবে

Icon

বিশেষ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

এলাকাবাসীর আশা স্বস্তি ফিরবে

কামরাঙ্গীরচরের ত্রাস হাজি মনির বাহিনী : ‘ঘুম হারাম’ এলাকাবাসীর-শিরোনামে সোমবার যুগান্তরে সংবাদ প্রকাশের পর ওই এলাকার মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। তারা মনে করছেন গণমাধ্যম ওই এলাকার সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকলে তারা স্বাভাবিকভাবে বসবাস করতে পারবেন, এলাকায় শান্তি ফিরবে। অন্যদিকে হাজি মনির বাহিনীর দখলদার ও চাঁদাবাজ চক্রের কাউকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। মানুষের হাতে হাতে ছিল যুগান্তর; মোবাইলে শেয়ার হয়েছে অনলাইন লিঙ্কও।

স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, যুগান্তরে সংবাদ প্রকাশের পর থেকে মনির বাহিনী কিছুটা গা-ঢাকা দিয়েছে। প্রশাসন যদি এখনই ব্যবস্থা গ্রহণ করে, তাহলে এলাকাবাসী স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারবে।

আরেক বাসিন্দা বলেন, হাজি মনির এবং তার বাহিনী এলাকায় এমন অবস্থা সৃষ্টি করেছিল যে-মানুষের দম বন্ধ হওয়ার মতো অবস্থা হয়েছিল। জিম্মি হয়ে পড়া সাধারণ মানুষ মনে করেছিল, তার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে পারবে না। কেউ তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে না। পেশাদার পত্রিকা হিসাবে দৈনিক যুগান্তর সাহসী ভূমিকা পালন করায় এলাকাবাসী খুব খুশি। এর ধারাবাহিকতা যুগান্তর অব্যাহত রাখবে বলে প্রত্যাশা তাদের।

মিরাজুল ইসলাম নামের এক বাসিন্দা যুগান্তর প্রতিবেদককে ফোন করে জানান, যুগান্তরের সংবাদ শতভাগ সঠিক। এমন সাহসী সংবাদ প্রকাশ করায় এলাকাবাসীর হাফ ছেড়ে বাঁচার মতো অবস্থা। গণমাধ্যম এসব অপরাধ চক্রের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিলে মানুষ প্রতিবাদ করার সাহস পাবে। তখন অপরাধীরা দুর্বল হবে এবং মানুষকে জিম্মি করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে পারবে না।

সংশ্লিষ্টরা জানান, কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশ, ঢাকা মহানগর পুলিশের লালবাগ অঞ্চল এবং ঢাকা মহানগর পুলিশ কার্যালয়ে যুগান্তরের প্রতিবেদনের বিষয়টি নিয়ে গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। জনগণকে জিম্মি করে কেউ কোনো অন্যায় করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কোনো গড়িমসি করা যাবে না বলে সংশ্লিষ্টরা আলাপ-আলোচনা করেছেন। একইসঙ্গে কোনো দুষ্কৃতকারী যেন পুলিশকে ব্যবহার করে কোনো ধরনের অপরাধ করতে না পারে, সে ব্যাপারেও সতর্কতা অবলম্বন করার বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করেছেন তারা।

কামরাঙ্গীরচরের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নাগরিক জানান, বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী দুঃশাসনের সময়ে সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এবং তার ক্যাডার বাহিনীর হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছিল ওই এলাকার মানুষ। গত ৫ আগস্টের পট-পরিবর্তনের পর এলাকার মানুষ ভেবেছিল এবার তারা স্বস্তিতে থাকতে পারবেন। কিন্তু মাস না পেরোতে দানবের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন হাজি মনির এবং তার ক্যাডার বাহিনী। অন্যায় ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে শতশত জীবন ও হাজারও মানুষের রক্তের বিনিময়ে গণঅভ্যুত্থানের সুযোগ নিয়ে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলে মরিয়া বিএনপির পদধারী এই চক্রটি।

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম