কেয়া গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ ৬ ব্যাংকারের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
![কেয়া গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ ৬ ব্যাংকারের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2025/02/04/court-675e914ca944e-67615884d0a87-67a147c1ecfbf.jpg)
ঋণখেলাপির অভিযোগে কেয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং সাউথইস্ট ব্যাংকের ৫ কর্মকর্তাকে বিদেশ যেতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ নিয়ে খেলাপি হওয়ার অভিযোগে কেয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক পাঠানকে ও তাকে বেআইনিভাবে ঋণ দেওয়ার অভিযোগে সাউথইস্ট ব্যাংকের গুলশান শাখার ৫ কর্মকর্তাকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
সোমবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ৫ জন হলেন-সাউথইস্ট ব্যাংকের গুলশান শাখার তৎকালীন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শাখা ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ক্রেডিট ইনচার্জ মোরশেদ আলম মামুন, একই শাখার সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ক্রেডিট ইনচার্জ (বর্তমানে ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শাখা প্রধান) রেজওয়ানুল কবির, অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ইনচার্জ অব ইমপোর্ট ডিপার্টমেন্ট (বর্তমানে সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও এক্সপোর্ট ইনচার্জ) অমীয় কুমার মল্লিক এবং এভিপি ও ইনচার্জ অব এক্সপোর্ট ডিপার্টমেন্ট (বর্তমানে সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও এক্সপোর্ট ইনচার্জ) আশরাফুল ইসলাম।
দুদকের আবেদনে বলা হয়, আসামিরা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের কোনো প্রকার ঋণ অনুমোদন ছাড়াই ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাউথইস্ট ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে ৪৯৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা উত্তোলন করে পরস্পরের যোগসাজশে আত্মসাৎ করেন। এই প্রক্রিয়ায় তারা প্রতারণার আশ্রয় গ্রহণ করে নিজে অবৈধ উপায়ে লাভবান হয়েছেন এবং অন্যকে লাভবান করার অসৎ উদ্দেশ্যে অপরাধমূলক কাজ করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে গত ২ জানুয়ারি দুদক মামলা করে।
মামলার তদন্তকালে দুদক বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পারে, আসামিরা দেশ ছেড়ে বিদেশে পলায়ন করতে পারেন। তারা দেশ ছেড়ে বিদেশে পলায়ন করলে মামলার তদন্ত কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি হতে পারে বিধায় তাদের বিদেশ গমন রহিত করা প্রয়োজন। দুদকের এমন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ওই আদেশ দেন।
এদিকে সাউথইস্ট ব্যাংকের ওই ঋণের পুরোটাই এখন খেলাপি হয়ে পড়েছে। এছাড়া পূবালী ও ন্যাশনাল ব্যাংকের কাছেও কেয়া গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে খেলাপি ঋণ রয়েছে। তিন ব্যাংকের কাছে তাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা।
গত বছরের অক্টোবরে কেয়া গ্রুপের পক্ষ থেকে অর্থ উপদেষ্টা ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের কাছে একটি চিঠি দিয়ে দাবি করা হয়, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তাকে হয়রানি করা হচ্ছে। তিনি ব্যাংকের কাছে রপ্তানি আয়ের বৈদেশিক মুদ্রা বাবদ সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা পাবেন। যে অর্থ ব্যাংক তাদের হিসাবে নগদায়ন করেনি। বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন তদন্ত করছে।