সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ‘জামায়াতীকরণ’ করেছে সরকার: রিজভী
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ছবি: সংগৃহীত
অন্তর্বর্তী সরকার দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ‘জামায়াতীকরণ’ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ১/১১-এর সময় সরকারকে বলা হতো সেনাসমর্থিত সরকার। বর্তমান ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সরকারকে বলা হয় বিশেষ দলসমর্থিত সরকার। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ওই বিশেষ দল দখল করে ফেলেছে। এটা অত্যন্ত ভয়ংকর বিষয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সবখানে প্রধান দায়িত্বে বসানো হয়েছে জামায়াতের লোকদের। আমাদের (বিএনপি) সমর্থিত লোকজন যেমন আওয়ামী লীগের আমলে বঞ্চিত হয়েছে, তেমনিভাবে এখনো বঞ্চিত হচ্ছে।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় রিজভী এসব কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভার আয়োজন করে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশ (ডিইএব)।
রিজভী আরও বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) বলছে, রাষ্ট্র এবং সরকারের বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে না। এগুলো তো হাসিনার কথার প্রতিধ্বনি। হাসিনা সরকার এবং রাষ্ট্রকে এক করে দিয়েছে। এই সরকার তো গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ফসল। গণতন্ত্র মানেই হচ্ছে আলোচনা-সমালোচনা। তীব্র সমালোচনা হবে এবং সরকার সব শুনবে।
রিজভী আরও বলেন, জনপ্রশাসনের সচিবের নামে কোটি টাকার দুর্নীতির ঘটনা এসেছে। তারপরও তিনি কী করে সেখানে বহাল থাকেন? এ ধরনের ঘটনা জানার পরও উনি কী করে জনপ্রশাসনের সচিব হিসাবে রয়েছেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার তো বিপ্লবী সরকার হওয়ার কথা ছিল। সব দোসরকে উৎপাটন করে জনগণের পক্ষে যারা দাঁড়িয়েছিল তাদের দিয়েই তো প্রশাসন চলার কথা। সেই দোসররা আবার সচিবালয়ের ভেতরে মিছিল করে, দাবি-দাওয়া পেশ করে।
শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে রিজভী বলেন, রাষ্ট্র-সমাজ থেকে নীতিনৈতিকতা একেবারে উপড়ে ফেলে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর এত জায়গাজমি লাগবে কেন? ২৮ লাখ কোটি টাকা পাচার করতে হবে কেন? এগুলো যদি না করতেন, তাহলে টিকে থাকতে পারতেন, পালাতে হতো না।
ডিইএব’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রকৌশলী মো. হানিফের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মো. হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএনপির সহ-স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. পারভেজ রেজা কাকন প্রমুখ।